আজকাল, হরেক রকম ব্যস্ততায়,
ভুলে যাই-আমি কে?
আয়নার সামনে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ,
এই ছেলেটা এত কদাকার কেন !
আজকে, নীল্ক্ষেত থেকে গুলিস্থান হেঁটে চলে গেছি,
সম্পূর্ণ অকারণেই--
অথচ-- জরুরি কিছু বই কেনার কথা,
একদম মনে নেই--
মাথাটা ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে,
তাহলে কি আসলেই??
আর জরুরি কিছুর কোন প্রয়োজন নেই ?
আজকাল কেমন জড় পদার্থের মত বসে থাকি
ধূলো-বালি এসে আলিঙ্গন করে যায়,
আমার খেয়াল থাকে না
বারবার হাঁচি দেই ,কাশি দেই—
লোকজন কেমন কেমন করে তাকায়।।
অনন্যার সাথে শেষ কবে কথা হয়েছে মনে নেই,
কোন বিশ্বপ্রেমিক হলে হয়তো,
ডায়েরিতে লাল কালি দিয়ে লিখে রাখত।
আমি বিশ্বপ্রেমিক হতে পারিনাই
বরং একটা টেবিল হয়ে গেছি,
জিনিস্পাতি বয়ে বেড়াই
না হয় একটা টেলিভিশন—
যা দেখতে চাও দেখাব তাই—
হাসি, কান্না---সুন্দরীর অশ্লীল নৃত্য!
অনেক ব্যস্ত— আমি, অনন্যা
তোমার কল্পনার থেকেও বেশি ব্যস্ত,
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলো,
আমাকে একাই করতে হয়—
তবুও, করে দেখো না একটা টেলিফোন---
দুবার এর বেশি রিং হতে দেবো না,
না হয়—
পুড়ে যাক আরেকটা রোম শহর—
ধ্বংস হয়ে যাক, নতুন কোন ট্রয়।।
আর দিন দশেক বাদে যদি চলেই যাবে,
অনন্যা---
আরেকটা বার সামনে এসো না ?
এবার আর আমি তোমাকে দেখে
উল্টো পথে হাঁটা দেব না,
বরং সিনা টান টান করে দাঁড়াব, তোমার সামনে-
উত্তেজনায় কাঁপব? ঠিক আছে--
তবু ও এবার আর ভুল্বশত,
পঁচা ড্রেনে পা দিয়া বসব না,
তোমাকে এরকম অভ্যর্থনা
আর কেউ দিয়েছে কিনা আমি জানিনা,
কিন্তু সেই রাতে, আমি আকা্শে একটা
ফাল্গুনী পূর্নিমা টানিয়ে রাখব,
তোমাকে আর কিছু দিতে পারব না,
অনন্যা— তুমি এস,
দয়া করে শিখিয়ে দাও,
কি করে, বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে
চাঁদ দেখতে হয়।।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


