ছাইরা দে মা, কাইন্দা বাঁচি (একটা ফান/সিরিয়াস টাইপ পোষ্ট)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সব মানুষের জীবনেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে কিংবা মানুষ ছোট খাটো এমন কিছু করে থাকে যেটা পরবর্তী সময়ে সেটা মনে পড়লে মানুষ লজ্জা পায়, আর সেটা নিয়ে অনেক অনেক দিন পরও হাসাহাসি চলতে থাকে।
আজ তাহলে এই রকম পুরনো কিছু গল্পই না হয় বলি।
১.
সবেমাত্র টুয়েলভ গ্রেডে উঠেছি তখন। ক্লাসের প্রথম দিন। আমার প্রথম ক্লাসটাই ছিলো "আমেরিকান হিস্টোরি"। তো আমি স্কেজুয়েল থেকে রুম নাম্বার জেনে রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার আমেরিকান হিস্টোরি ক্লাসের টিচারের নাম লেখা ছিলো Rose. এখানকার হাই স্কুলের টিচাররা ক্লাসের দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকে, টুকটাক হাই হ্যাল্লো বলে। আর স্টুডেন্টরা যদি প্রথম প্রথম ক্লাস খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়ে তাহলে টিচারদের প্রশ্ন করলেই ওনারা সাহায্য করে। তো যাইহোক, আমি আমার ক্লাসের সামনে একজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। তো উনাকে গিয়ে বললাম যে, "Is it Miss Rose’s class?" (গোলাপ ফুলের নাম দেখে আমি ভেবেই নিয়েছি যে আমার টিচার হবেন একজন মহিলা )
আমার প্রশ্ন শুনে লোকটা আমাকে গুড মর্নিং বলে যা বললো সেটা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
লোকটা: Yes my dear, I am Mr. Rose।
লজ্জায় আমার ইচ্ছা করছিলো যে মরেই যাই।
২.
আমার ক্লাস তখন সকাল বেলায় ছিলো। আমার যেহেতু গাড়ি ছিলো না, ভাইয়াই আমাকে গাড়ি দিয়ে নামিয়ে দিয়ে আসতো। একদিন ভাইয়ার জরুরী একটা কাজ ছিলো। আমার কলেজ যেহেতু বাসার খুব কাছেই ছিলো তো আমার সিদ্ধান্ত নিলাম যে হেঁটেই চলে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ। দিলাম হাঁটা....
কলেজের একবারে কাছে পৌছে যাওয়ার একটু আগে ঘটলো ঘটনাটা। কোথা থেকে যেনো একটা কুকুর দৌড়ে আসলো। আগেই বলে রাখি আই এ্যাম নট এ বিগ ফ্যান অফ ডগিস
কুকুর দেখলেই কলিজায় পানি থাকে না, চউক্ষে দেখি আন্ধা, ঠ্যাং কয়-দে দৌড় কিন্তু ভয়ে দৌড়ও দিতে পারতেছিলাম না। আমি আস্তে হাঁটলে দেখি কুকুরও আস্তে হাঁটে, আমি তাড়াতাড়ি হাঁটলে দেখি কুকুরও! ডরের চুটে দোয়া দুরুদও মুখে আসতেছিলো না। কিন্তু কুকুর থাইকা তো বাঁচা লাগবে।
ডাইনে বামে তাকায়া দেখি ঘাসের উপর এই সাইজের একটা সাইন বোর্ড পুতা।
কুকুর থেকে বাঁচার জন্য সেই সাইন বোর্ডটাকে মাটি থেকে তুলে ফেললাম। এরপর কুকুর ডান দিকে গেলে আমিও সাইন বোর্ডটা দিয়ে আমার পা থেকে ঢেকে ডান পাশে সরি। কুকুর বাম দিকে সরে আসলে আমিও সাইন বোর্ড বাম দিকে ঘুরাই। রাস্তা দিয়ে দুনিয়ার মানুষ যাওয়া আসা করে সবাই ভাবছে আমি মনে হয় কোন কিছুর এডভারটাইজমেন্ট দিচ্ছি। কেউ আমাকে বাঁচাইতে আসলো না। সবগুলো মানুষের উপর তখন খুবই মেজাজ খারাপ হইছিলো। সবাই শুধু গাড়ি দিয়ে যাওয়া আসা করে কেন! দুই একজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসলে তো আমি কারোর হেল্প চাইতে পারতাম।
বাসার আসার পর ঐদিন প্রথম যেই কথাটা আম্মুকে বলছিলাম সেইটা হলো: এই দেশে থাকমু না, এই দেশ পচা। তুমি আমাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করো।
অবশ্য বাসার সবাই আসল ঘটনা শুনে ব্যাপক হাসছিলো। মানুষের মনে দয়া মায়া সব উইঠা গেছে
৩৩টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।
পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন
একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়
সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।
সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?
সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??
সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন