somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজশাহী ইউনিভার্সিটির বর্ধিত ফি মিজান ও সান্ধ্য কোর্স সারওয়ার

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভিচি মিজানরে দেখলে মনে হয় রথখোলার নাচের আসরের তবলিয়া আর উপবিচি সারওয়ার যেন হারেস চৌধুরীর ছোট ভাই; রথখোলার ব্রোকারিয়া। এই কোয়েলিয়া দম্পতি রাজছাহী আওয়ামী লীগের বিগ ব্রাদার চওড়া কপালের লিটন ভাই আর রোদে পোড়া শিশুদের হাতে জাতীয় পতাকার কাঠি লজেন্স ধরানো 'সোনারতরী' শহারেয়ারের সামনে অদৃশ্য সাবানে হাত কচলানো চাকরস্য চাকর গোত্রের। 'জনদরদী' লিটু-শহারিয়ার ক্ষমতার সেকেন্ড হানিমুনে অস্থির। ছাত্রলীগের সোনার কাছিম সামলানোর কাজ তাদের নয়। এই কাজ কারো নয়। ভুত-পেত্নী এসে তাদের সামলাবে চিন্তা কী!

এক ধাক্কায় পরীক্ষার ফি অনেক বেড়ে গেলে, হরিণাকুন্ডুর কৃষকের ছেলের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে, মনিরামপুরের ছোট দোকানীর মেয়ে আতংকিত হয়; আব্বাকে কী করে বলবে এ কথা!

কিন্তু ফি মিজান আর সান্ধ্য সারোয়ার এখন আর ইউনিভার্সিটির শিক্ষক নয়। ক্ষমতার দুধে মাছি। তাই কৃষক-শ্রমিক-ক্ষুদে দোকানীর ছেলে মেয়ে প্রতিবাদ জানালে; মিজু ডাকে পুলিশ চিসিমকে রাবার বুলেট আর কাঁদানে গ্যাসের প্রলয় ঘটাতে। সারু ছাত্রলীগের লেঠেল ডাকে। তারা পিস্তল উঁচিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বই-খাতা হাতে নিয়ে ঘোরা প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপরে। শুধু পড়ালেখা শেষ করে গরীব আব্বা-আম্মাকে একটু সুখের মুখ দেখাতে আকুল সন্তানদের ২৭ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে যেতে হয়।

এইসব লিটন, শহারিয়ার নাহয় জন্মেছে ভালো মানুষের মুখোশ পরে নেত্রীর মন জয় করতে; এটাই তাদের পেশা। কিন্তু মিজান-সারোয়ার যখন ভুল করে শিক্ষকতার পেশায় এসেই পড়েছে; তখন এই পেশার পবিত্রতা রক্ষার কথা কেন ভাবলো না!

মিজান-সারোয়ার টাইপের লোকেরা শিক্ষকতায় কেন আসে? শিক্ষকতার পেশাটি ওদের জন্য নয় যারা নিজের ছাত্রকে ভালোবাসেনা। এসব অশ্লীল আচরণ এরা ঐতিহ্যবাহী এই আলোকিত রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে না করে; অন্য কোথাও করতে পারতো। এরা পিএইডি করতে গিয়ে ঐ দেশের লালবাতি এলাকার দালাল হয়ে থেকে গেলেও আজ পুলিশ-ছাত্র লীগের হামলায় ২৭ টি তরুণ-তরুনীর রক্ত খেতে হতো না এই সারমেয় দম্পতিকে; সৎ ভাবে খেয়ে বাঁচতে পারতো।

পুনশ্চঃ এই লেখায় বিলো দ্য বেল্ট আঘাত করা হয়েছে, ভিসি-প্রোভিসি-আওয়ামী বিগ লিডারদের ক্লিশে বিলো দ্য বেল্ট আঘাতে ২৭ টি নির্দোষ ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে পাঠানোর প্রতিবাদে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র মাথায় রেখে, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শিত হয়েছে এই পোস্টে। ক্ষমতার দুধের গুপ্ত-বিবেক মাছিদের যে কোন অনাহুত নসিহত প্রচেষ্টা তাই হাস্যকর মনে হবে জনসমক্ষে। কোথাও লাগলে এড়িয়ে যাওয়া বাঞ্চনীয়। একটা লেখাই লিখেছি; কাউকে তো আর হাসপাতালে পাঠাইনি।

গোপালী চিসিম

প্রলয় চিসিম পুলিশ এক কিছিম
মেরেছে ছাত্র জর্নো
জর্নের কী দোষ ফাঁক করলে সিসিম
গোলাগুলি কী পর্ণো?

চিসিমের রাবার গুলি আর সোনার কাছিম
যৌবন যাতনায় হর্ণো!
সাংবাদিক সাংঘাতিক এক কিছিম
পিম্পদের দম্ভকে করে চূর্ণ।

গোপালী ভিসি আর পুলিশ চিসিম
ষোলকলা করে পূর্ণ।
ছাত্রলীগের পিস্তল ওঁচানো সোনার কাছিম
বহু ব্যবহারে জীর্ণ!

রাজশাহীর তরুণ মন্ত্রীরা হানিমুনে নায়ক জসিম
কে ফিরে দেখে আর বিশীর্ণ?
গরীবের ছেলে গুলি চাকু খাওয়া ধৈর্য অসীম
হোকনা ওদের বুক পিঠ বিদীর্ণ।


মতিহারের মতিমিজান

আমি এক গোপালী আমি এক গোপালী
ক্ষমতা আমাকে পাগল করেছে খেলেছি ভোজালী তাই
তাই আমি গোপালী আমি এক গোপালী!

আমি অটোয়ার থেকে পিএইচডি করে ফিরে দলবাজি শিখেছি,
আবার ছনভবনের বাগানে দাঁড়িয়ে ভাঁড়ের হাসি হেসেছি ।
পারিনা কিছুই সোনার ছেলেরা এসে করে দিয়ে যায়
তাদের আঘাতে প্রজার ছেলেরা হাসপাতালেতে হায়!
আমি এক গোপালী সারমেয় ভোজালী!

ফকিরের ছেলে ভিসি হয়েছি বাড়াতে চেয়েছি ফি
যাতে একটু পাঁচটা বছর আরামে খাবো ঘি!
কী যে হয়ে গেল ছবি তুলে নিলো, উঠে গেল সব লোম;
ভয় করছে সারাটা জীবন খাবো যে ঘৃণার বোম।
তাই আমি গোপালী; আমি এক গোপালী!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×