"বাস্টার্ড চাইল্ড" নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক কুপ্রথা চালু আছে। সবচেয়ে বড় যে প্রথা, তা হচ্ছে বাবা মায়ের কুকর্মের জন্য সন্তানটিকে আজীবন কথা শুনানো। ওর মরার পরেও ওকে কোন ছাড় না দেয়া। ওর বংশধরদেরও গালি শোনানো।
আমি মুসলমান। সামাজিক প্রথা, সংস্কৃতি, দেশ কাল পাত্র ইত্যাদি সবকিছুর উপরে আমি মাথায় রাখি আমার আল্লাহ/নবী এইসব ব্যাপারে কি বলেছেন। কাজেই, ইসলামিক দৃষ্টি থেকে দেখা যাক, বাস্টার্ড চাইল্ডের ব্যাপারে ইসলামিক রীতি কি।
ইসলামে ওর বাবা মায়ের কুকর্মের জন্য বাবা মাকে শাস্তির বিধান রেখেছে, কিন্তু ওদের অপরাধে সন্তানকে শাস্তির বিধান নেই। সূরা আল আনাম ১৬৪ নং আয়াত পড়ে নিন, "যে ব্যক্তি কোন গোনাহ করে, তা তারই দায়িত্বে থাকে। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।"
মানে "পিতার অপরাধে পুত্র বা পুত্রের অপরাধে পিতাকে শাস্তির বিধান নেই।"
বাস্টার্ড চাইল্ডদের নিয়ে প্রচুর হাদিস আছে। নবীজির সময়েই মক্কা/মদীনাবাসী কেউ কেউ (সাহাবী বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা) জেনাহ করেছেন, শাস্তি ভোগ করেছেন, অথবা জেনাহ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে (শিশু এনে দাবি করা হয়েছে এই শিশু তাঁর) ইত্যাদি - কিন্তু একটিও উদাহরণ নেই সেই শিশুকে শাস্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সমাজচ্যূতি, গালাগালি করা, কথা শুনানি ইত্যাদি সবই আমাদের সামাজিক কুপ্রথা।
তা এই শিশু কি আমাদের সমান মর্যাদার অধিকারী?
জ্বি, শুধু তাই না, ও যদি যোগ্য হয়, তবে আমাদেরও অনেক উপরে যাওয়ার অধিকার ও রাখে। ও মসজিদের ঈমামও হতে পারবে, ওর পেছনে নামাজও আদায় করা যাবে। ও পৃথিবীর সেরা আলেম হতে পারবে, ওর কাছ থেকে মানুষ ইসলামের নানান জটিল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারবে। মুসলিম সমাজে এরচেয়ে বড় সম্মান আর কি হওয়া সম্ভব আমার জানা নেই।
উপরে যাহা বলিয়াছি সত্য বলিয়াছি, সত্য বহি মিথ্যা বলি নাই। কারোর যদি ক্ষমতা থাকে, আমাকে ভুল প্রমান করে দেখাক।
তাই, যেখানে আল্লাহ এবং রাসূল সমাধান করে গেছেন, তাহলে একজন মুসলিম হিসেবে দায়িত্ব কি সেটা একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বুঝে নিন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



