বর্তমান করণীয়:- উত্থানের চুড়ান্ত উত্থান, ইব্রাহীম ও মূসা সঃদের পুনঃরুত্থান!
বিশ্ব শান্তির চূড়ান্ত দূত আল্লাহর বিশেষ তিন রাসুল, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃদের নামে বিশ্বে অশান্তির দানব ইবলিস, ইয়াহুদীবাদ, খিৃষ্টবাদ, সুন্নিবাদ ও শিয়াবাদী সন্ত্রাস দিয়ে আল্লাহর তিন নবীর সাচ্চা অনুসারীদের নির্মূল করতে তৃতীয় মহাযুদ্ধ তথা বিশ্ব ধ্বংস লীলার আগুন লাগিয়েছে। শেরন, বুশ-ব্লেয়ার তাদের চর সুন্নী-শিয়া ঘাতক খোমেনী, সাদ্দাম, মোল্লা ওমর ও লাদেন চক্রের সহায়তায় আফগানিস্তান ও ইরাক দখল সম্পন্ন করে ইরান ও সিরিয়া দখলের পাঁয়তারা করছে। তারপরই মক্কা মদীনা ও জেরুজালেম দখলের ঘোষনার মাধ্যমে গোটা আরব বিশ্ব দখল সমাধা করে পূর্ণ দাজ্জাল রূপে বুশেরা আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এর ফাঁকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে ভারতের সাথে মিলে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে অগ্রসর হচ্ছে। পাকিস্তানে লাদেন ও বাংলাদেশে বাংলা ভাইর “ইঁদুর-বিড়াল খেল” তার চূড়ান্ত সূচক।
এখন মুক্তির একমাত্র পথ আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য। নবী রাসুলদের পথেই ধরায় ঐশী কল্যান অবতীর্ন হয়। বর্তমান বিশ্বে ধর্মীয় উন্মাদনার মৌলবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ নাস্তিকতার মিথ্যেবাদের মাঝে এক্ষুনি বাবা আদম থেকে মুহাম্মাদ সঃ পর্যন্ত সকল নবী রাসূলদের উত্তরাধিকারী সত্যবাদের পতাকা তুলে আমি ইমামুদ্দীন মুহাম্মাদ তোয়াহা বিন হাবীব, একমাত্র আল্লাহর আদেশে, তাঁর দাসরূপে, তাঁর উপর সম্পূর্ন নির্ভর করে সকল দায় দায়িত্ব নিয়ে মানবজতির মুক্তির ডাক দিলাম। এ ঘোষনা সম্পূর্ন বুঝে, সম্পূর্ন গ্রহন করে, সর্বস্ব ত্যাগে যারা “শপথ বায়আত” হবে, আমি একা তাদের নিয়ে দাজ্জাল চক্র বুশ-ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষনা করলাম। عَسَيْ اللهُ أنْ يَّكُفَّ بَأسَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَ اللهُ أشَدَّ بَأساً وَ أشَدُّ تَنْكِيْلاً আল্লাহু আকবার ! আল্লাহু আকবার!! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ!!! اَللهُ أكْبَرُ, اَللهُ أكْبَرُ, لاَ إلهَ إلاَّ اللهُ.
মুসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃদের সাচ্চা অনুসারীরা ছুটে আসো। নূহ ইব্রাহীমের জামাতই মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সঃদের রিসালাতের “বিশ্ব পুনরুত্থান”। তার দিন ক্ষন উপস্থিত। য়ূরোপ ও আমেরিকাবাসী আদম সন্তান আমাদের ভাইবোনদের বুশ-ব্লেয়ার গং গ্রাস করে পূর্বাভিমুখে আভযানে নেমেছে। এটাই পশ্চিম থেকে সূর্যে্যাদয়। ক্বেয়মতের নিদর্শন!? পূর্বের অরুনাচলের সূর্য্যােদয় দিয়েই পশ্চিমা অন্ধকার দুর করতে আমি সুব্হে সাদেকের আযান দিচ্ছি। হযরত ঈসাকে শূলীবিদ্ধকার জুডাসদের প্রেতাত্মা বুশ-ব্লেয়ারের ুঊঝঞঅইখওঝঐগঊঘঞ” ঈসা রূহুল্লাহর অনুসারী মুসলিমদের বিশ্বময় জিম্মী করেছে। ঈসা খ্রিষ্টান ছিলেন না। তাঁর অনুসারীরাও না। তারা মুসলিম ছিলেন। যেমন ছিলেন নূহ, ইব্রাহীম ও মূসা সঃ।
বিশ্বের সকল সমস্যার মূল কারণ ধনী-দরিদ্রের মাঝে আকাশ পাতাল পার্থক্য। ১৫% ভাগ ধনীরা বিশ্বের সম্পদের ৮৫% ভোগ করে, বিশ্বের ৮৫% নর-নারীকে গৃহহীন উদ্বাস্তু, ভূমিহীন কৃষক ও পুঁজিহীন দিনমজুর করে এদেরই শ্রমের মুনাফায় বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছে। এদের শোষনের হাতিয়ার মাথা গোঁজার ঠাঁই বাড়ী ও বস্তি ভাড়া, হোটেল ও পানশালা,
