একদিন বালুচরে বসে ছিলাম একা
কিছু রঙ বেরঙ্গের প্রজাপতির সাথে চলছিল বেশ আলাপচারিতা
হঠাৎ কোন দুষ্ট কিশোরের উড়িয়ে দেয়া ঘুড়িটা
এসে ছুঁয়ে দিল পায়ের পাতা,
আমি অবাক বিস্ময়ে ঊল্টে দেখি তাতে
দুর্বোধ্য ভাষায় তোমার নাম লেখা।
ডাঙ্গায় ভেসে ওঠা মাছের মত যন্ত্রণা হল আমার শরীরে
পৃথিবীর রূপ দেখার অবিশ্বাস্য যন্ত্রণা,
এক ভয়ানক রূপ, আমার ভেতরটাকে দুমড়ে মুচড়ে
মুহূর্তেই মুমূর্ষু করে দেয়,
আমার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়,'শ থেকে কোটি
মস্তিষ্কের অলস ভুতেরা ফিরে পায় তাদের হারানো দাবার গুটি
সব প্রেম পুণ্য একসাথে মাথাচাড়া দিয়েই আবার নিশ্চুপ,
অসহনীয় পৃথিবীর এই রূপ।
সব দেখেশুনে আমি ফিরে যেতে চাই আদিকালের অশ্লীলতায়
যেখানে পত্র-পল্লবে আমার শরীর আচ্ছাদিত থাকলেও
আমিই পৃথিবীকে গড়ি,ভেঙ্গেচুরে আমার মতন করে
যেখানে আমিই আগুন,লোহার চাকা হয়ে ছুটি তোমার পিছে
আবার আমিই বজ্রপাতের ঝল্কানি থেকে সৃষ্টি করি ক্ষণপ্রভা
আমার পায়ের ছাপে গড়ে ওঠে হাজারো শহর বন্দর,
কাগজে কলমে কিছুই ঠিক নেই,তাও কোন হইচই নেই,
ক্ষুধার্তের কান্না নেই, শিশুদের চিৎকার নেই
কোন আজন্মা ব্যর্থ প্রেমিক নেই এখানে,
কেউ হাতে তুলে নেয়না বিষের নীল শিশি,
আমার ঘর্মাক্ত হাতে তখন শুধু একটি গোলাপ,
আর চোখ মুখ ঠোঁটে 'তোমায় ভালবাসি"।
আমার পৃথিবীর অদ্ভুত লোকেরা তখন সবাই অন্তর্যামী,
ওরা শুধু তোমায় দেখে না,
তোমায় দেখি শুধু আমি,আর উল্লাসে ফেটে পড়ি
এ আমার নতুন পৃথিবী, শুধু তুমি আর আমি।।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


