somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Misty Taste Of Moonshine....

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমি চাইছি তুমি চিঠিটা পড়।
মনে প্রাণে প্রার্থনা করছি এটা তোমার চোখে পড়বে ....

চিঠিটা পড়া খুব জরুরী, তোমার জন্য আবার আমার জন্যও!
জীবনে কখনও এভাবে কাউকে লেখা হয়নি তাই অনেক এলোমেলো হবে!
এতো বছর পর তোমাকে কিছু বলছি...

কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা! আচ্ছা, যেভাবে লেখার তাগিদটা এলো তা দিয়েই হোক।

গত প্রায় ছয় সাত মাস হিন্দী একটি গান মনে মনে ঘুরছে। এর মাঝে আমি দেশ বিদেশ ঘুরে এসেছি, গানটা কখনও ঘুমিয়ে, কখনও জেগে আবার কখনও নিজের মতো ভেসে বেড়িয়েছে আমার মনে। শেষে মাথা থেকে নামাতেই হয়তো গানটা শোনা শুরু করি, শুনি না বলে শোনা শুরু করি বলছি কারন..... যেভাবে এটা মগজে বেজে যেতো তার চেয়েও ভয়াবহ এক লুপে শোনা শুরু হয়!গানের স্ক্র্যাচটার হাহাকার আর আকুতি শুনে চমকে যাই!!!! ঘরে বাইরে, ড্রাইভ করার সময় এই এক গান; এমনকি প্লেনের জানালার বাইরে তাকিয়ে মেঘ আর অনেক নীচের পৃথিবীটাতে চোখ পড়তেই কোথায় যেন রিন ঝিন করে বেজে উঠে!

হঠাৎ মনে হলো, আচ্ছা আমার অলটাইম ফেভারেটটা শুনে দেখি এই গানের ঘোর কাটানো সম্ভব হবে হয়তো! ভাবা মাত্র বাজালাম বিজিস এর সেই অপার্থিব সঙ্গীত, আর ম্যাজিকের মতো কাজ হলো। Wish You Were Here নিমেষে সেই গানকে ছিটকে ফেলে আমার নিউরনে নিজের আসনটা পূণর্দখল করে নিলো। বিভিন্ন সময় শুনতে শুনতে হঠাৎ মনে হলো কবে এটা প্রথম শুনেছি! রোহান, আমি চমকে গেলাম ভেবে- এতো হাজার বার শোনা এই গান যে প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে আমাকে প্রথম শুনিয়েছিলো সেই তুমি কখনও এই গানের অপর পার্শ্বে ছিলেনা!

তারপর কেমন অপরাধবোধ হতে লাগলো।

তোমার সাথে ঠিক প্রথম কবে দেখা হয়েছিলো আমার মনে নেই, তোমাকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো দিন তারিখ, সময় ঘন্টা বলে দিতে পারবে। শুধু মনে আছে তোমার সাথে যখন বন্ধুত্ব হলো, কথা বলা শুরু হলো তুমি বলেছিলে সেই ছেলেবেলায় প্রথম দেখার মুহুর্তেই তুমি পণ করেছিলে আমার সাথে বন্ধুত্ব করেই ছাড়বে। তোমাকে কোন মেয়ে পাত্ত্বা দেয়না এমন ঘটেনা, তুমি কখনও দেখোও নাই তাই আরেকটু বড় হবার পর তোমার এমন জেদটা জোড়ালো হয়।

তুমি কতো পাগলামী করতে রোহান আর আমার ঔদাসীন্যে হতাস হতে! শুধু একবার রাগ করেছিলে, সেদিন রাগে তোমার চোখে পানি এসেছিলো কিনা জানিনা কারন তা জানার বা জানতে চে্ষ্টা করার মানসিকতা সত্যিই তখন আমার ছিলোনা। "তুমি বুয়েটে ভর্তি হয়েছো এটা আমাকে বাইরের লোকের কাছে শুনতে হলো লাবনী?"- এমনটাই বলেছিলে, তাইনা? আমার নির্লিপ্ততা বা ঔদাসীন্য সচেতনভাবে ছিলোনা বিশ্বাস করো, আমার কাছে সত্যিই কখনও জরুরী মনে হয়নি তোমাকে বা কাউকে ফোন করে আমার বৃত্তান্ত জানানো প্রয়োজন। হয়তো তোমার বেশি খারাপ লেগেছিলো তোমার বন্ধুও আমার ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলো, সেই তোমাকে জানিয়েছে বলে।

