somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাসউদুর রহমান রাজন
আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

বেশ্যাবৃত্তির ২৫ বছর! (শেষ কিস্তি)

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ব্রেন্ডা মায়ার্স-পাওয়েল
অনুবাদঃ মাসউদুর রহমান রাজন




(১ম কিস্তি পড়তে এই লিংকে যান:বেশ্যাবৃত্তির ২৫ বছর! (প্রথম কিস্তি)
আমি শিকাগোর কাউন্টি হসপিটালে গেলাম। তারা তৎক্ষণাৎ আমাকে ইমার্জেন্সি রুমে নিয়ে গেল। আমার অবস্থা দেখে তারা একজন পুলিশ অফিসারকে ডাকলো, যিনি আমার দিকে খুব অবহেলার দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, “আরে আমি তো একে চিনি। সে একটা নষ্টা মেয়েমানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। সম্ভবত সে কোন লোককে কামড় দিয়েছে আর তার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এখন সে তার কর্মফল ভোগ করছে।” আমি তার সাথে নার্সকেও হাসাহাসি করতে শুনেছিলাম। ওরা আমাকে ঠেলে ওয়েটিং রুমে নিয়ে গেল, যেন আমি কোন কিছুরই যোগ্য নই। সর্বোপরি আমি যেন ইমার্জেন্সি রুমে সেবা পাওয়ারও অধিকার রাখি না।

আর ঠিক সেই সময়টাতে, যখন আমি পরের শিফট শুরু হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম এবং অপেক্ষা করছিলাম এমন কারো জন্য - যে আমার ক্ষতচিহ্নগুলোকে পরীক্ষা করে দেখবে। আমি আমার জীবনে যা যা ঘটেছে, তার প্রতিটা ঘটনা ভাবতে শুরু করলাম। সেই মুহুর্তের আগ পর্যন্ত, আমার কাছে কি হলে কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, কিভাবে আবার নিজেকে উঠিয়ে দাঁড় করাতে হবে - সে ব্যাপারে সবসময়ই কিছু না কিছু ধারণা থাকতো। হঠাৎ আমার এমন হলো - আমার মাথাটা শূন্য হয়ে গেলো। মনে পড়ে, আমি উপরের দিকে চেয়ে ঈশ্বরকে বলেছিলাম, “এ লোকগুলো তো আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। তুমি কি দয়া করে আমাকে সাহায্য করবে?”

ঈশ্বর সত্যি খুব দ্রুতই কাজ করলেন। অবশেষে একজন ডাক্তার এলেন এবং সব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করলেন, তিনি আমাকে বললেন গিয়ে হাসপাতালের সামাজিক সেবাসমূহের খবর নিতে। সামাজিক সেবা বলতে আমি যা বুঝতাম - সেটা যে কোন কিছুই হতে পারে তবে তা সামাজিক। কিন্তু তারা আমাকে বাসের টিকেট ধরিয়ে দিলো জেনেসিস হাউস নামে একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য, এডউইনা গেইটলি নামের একজন অসাধারণ ইংরেজ মহিলা যেটি পরিচালনা করতেন, যিনি আমার জন্য একজন আদর্শ ব্যক্তি এবং আমার পথপ্রদর্শক ছিলেন। তিনিই আমাকে আমার জীবনের মোড় ঘুরাতে সাহায্য করেছিলেন।

সেটা ছিল নিরাপদ একটা আশ্রয়। আমার যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই আমি সেখানে পেয়েছিলাম। জামা-কাপড়, খাবারের পয়সার জন্য আমাকে কোন চিন্তা করতে হয়নি, কাজ খোঁজার জন্যও না। তারা আমাকে বলেছিল সময় নিতে এবং যতদিন প্রয়োজন হয় সেখানে থাকতে। আমি সেখানে দুই বছর ছিলাম! আমার মুখের ক্ষত সেরে উঠেছিল, সাথে আমার আত্মার ক্ষতও। আমি আবার সেই ব্রেন্ডাকে ফিরে পেলাম।

এডউইনা গেইটলিই আমাকে শিখিয়েছিল - নারীদের নিজেদের মধ্যে যে গভীর সংযোগ হতে পারে তার মূল্য, একদল নারী পারে একে অন্যের জন্য বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সহযোগিতার বৃত্ত তৈরী করতে।

সচরাচর একজন নারী যখন পতিতাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, সে আর এটা নিয়ে কথা বলতে চায় না। কোন মানুষটা তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে? কে তাকে নিজের প্রতিষ্ঠাণে একটা কাজ দেবে। জেনেসিস হাউস ছেড়ে আসার পর, শুরুর দিকে এমনটা আমার মধ্যেও ঘটেছিল। আমি শুধু একটা কাজ খুঁজছিলাম, আমার ট্যাক্সগুলো পরিশোধ করতে চাচ্ছিলাম আর অন্য দশজনের মতো হতে চাইছিলাম।

