সিঙ্গাপুর - মালেশিয়া - থাইল্যান্ড ঘুরে এলাম মাত্র ৭০,০০০ টাকায় ,১২ দিন নিজে নিজেই- পর্ব-6
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১ম পর্ব
2য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪থ পর্ব
৩০।০৯।১২ঃ সকালে উঠেই নাস্তা সেরে কেএল সেন্ট্রাল গেলাম। পৌছতে ১১টার কিছু বেশী হয়ে গেল।কেএল সেন্ট্রালের পাশেই বাস স্টেষন। গেন্টিং যাওয়ার বাসের খবর নিয়ে জানতে পারলাম এই একটু আগে বাস ছেড়ে গেছে। দুপুর ২টার আগে আর কোন বাস নাই। এরই মধ্যে টেক্সী ড্রাইভারদের পেনপনানি শুরু হলো। ডাইরেক্ট গেন্টিং ৮০ রিংগিত পার পারসন। মাথা খারাপ আর কি? ওদের কথায় কান না দিয়ে ২০ রিংগিতেরও কিছু কমে রিটান বাস টিকেট কাটলাম, সাথে জলিল ভাইতো আছেনই। কেএল সেন্ট্রালে ম্যাকডোনাল্টে ঢুকে পরলাম দুজনে। খাবার খেয়ে বাইরে ঘুরাফেরা করে ২টার আগে বাসে উঠে পরলাম।
দারুন এসি বাস, সিটগুলাও অনেক বড়। বাস চলা শুরু করতেই ঘুমিয়ে পরলাম। যখন জাগলাম দেখলাম বাস থেমে আছে সবাই নেমে যাচ্ছে। আমরাও নেমে পড়লাম আর যাত্রীদের ফলো করলাম, এটাই গেন্টিং কিনা বুঝতে পারলামনা। অন্যদের ফলো করে যেখানে পৌছলাম সেটা সপ্নেও ভাবিনি, স্কাই বাস। স্কাই বাসে করে গেন্টিং হাইল্যান্ডে যাবো এটা ভাবিনি। টিকিট দেখিয়ে ঢুকে পরলাম একটা ক্যাপসুলে। ৬জনের জন্য একটা ক্যাপসুল। রানিং অবস্থায় উঠতে হয়। আগে ভাবতাম ক্যাপসুলগুলো তারের উপর দিয়ে চলে। এখন দেখলাম ক্যাপসুলগোলা তারে আটকানো আর তারটাই কপিকলের মধ্যে ঘুরে।
সেকি অবিরাম দৃশ্য। গন্তব্য দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু উপরে ওঠে চলেছি। নিছে গভীর জংগল।সামনে গড়ে উঠা শহরের হাতছানি। প্লেনে চড়ে দেশ বিদেশ ঘুরেছি অনেক কিন্তু ক্যাপসুলে চড়ে আকাশে, সে অন্যরকম।
আধ ঘন্টার মত রাইড, পৌছে গেলাম গেন্টিং হাইল্যান্ড। এটা একটা পাহাডের ওপর ইনডোর থিম পার্ক। হোটেল আর জুয়ার ঘরও আছে।শীতের কাপড় নিয়ে এসেছিলাম মনে করে, এবার কাজে আসলো। পার্কের ভেতরও হিটার আছে তাই স্বস্তি। পার্কের ভিতর রাইডের অভাব নাই। আছে লাইভ ম্যাজিক শো।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ম্যজিসিয়ান, কৌতুক অভিনেতা, গায়ক গায়িকা আসেন শো করতে। কোন টিকেট লাগেনা অনেকটা রাস্তার উপর যে সব শো হয় ওরকম। আপনি খুশি হয়ে কিছু দিলেই ওরা খুশি। জলিল ভাই আর আমি অনেক্ষন শো দেখলাম। ভালই লাগলো খুব ঐ টাকা চাওয়ার বিষয়টা ছাড়া। জলিল ভাই দু এক রিংগিত দিয়েও দিল আমি পাশ কাটালাম। ১রিংগিত ২৭টাকা বলে কথা।আমি কি ওদের বলছি ফ্রিতে দেখাইতে? আবার এখন টাকা চায়।(লেখকের টাকা পয়সার দেবার ব্যাপারে একটু এলাজি আছে।)
যাইহোক এবার কিছু খাবার পালা।খাবারের দোকানের অভাব নাই কিন্তু দাম গেন্টিং এর মতই অনেক খুজে সস্তা টাইপের কিছু স্টল দেখলাম। গরম গরম কিসব ফ্রাই করছে।খোজ নিয়ে জানলাম বানানা ফ্রাই ২রিংগিতে ৪টা।বলে কি? কলা কেমনে ফ্রাই হয়, নিয়ে নিলাম। অবশ্য এর চেয়ে সস্তা আর কিছু নাই। আহ হাহা সেকি অমৃত।গপাগপ খেয়ে আরো এক পোরশান নিয়ে নিলাম। পানি সাথেই ছিলো ফ্লাক্সে।
অনেক ঘুরাঘুরি করলাম কিন্তু কোন রাইডে চরলামনা। এখানে আউটডোর রাইড ও আছে। বউ বাচ্চা নিয়ে গেলে মজা পাওয়া যেতো সাথে পকেট ফকির ও হতো। যাইহোক কিছু ছবি তুলে টাইমমত বাস স্টেষনে আসলাম।পাশেই ছিলো, অনেকটা ঘরের দরজা খুলে রাস্তা পাওয়ার মত। এবার আর স্কাই বাস নাই সরাসরি কেএল সেন্ট্রাল। মানে গেন্টিং স্কাইবাস ভায়া হয়ে যেতে হবে যদি বাসে যান, ফিরতি পথে ডাইরেক্ট বাস।
ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে । কেএলসিসি চলে এলাম।বসে বসে পেছন দিকে ঝরনার খেলা দেখলাম। রাত বাড়তেই হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে ডিনার সেরে ঘুম।
আরো কয়েক পর্ব চলবে...............
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...
অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা
আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************
যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=
০১।
চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন