সাহিত্যের মধ্যে গোয়েন্দা কাহিনীর প্রতি আকর্ষণ বেশি ছিলো আমার। কিন্তু বাংলাদেশী লেখকরা এ বিষয়ে অনেক পিছিয়ে। তাই পড়তে হয় বিদেশী কাহিনীর বাংলা অনুবাদ। তবে বাঙালি লেখকগণ একেবারেই পিছিয়ে তা নয়। পশ্চিমবঙ্গের অনেক লেখকই জন্ম দিয়েছেন জনপ্রিয় বেশকিছু বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্র। এদের মধ্য সবার আগে পরিচিত হই ফেলুদার সাথে! সম্ভবত সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদাই সবচেয়ে জনপ্রিয় বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্র। যে সময়ের কথা বলছি তখন ইন্টারনেট এতো সহজলভ্য ছিলোনা। ফলে চাইলেও যে কোনো তথ্য সহজে জানা যেতোনা। যে কোনো বইও সহজে সংগ্রহ করা যেতো না। বাংলাদেশী লেখকদের মধ্যে সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা এগুলোই প্রধান। কিছুদিন আগে জানতে পারি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম দিয়েছেন আরেকটি জনপ্রিয় বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী। বেশ কয়েকটি বই পড়ে ফেললাম ভালোই লাগলো। যথেষ্ট মানসম্মত। ইদানীং শুনলাম কিরীটি রায়ের কথা। নীহাররঞ্জন গুপ্তের গোয়েন্দা চরিত্র কিরীটি রায়। ডাঃ নীহাররঞ্জন গুপ্ত যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলেন গোয়েন্দা কাহিনী লেখায়। লন্ডনে মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময়ই এ বিষয়ে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। এমনকি তিনি বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী লেখিকা আগাথা ক্রিস্টির সাথেও দেখা করেন। তাঁর গোয়েন্দা কাহিনীও যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলো তা অনেক দেরিতে এসে জানলাম এবং দুএকটি বই ডাউনলোড করে পড়েও ফেললাম! মন্দ নয় ভালোই লাগলো! স্কুল কলেজ লাইফে পড়তে পারলে হয়তো আরো মজা লাগতো! তবে এটুকু বোঝা যাচ্ছে গোয়েন্দা সাহিত্যে বাংলাদেশী লেখকদের চেয়ে কলকাতা অনেক এগিয়ে।
kirity roy pdf ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