আচ্ছা, আমি আজও বুঝতে পারিনা তোমার কোন বন্ধুকেই যেখানে আমি কখনও দেখিনি ওরা সবাই আমাকে কিভাবে চিনতো? খুব আশ্চর্যজনক! তোমার আরেকটা কি বন্ধু ছিলো যেনো? শুভ- তাইনা? এই শুভ লিখতেও এখন মনে হচ্ছে তোমার চোখে পড়ুক আর না পরুক শুভর চোখে ঠিকই এই চিঠি পড়বে আর সে যথারীতি মুহুর্তের মাঝে তোমাকে জানাবে! যাইহোক, এই শুভ মনে হয় ছিলো "লাবনী হেইট ক্লাব"এর উদ্যোক্তা আর প্রধান।

রোহান, তুমি আমার কাছে শুধু একজন বন্ধু ছিলে। তুমি কেনো, কাউকেই তখন এবং অনেক বছর পর্যন্ত আমার প্রেমিক মনে হয়নি। প্রেম ভালোবাসা জিনিসটা সকলের মাঝে থাকেনা। আমি তাদের অন্যতম। যদি বন্ধু হিসেবে কোন ছেলের সাথে মেয়েরা কথা বলে তাহলে তাকে শুধু বন্ধুই ভাবে অন্য কিছু নয় এমন মেয়ের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। তোমার সাথে আর সকলের এই পার্থক্য ছিলো, পারিবারিক বন্ধুত্বের কারনে তুমি সহজেই ফোন করার, ড্রইংরুম পর্যন্ত আসার অধিকার রেখেছিলে অন্যদের তা ছিলোনা!

এই চিঠি লিখতে গিয়ে, এতো যুগ পর অণুভব করছি কি তীব্র আবেগ নিয়ে তুমি বার বার ছুটে আসতে! পৃথিবীর কোন ভালো কিছু তুমি আমার সাথে শেয়ার না করে থাকার কথা ভাবতে পারতে না... সে একটা ভালো বই হোক অথবা গান, কোন সুন্দর কার্ড হোক অথবা ঘটনা, সুন্দর কোন ফুল, এমনকি তোমার বোনের ছেলের জন্মদিনের কেকটাও তুমি আমাকে ছেড়ে একা এনজয় করতেনা। আর আমি? এখন বুঝি কেনো আমার সহপাঠি ছেলেরা আমাকে স্টিল হার্টেড বলতো। আসলে ওরা অনেক ভদ্রতা করেই এমনটা বলতো, এই মুহূর্তে তোমার তীব্র আবেগের পাশে নিজের ইনডিফারেন্সটা মনে করে নিজেকে সেসময় একটা পাথরের দেয়াল ছাড়া কিছু মনে হচ্ছেনা! বাড়ির সবচেয়ে ছোট হবার কারনেই কিনা জানিনা, বিশ্বাস করো আমার মগজে সেসময় একবারের জন্যও তোমার অনুভূতির এই তীব্রতা প্রবেশ করেনি।

তুমি কতোভাবে বুঝাতে চাইতে। এমনও বলেছো, "বান্ধবীদের সাথে তো বাইরে যাও, আর্ট এক্সিবিশন, বইমেলা কতো জায়গায় যাও... আমাকে বন্ধু মনে করো, আমার সাথেও চলো"। আমার রক্ষণশীলতাটা পরিবার থেকে চাপিয়ে দেয়া ছিলোনা বরং সেল্ফইম্পোজড ছিলো বলেই হয়তো খুব বেশি দৃঢ় ছিলো। তুমি বা কোন ছেলের সাথে কখনও বাইরে যাবার আগ্রহ হয়নি।
তুমি আমাকে এক রকম জোড় করেই "গর্ভধারিনী" পড়িয়েছিলে, আর বলতে একটু পুরুষালী টাইপ মেয়ে হলে কি হতো? ডানিপিটের মতো আমার সাথে বাইরে একটু ঘুরে বেড়াতে। সেসময় খুব বিরক্তবোধ করলেও আজ হাসি পায় মনে করে।

তুমি যেদিন এসে বলেছিলে দুদিন আগে বন্ধুদের সাথে মদ খেয়েছো, আমি হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেনো? আমি আজও ভাবতে পারিনা একজন ১৮ বছরের মানুষ মদ খেতে পারে, এমনকি এই দেশেও। তুমি কি জবাব দিয়েছিলে? "কষ্টটা, যন্ত্রণাটা কমে"- শুনে প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছিলাম আর ভেবেছিলাম স্বস্তা টাইপ বাংলা সিনেমা বেশী দেখছো মনে হয়। আমার একবারও মনে হয়নি তুমি চেয়েছিলে আমি জানতে চাই "কিসের কষ্ট?" সেসময় না বুঝলেও আজ বুঝতে পারছি তোমার বন্ধুরা আমাকে কখনও না দেখেও এতো অপছন্দ করতো কেনো! তুমি যতো বেশি বেশি ভালোবাসতে, ওরা আমাকে ততোটাই ঘৃনা করতো।

