স্বাস্থ্য সেক্টরে অসাধারণ সাফল্য লাভ করেছে বাংলাদেশ। জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ নানান দেশী ও বিদেশী পুরস্কার অর্জন করেছে। গত সাড়ে চার বছরে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অনেকগুণ বেড়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ১২ হাজার ২০৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে এবং এগুলো থেকে প্রায় ১২ কোটি গ্রহীতা সেবা পাচ্ছে। ৫ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসকসহ ৪৫ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পর্যাপ্ত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় জনসংখ্যানীতি ২০১২ ও তামাকবিরোধী আইন অনুমোদিত হয়েছে। সরকারী হাসপাতালে শতাধিক রকমের ওষুধ বিনামূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ৮শ’টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। ৪৮২টি হাসপাতালে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা ও ৮টি হাসপাতালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা চালু হয়েছে। নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে। নার্সিং সেবা পরিদফতরকে অধিদফতরে রূপান্তরের কাজ চলমান আছে। ওষুধনীতি যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিএমডিসি আইন-২০১০ অনুমোদনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের অনুমোদন পাওয়া গেছে। টেলিমেডিসিন, ই-মেডিসিনি সুবিধা বিভিন্ন হাসপাতালে চালু রয়েছে। দেশের ৬টি বিভাগে স্বাস্থ্য পরিচালক ও ৬৪টি সিভিল সার্জন এর অফিসে ওয়েব ক্যামেরা প্রদান করে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ঢাকার মহাখালীতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের লালিত স্বপ্ন ২০ তলাবিশিষ্ট ‘স্বাস্থ্য ভবন’ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
চলবে......।