somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আগামী ২৪ আগস্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এযাবৎ কালের দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে চলেছে ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ আগস্ট হরিপুর-৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। বর্তমান সরকারের সময় নির্মিত এটিই সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মার্চে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেল উৎপাদনে আসে। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কম্বাইন্ড সাইকেল উৎপাদনে আসবে। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে নতুন আরও ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। এর মধ্যদিয়ে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা সাড়ে নয় হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করবে। গ্যাস চালিত কেন্দ্রটিসহ আশপাশের অন্য কেন্দ্রগুলোর জন্য একটি পৃথক পাইপ লাইন নির্মাণ করছে জিটিসিএল। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির গ্যাসের কোন ঘাটতি থাকবে না। রাজধানীর অদূরে সিদ্ধিরগঞ্জের হরিপুরে স্থাপিত কেন্দ্রটি উৎপাদনে এলে রাজধানী এবং নারায়ণগঞ্জ এলাকার বিতরণ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে আসবে। হরিপুর পুরানো ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের পাশে আট দশমিক ৫৭৩ একর জমির ওপর বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রটির জন্য প্রতিদিন ৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে। এ জন্য হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে জিটিসিএল ইতিমধ্যে পৃথক একটি সরবরাহ লাইন নিমার্ণ করেছে। এ ধরনের বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উচ্চদরে বিদ্যুৎ কেনা হলেও এ ধরনের কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় এক টাকার মধ্যে থাকায় পিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয়ে খরচ কমবে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৩১ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়ার ফলে এখন পর্যন্ত চার হাজার ২২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। হরিপুরের কেন্দ্রটি উৎপাদনে এলে যা বেড়ে দাঁড়াবে চার হাজার ৬১২ মেগাওয়াটে। দেশে এখন দিন ভেদে গড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত রেকর্ড ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটির উৎপাদন যোগ হলে প্রতিদিনের সাধারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সাত হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করবে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের চাক্ষুস প্রমাণকে আমরা কিভাবে অস্বীকার করব।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×