তোমার সাথে প্রায় নয় বছর পর দেখা হলো। ডিসেম্বরের প্রচন্ড ঠান্ডা আর হুহু বাতাসে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে, মাঝনদী থেকে ছুঁড়ে দেয়া থার্টিফার্স্টের ফায়ারওয়ার্ক্স দেখে ভিড় বাঁচাতে শেষ হবার আগেই পার্কিংলটে ফিরে যেতে উদ্যত হই! পিছন ফিরে কয়েক পা হাঁটতেই "এক্সকিউজ মি, তুমি লাবনী" বলে মাটি ফুঁড়ে যেনো সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলে!!! আমি ভুত দেখার মতো চমকে গিয়েছিলাম! বিভিন্ন জাতি আর বর্ণের হাজার হাজার মানুষের ভীড়ে যেনো হারিয়ে না যাই, একহাতে আমার মায়ের হাত আঁকড়ে আছি। এই দূর প্রবাস, তার উপর এই শতবর্ণের মানবসমুদ্রের মাঝে তুমি আমাকে কিভাবে খুঁজে পেয়েছিলে? আমার স্বামী আমার আরেক হাত শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে, তোমার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই- তুমি লাবনী লাবনী করে ডেকে যাচ্ছো। মাথার উপর বর্ণিল ফায়ারওয়ার্কসের আকাশ বাতাস কাঁপানো শব্দ, তার মাঝেও তোমার ডাক শোনা যাচ্ছিলো!

আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সব সময় বলে, "Never say never. Life is stranger than fiction"। তাঁর জীবনে এখনও সেই ফিকশন হাজির হয়নি অথচ তোমার.....

তুমি ইদানীং কি করছো জিজ্ঞেস করতেই তুমি "পি এইচ ডি। ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জিনিয়রিং এ" বলে একটা অদ্ভুত হাসি দিয়েছিলে, সে হাসির অর্থ শুধু তুমি আর আমি জানি! তুমি ধারনা করতে পারবেনা তখন আমি কতোটা খুশী হয়েছিলাম! তোমার সাথে আমার বন্ধুত্বের এতোগুলো বছরের দীর্ঘ সময়ের মাঝে শ্রেষ্ঠতম মুহুর্ত ছিলো সেটা- থ্যাংক ইউ রোহান। আনন্দটা কেনো, ভালোলাগাটা কেনো-- সেটা শুধু তোমার আমার মাঝেই থাক।

পরমুহুর্তেই অবশ্য আবার আনন্দটা ফিরিয়ে নিয়েছ। যখন বিদায় নিতে চেয়েছি, তুমি বললে "হ্যাঁ, আমিও আসি। বন্ধুরা পাবে অপেক্ষা করছে"। তার সাথেও তোমার একটা হাসি ছিলো, আমার কাছে অসহনীয় মনে হয়েছে। শোন, তুমি হয়তো জানোনা, এটা বলে তুমি আঘাত করার চেয়ে বেশি ভালোবোধ করিয়েছো! রিয়ালাইজ করেছি আমি কোন ভুল করিনি।

তোমাকে একটা মজার ঘটনা কখনও বলা হয়েছে কিনা জানিনা! তোমার মনে আছে একবার, আমি নাতাশার সাথে তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে একদল মেয়ের মাঝে অপরাজেয় বাংলার সামনে বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ কোথা থেকে তুমি উদয় হলে! তুমিও এসেছো তোমার বন্ধুর সাথে। ফিরে যাবার পথে ঢাকা ভার্সিটির বিশাল চত্বরেও আমাকে তুমি খুঁজে নিয়েছো! তুমি যখন হরবর করে আমার সাথে কথা বলে যাচ্ছিলে তখন জানতাম না নাতাশার বান্ধবীরা তোমাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে বসে আছে। তুমি যাবার সাথে সাথে তোমার কথা জানতে চাইলো ওরা। নাতাশা বললো, আমি লাবনীকে এতো বুঝাতে চাইছি এই রোহান তোর জন্য পাগল হয়ে আছে, ও বিশ্বাসই করেনা। ‌যাই হোক, পরে ওর কাছে শুনেছি ওরা কয়েকজন তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। মেয়েরা যে আগ্রহ নিয়ে ছেলেদের সাথে পরিচিত হতে চায়, আরেকবার দেখা করার সুযোগ চায় আমার জন্য সেই প্রথম জানা! তবে এটা নিশ্চয় তোমার কাছে কোন নতুন ঘটনা নয়।

ওহ্! তুমি কি জানো বিজিসের এই গান কোন প্রেমিকা বা প্রেমিকের জন্য লেখা নয়। সদ্য প্রয়াত ভীষণ ভালোবাসার ছোট ভাই এ্যান্ডি গিবের উদ্দেশ্যে তার বড় ভাইয়েরা রবিন, ব্যারি আর মরিস গিব লিখেছে। নিখাদ শুদ্ধতম ভালোবাসা আর গভীর আবেগ দিয়ে গওয়া বলেই হয়তো এটা গান না হয়ে সৃষ্টি করেছে এক ভূবন ভুলানো প্রার্থণা, একটা কান্না!!!

