ল ফর হিউম্যানিটি' শিরোনামে এক সেমিনারের আয়োজন করেছিল গত কাল প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর ল স্টাডি এন্ড সাপোর্ট নামে আইন জীবি দের এক সংগঠন। তাদের মূল প্রবন্ধ ছিল' মুক্তবাজার অর্থনীতি মুক্তির পথ নয়'। অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন। অবসর প্রাপ্ত জাজ গোলাম রাব্বানী, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ড. সাদিকা হালিম, কমরেড খালেক্কুজ্জামান. সলিমুল্লাহ খান, আবুল বারাকাত, আনু মহম্মদ সহ আরো অনেকেই। উদ্যেগটা আমার কাছে ভালই মনে হয়েছে। সবারই এক কথা যে পুজিঁবাদ মানব জাতির শত্রু ফলে একমাত্র সমাজ তন্ত্রই মানব জাতির মুক্তির পথ। ড. সাদিকা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান পড়ান। দারুণ স্মার্ট। তিনি আদিবাসী মেয়েদের অধিকার নিয়েও কাজ করেন। তিনি স্বভাবতই পুঁজিবাদ যে নারীদের গণবেশ্যা হবার প্রেরণা দেয় এবং পথ তৈরী করে দেয় তা নিয়ে চ মৎকার বললেন। তবে সবচাইতে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা করলেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি কার্ল মার্কসের দোহাই দিয়ে বললেন যে পুঁজির বিকাশের ভেতরেই কিন্তু লুকিয়ে থাকে পুঁজির শত্রু। তিনি আরো বললেন পুঁিজর শক্তি সম্পর্কে যেমন বরিশালের গ্রামের একটা মেয়েকে পুজিঁ সুযোগ করে দেয় ঢাকায় এসে জীবন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করার। তিনি বলেন পুজিঁর শক্তি ইভেন আমাদের এই সেমিনার কক্ষেও বিরাজমান। পুজিঁশুধু পণ্য নির্ভর নয় , ভাষা নির্ভর ও। যেমন এই অনুষ্টানের নাম ল ফর হিউম্যানিটি হল কেন। অথবা এই সংগঠনের নাম সেন্টার ফর ল স্টাডি এন্ড সাপোর্ট হল কেন। আমরা এখানে পুজিঁবাদের ভাষায় পুজিঁবাদের প্রতিবাদ করছি। সবার আগে দরকার নিজেদের শোধরানো। তার বক্তব্য আমার ভাল লাগলো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



