বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করা সরকারের কাজ নয় : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
বিদেশি লুটেরা কোম্পানি শেভরন, কেয়ার্ন এনার্জি, নাইকো বা এশিয়া এনার্জির স্বার্থ সংরক্ষণ করা সরকারের কাজ নয়। গতকাল 'মাগুরছড়ার গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ আদায় জাতীয় কমিটি'র পক্ষে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সম্প্রতি শেভরনের বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে পেট্রোবাংলার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করেছে। শেভরনের অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতের পরিবর্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের একটি বিভাগে। অথচ বিশ্বব্যাংকের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনার অপূরণীয় ক্ষতি করে বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করা, তাদের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার আশা বৃথা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে গেলেও বাংলাদেশ এর বিচার পাবে না। কারণ শেভরন একটি মার্কিন বহুজাতিক লুটেরা সংস্থা, কিন্তু শেভরন বাংলাদেশ নামে তার যে শাখা বাংলাদেশে কাজ করছে সেটি বারমুডায় রেজিস্টার্ড এবং বারমুডা আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়। বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দুর্বল দেশ যাতে আন্তর্জাতিক আইন-কানুন বা আদালতের সহায়তা নিতে না পারে সে জন্যই এসব সংস্থা এ ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নেয়।
সৈয়দ আমিরুজ্জামান আরো বলেন, এ শেভরনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য ঢাকার সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছেও তদবির করেছিলেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শেভরনের স্বার্থ রক্ষায় মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে এ সরকার। শেভরনের কাছে মাগুরছড়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ হাজার কোটি টাকাসহ বাংলাদেশের মোট ৩৪ হাজার কোটি টাকা পাওনা থাকলেও বর্তমান সরকার তা আদায়ের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী আসামি হলেও কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকো এবং মার্কিন বহুজাতিক লুটেরা কোম্পানি শেভরনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি অবিলম্বে এসব সংস্থার কাছে পাওনা আদায় করা ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শেভরন ও নাইকোর বিচারের দাবি জানান। একই সঙ্গে দুর্নীতি ও অপপ্রচারে লিপ্ত এশিয়া এনার্জি ও শেভরনকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