সুমি আপার কাছে শুনেছি তোমার বৌ খুব লক্ষী আর ভালো মেয়ে। তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে বলে হেসেছে অনেক। যখন কোন ননদ বাড়ির বৌয়ের প্রশংসা করে, বুঝতে হবে সে আসলেই ভালো। রোহান, তুমি অসাধারন ভালো ছেলে, আমি বিশ্বাস করতে চাই তোমার বৌকে তুমি ভালো রেখেছো। যে তোমার ভালোবাসার দিকে ফিরে তাকায়নি তার জন্য পাগল না হয়ে যে নিজের ভালোবাসা তোমার পায়ে ঢেলে দিয়েছে তার দিকে মনযোগ দিয়েছো।

আমি চাই তোমার ছোট্ট ফুটফুটে একটা মেয়ে হোক। ফুলের মতো সেই মেয়ের এলো চুলে হাত বুলিয়ে দেবার সময় তুমি ভুলে যাও আর কারো কাঁধের কাছে আনমনে পরে থাকা চুলের কথা। ছোট্ট বাবুটার নিষ্পাপ সরল হাসি তোমাকে ভুলিয়ে দিক কারো মুখে এক ঝলক হাসি দেখতে চাওয়ার তোমার এক অদ্ভুত তৃষ্ণা আর সাধনার কথা।

চিঠি লিখতে বসে এই সাতকাহন লেখার মূল কারনে আসি। তুমি বলতে আমার কাছে তুমি পোকামাকড়ের মতো নগণ্য, এটা ভুল ছিলো। প্রেম ভালোবাসাই একমাত্র গভীর সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্বও সুন্দর আর গভীর সম্পর্ক। তুমি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে শুধু ভালোবাসা খুঁজছিলে বলেই দেখতে পাওনি আমি খুব অপছন্দ করা সত্ত্বেও তোমার দেয়া কান্ট্রি মিউজিক গুলো শুনেছি। তুমি জানতে ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস আর জন ডেনভারের কান্ট্রিরোড ছাড়া বাকি সব কান্ট্রি মিউজিক সেসময় বড্ড বিরক্তিকর মনে হতো, তারপরও তোমার দেয়া জন ডেনভারের গানগুলো আমি শুনেছি। তোমাকে ভালো বন্ধু মনে করেছি বলেই প্রচম্ড অনিচ্ছা সত্ত্বেও খুব অল্প সময়ের মাঝে তোমার দেয়া শির্ষেন্দুর কালবেলা সিরিজ আর সুনিলের "এখনই সময়" পড়ে শেষ করেছিলাম। তুমি এসব দিয়েই ক্ষ্যান্ত হতেনা।

তোমাকে যে সত্যি অবজ্ঞা করছিনা তার প্রমান হিসেবে চাইতে আমি ওসব বুক সেল্ফের কোনায় ফেলে না রেখে সাথে সাথে পড়ে শেষ করি।
তুমি যা ভাবতে তোমাকে তাচ্ছিল্য করার কথা, আমি কখনও সচেতনাভাবে তা করিনি। তারপরও, আমার জন্য যতো কষ্ট পেয়েছো, যতো যন্ত্রণা সহ্য করেছো তার জন্য "আই এ্যাম সরি, ভেরি ভেরি সরি মাই ফ্রেন্ড"

যেকোন ভাবেই হোক এই সাইট তুমি খুঁজে পাও রোহান, চিঠিটা পড়।।।



*** আমি মনে প্রাণে চাই তুমি এই চিঠিটা খুঁজে পড়, তবে এটা পড়ার পর সেই থার্টিফার্স্টের মতো এখানে লাবনী বলে চিৎকার করে উঠোনা প্লিজ। সেদিন এক সমুদ্র অচেনা মানুষের ভীড়ে কিছু এসে যায়নি, এখানে বিব্রত হবো। বুঝতে পারছো কতোখানি অস্বস্তি আর দ্বিধা নিয়ে এমন চিঠি আকাশের ঠিকানায় উড়িয়ে দেয়া যায়**


ছবিসুত্র :- ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×