এই লেখাটি সম্পূর্ন সত্যে ঘটনার অবলম্বনে শুধু মাত্র মেয়েটির নাম লোকানো হয়েছে।
প্রতিবার আমি গ্রামে গেলেই দেখা করতে আসতো আমার পাশের গ্রামের ছেলে জুয়েল । ভাল ফুটবল খেলে সারাক্ষন হাসি হাসি মুখ মাতিয়ে রাখে সবাইকে কোন না কোন হাসির গল্প বলে। আমি আড্ডা দিতে ভালবাসি সে জন্য প্রায় তিন চার গ্রামের সিনিয়ার - জুনিয়ার এবং আমার বয়সী সবার কাছে আমি মোটামোটি প্রিয় বিশেষ করে যে কোন ধরনের সমস্য সমাধানের জন্য আমার কাছে ছুটে আসে । এবার যখন আমি বাড়ি যাই গত ১১/০৮/২০১১ইং রাতে প্রতিবারের মতো পরদিন সকালে বাজারে আসলাম, রমজান মাস তবুও সবাই আড্ডায় জমে উঠে কিন্তু হাসানোর সেই ছেলেটা নেই । ফোন করলাম ,তিন-চার বার কল করার পরে ধরলো ।
কাঁদো-কাঁদো গলায় বলল ভাইয়া আমি আপনার সাথে সন্ধায় একা দেখা করবো আমার বুকটার মধ্যে মুছড়ে উঠলো কি হল ছেলেটার ? সারাদিন আমি হিসাব মিলাতে পারলামনা । ইফতার করার পর পর আবার ফোন করলাম । জুয়েল আমি সকালে চলে যাবো তুমি কি দেখা করবা । জুয়েল বলল হ্যা আমি আসছি। আসলো এবং অনেক্ষন চুপ করে বসে থাকার পর আমি অনেক খোঁজা-খোঁজির পর শুনলাম তার আদরের ছোট বোনের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা । এই বদমাস ছেলেটির নাম রায়হান বাড়ি আমাদের পাশের থানায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে প্রেমে পড়ে ঐ বদমাস রায়হানের , মেয়েটির বয়স ১৭-১৮ হবে সহজ সরল মেয়েটি না বুঝে বাড়ি থেকে ভাইয়ের বিদেশ যাওয়ার জন্য ১৫০০০০/= নিয়ে ছেলেটির হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু ঐ বদমাস ছেলেটি মেয়েটি থেকে টাকা বিয়ে না করে নিয়ে চট্রগ্রামে একটি বাসায় প্রতিদিন নিশাজাত দ্রব্য খাইয়ে শারিরিক নির্যাতন করে । তিন দিন পর মেয়েটি ওখান থেকে পালিয়ে আসে । অনেক যোগাযোগ করেও ছেলেটিকে পাওয়া ওগল না লোক লজ্জার বয়ে থানা পুলিশ করতে পারেনি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