চাষের জমির জমিদারী ও ব্যাঙ্কবীমা করে চক্রবৃদ্ধি সূদ খাওয়া। ধনীদের এ পাপ বিশ্বের পুরুষদের করেছে জারজ মানবতার ব্যাভিচারী পিতা, ও নারীদের করেছে পন্য,বন্য ও যৌনকর্মী!? বর্তমান ইরাকের প্রাচীন স্বৈরাচারী নমরুদরাজা নিজেকে খোদা ঘোষনা করে জনগনের উপর কর, বাসস্থানের উপর কর, চাষের ভূমির উপর কর এবং সুদ প্রথা চালু করে করভারে মানুষকে দাস দাসী, ও পরিনামে নারীদের বেশ্যা ও পুরুষদের করদাসত্বে নিক্ষেপ করে। মিসরের ফেরআউন ও তাই করে। হযরত ইব্রাহীম ও মূসা মক্কা, জেরুজালেম ও আক্বসার পত্তন করে পুনঃ মানুষকে মুক্ত ও মুক্তির পথ প্রদর্শন করেন। বিশ্বের বর্তমান শোষকরা নমরুদ ও ফেরআউনের আধুনিক রূপ। শেষ নবী মুহাম্মাদ সঃর সংস্কার ইব্রাহীম ও মূসা সঃদের পুনরুত্থান ছিলো। বর্তমানে আমাদের তাই করণীয়।
পিতার সংসারে পিতার বৈধ সন্তানরা যেমন ভাই বোনদের নিকট থেকে পরস্পর বাড়ী ভাড়া নেয় না, চাষের জমির ইজারা নেয় না, ঘুষ নেয় না, সূদ খায় না ও পরস্পর ব্যাভিচার করে না, তেমনি ঈমানদার মানুষেরা আল্লাহর সংসারে তা কল্পনাও করে না। তাই আল্লাহর নবী রাসূলদের অনুসারীদের সমাজ ও রাষ্ট্রে ভাড়ার বাড়ী করতে, নামে বেনামে সম্পদ গড়তে ও ব্যাঙ্কবীমায় সূদে লগ্নি করতে ঘুষ, সুদ ও অবৈধ অর্থোপার্জনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় না। আল্লাহর বিধানে দেহ ভাড়া নেই, বাসস্থান-বস্তি ভাড়া নেই, চাষের জমির ইজারা নেই ও অর্থের কোনো প্রকার সুদ নেই। নিলে ন্যূন আপন মা জননীকে ধর্ষন করার পাপ! বাড়ীভাড়া, নারীভাড়া , ভূমীভাড়া ও অর্থভাড়া মুক্ত স্বর্গিয় বিশ্ব গড়তে এ ইশতেহার ঘোষিত হলো।
আল্লাহ, স্রষ্টা ও প্রতিপালক, এক। তাঁর কোন শরীক নেই। মানব জাতি এক, অভিন্ন। সৃষ্টি বৈশিষ্টে মানুষ দৈহিক ভাবে দুই। নর ও নারী। পুরুষ মাঠ-ঘাট ও হাট-বাজার। নারী ঘর ও বাড়ী। তাতেই শান্তি তাতেই স্বর্গ। এ শিক্ষায়, দীক্ষায় ও ধর্মে ধন্য, পূন্য আদম-হাওয়া ফেরেশ্তাদেরও পুজ্য। কর্ম-কীর্তির বৈপরিত্যে মানুষ দুই জাত ও জাতি। যারা স্রষ্টার অনুগত, তারা সৃষ্টির ওপর স্রষ্টার রাজা-রানী। এ জাতের শাশ্বত ক্ষমতায়ন আল্লাহর বিধান। তারা স্বর্গ সুখে তৃপ্ত । তাদের পরশে সৃষ্টিও তৃপ্ত । এরা মুসলিম, মুসলিমা, মু’মিন মু’মিনা। তাদের প্রতি আল্লাহ, ফেরেশতা ও সৃষ্টিকুলের শান্তি নিবেদন, “সালাম,সালাম ও সালাম”। শয়তান এদের জাতশত্রু।আর যারা স্রষ্টার অবাধ্য, সে জাত ও জাতি স্রষ্টার অভিশপ্ত, “মানুষ শয়তানের জাত”। নারীর ক্ষমতায়নের নামে দানব শয়তান তার মানব সন্তানদের দ্বারা নারীকে পন্য, বন্য ও বেশ্যা বানিয়ে বিশ্বে বেশ্যায়ন ঘটাতে সচেষ্ট। “নারীর ক্ষমতায়ন” তাদের শ্লোগান। শেরন তার দুই শাগরেদ বুশ-ব্লেয়ার মূসা ও ঈসা সঃর মুখোশ পরে দাজ্জালের ত্রিশূল । তাতে বাংলাদেশ, সরকার ও বিরোধী দল, হাসিনা ও খালেদার “নষ্ট সংসারে” ঘর বাহির বিপন্ন। বিশ্বে সর্ব ব্যর্থতায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম! তাই আমি “আল্লহর এ দীনদাস” নর মুসা ও ঈসা,ও নারী আসিয়া ও মারিয়াম আদর্শে শেষ নবী মুহাম্মাদ সঃ এর দীক্ষায় বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুর থেকে বিশ্বের ৮৫% শোষিত, বঞ্চিত ও শাসিত মুস্তাদআফদের মুক্তি ও ক্ষমতায়নের পতাকা উত্তোলন করলাম। আমি আল্লাহর, আল্লাহ আমার। حَسْبُنَا اللهُ نِعْمَ الوَكِيْلُ,نِعْمَ المَوْلَى وَ نِعْمَ النَّصِيْرُ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০