ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়ায় ঈদ উপলক্ষে সন্তোষপুর বন বনাঞ্চলের বাসিন্দা দুই শতাধিক বানর এখন মহা আনন্দে আছে । জানা যায়, ময়মনসিংহ শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে সন্তোষপুর বনবিট। এই এলাকাতেই এই বানরদের বসবাস ।
রাবার প্রকল্পের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত পথে যেতে দেখা যায় বানরের লাফালাফি। রাবার প্রকল্প থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার যাওয়ার পর সারা বছরই দেখা মেলে বানরদের লাফালাফি ও চিৎকার করছে। বিট অফিসে যে কোন মানুষ গেলেই খাবারের আশায় বানরগুলো অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বছরব্যাপী কম-বেশি লোক সমাগম ঘটলেও ঈদ এলে বহুগুনে বাড়ে লোক সমাগম ।
লোক সমাগম কম থাকলে, খাদ্যাভাবে বানরগুলির চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি ঝড়ে। ক্ষুধার যন্ত্রনায় তারা তখন চিৎকার চেচামেচি করে । এসময় তারা মানুষ দেখলে ক্ষেপে উঠে তাড়া করে । মানুষও উল্টো তাড়া করে তাদের ।
বন বিভাগের কর্মকর্তা - কর্মচারীরা জানান, মানুষকে ভয় দেখালেও ওরা কখনও আঁচড় কিংবা কামড় দেয় না। ওরা খাবারের জন্য এরকম করে। সারা বছর বন এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেতের চাষ করা আনারস, কলা, শসা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ফল নিজেরাই সংগ্রহ করে খায় । এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরাও তাদেরকে খাবার দেয়। ঈদ এলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলে ঈদের আমেজ এদেরও লাগে । তখন তারা মহা আনন্দে থাকে ।
যখন দর্শনার্থীর সংখ্যা কম এবং তাদের আহারের যোগান কম থাকে , সমস্যা দেখা দেয় তখন । ুধার তাড়নায় মানুষের বাড়ি বাড়ি ছুটে যায় । মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে , লাঠি, দা ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করে। মাঝে মধ্যে রক্তাক্ত বানরগুলো দেখে অনেকেরই মন খারাপ হয়ে যায়।
বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকাবাসী বলেন, আমাদের বেডরুমে তাদের কারণে কোন খাবার, কাপড়-চোপড় কিছুই ঠিকমত রাখতে পারি না। বানরগুলোকে খাবার না দিলেই বিভিন্ন সময় রুমের ভেতরে মলমূত্র ত্যাগ করে, তার পরও সহ্য করতে হয়, কারণ ওদেরও জীবন আছে। জীবন আছে বলেই ুধার তাড়নায় ব্যাপক উপদ্রব করে। প্রাকৃতিক বন সন্দৌর্য রায় বানরগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করা একান্তই প্রয়োজন।