কিন্তু আমি যৌনকর্মীদের নিয়ে কিছু স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে শুরু করলাম এবং একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষককে তার মাঠ পর্যায়ের কাজে সহযোগিতা করতে লাগলাম। কিছুদিনের মধ্যেই আমি বুঝতে পারলাম যে, কেউই এই যুবতী মেয়েগুলোকে সহযোগিতা করছে না। কেউই তাদের কাছে গিয়ে বলছে না, “দেখো, এই আমিটাও এমন ছিলাম, এমন এমন জায়গায় ছিলাম। আর সেই আমি এখন এমন আছি। তুমিও নিজেকে বদলাতে পারো, তুমিও নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারো।”



তাই ২০০৮ সালে, স্টেফানি ডেনিয়েলস-উইলসনকে সঙ্গে নিয়ে, আমরা প্রতিষ্ঠা করলাম Dream-catcher Foundation (ড্রীমক্যাচার ফাউন্ডেশন)। ড্রীমক্যাচার হলো ন্যাটিভ আমেরিকানদের একটি বস্তু যা শিশুর দোলনায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় - এটা শিশুদের ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নকে তাড়িয়ে দেয়। আর ঠিক এ কাজটাই আমরা করতে চাই - আমরা সেই অল্পবয়েসী মেয়ে ও মহিলাদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো - দুঃসপ্নগুলোকে তাড়িয়ে দিতে চাই।

সম্প্রতি কিম লংগিনোটো পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র Dream Catcher-এ আমরা যে কাজগুলো করি - সেগুলো দেখানো হয়েছে। যে সব নারীরা এখনো রাস্তায় কাজ করছেন আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করি এবং তাদেরকে বলি, “বের হওয়ার একটা রাস্তা অবশ্যই আছে, আমরা তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, যদি তুমি সাহায্য নিতে প্রস্তুত থাকো।” আমরা এ কথাটাই তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করি, “তুমি যে কাজ করার জন্য জন্মেছো, তা না করে অন্য কিছু কেন করবে।”

পাশাপাশি আমি কয়েকটা আফটার স্কুল ক্লাব চালাই সে সব মেয়েদের নিয়ে যারা সত্তরের দশকে যারা আমি যে পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম ঠিক সেরকম পরিস্থিতির মধ্যে আছে। আমি একটি মেয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেই বলে দিতে পারি সে কোন বিপদের মধ্যে আছে কি না। অবশ্য এর জন্য কোন নির্দিষ্ট মানদ- নেই। অনেক মেয়েই আছে যারা অনেক বেশি শান্ত, আত্নকেন্দ্রিক এবং কখনো চোখে চোখ রেখে তাকায় না। আবার আরেক ধরণের মেয়ে আছে যে খুবই চঞ্চল, হৈ-হুল্লোড়-প্রিয় আর ঝামেলা পাকাতে ওস্তাদ। তাদের উভয়েই কিন্তু ঘরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে তবে প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ব্যাপারটাকে সামাল দিচ্ছে - একটা কাজ কিন্তু তারা দু’জনেই করছে, তা হলো, তারা এটা নিয়ে কথা বলছে না। কিন্তু যখনই তারা বুঝতে পারে যে, তাদের মতো আমিও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি, তখন তারা এ বিষয়ে আমার সাথে কথা বলতে শুরু করে।

এখন পর্যন্ত ১৩টি মেয়ে আমাদের কাছে এসেছে যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে এবং এখন শহরের বিভিন্ন কলেজে পড়ালেখা করছে, কেউ কেউ পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে আরো ভালো জায়গায় পড়াশোনা করছে। তারা আমাদের কাছে এসেছিল ১১, ১২, ১৩ বছর বয়সে, সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায়। আর এখন তো ওরা আকাশ ছুঁতে যাচ্ছে।

প্রচারণার কাজের পাশাপাশি, আমি বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করি এবং পতিতাবৃত্তির উপর বিভিন্ন একাডেমিক কাজে সহযোগিতা করি। অনেকেই এসে আমাকে বলেছে, “ব্রেন্ডা, এসো এবং অমুক অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুক অমুক প্রফেসরের সাথে সাক্ষাৎ করো। তিনি পতিতাবৃত্তির উপর একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি।” আমি তখন তার দিকে তাকাই আর এটা বলতে চাই, “তাই নাকি? কোথা থেকে তুমি এ বিষয়ের উপর সার্টিফিকেট পেয়েছো? পতিতাবৃত্তি সম্পর্কে তুমি আসলে কী জানো? অভিজ্ঞ ব্যক্তিটি তো তোমার সামনে দাঁড়ানো।”
আমি জানি, যে কক্ষটিতে ওরা বসে আছে, সেটিতে আসলে আমিই বসতে পারি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে - মাঝে-মধ্যে আমার ওদেরকে বুঝিয়ে দিতে হয় যে, কক্ষটিতে শুধু আমিই বসতে পারি। আমার মনে হয়, এটা খুব হাস্যকর যে, অনেক সংগঠন আছে যারা মানুষ নিয়ে এই ব্যবসার বিরুদ্ধে নানান কর্মসূচী পালন করে, অথচ তারা এমন একজনকেও কাজে নেয় না, যে ইতিমধ্যেই এই ব্যবসার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ।

মানুষ পতিতাবৃত্তি নিয়ে নানান কথা বলে। কিছু মানুষ মনে করে যদি এ পেশাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করা হয় তাহলে যৌনকর্মীরা এর দ্বারা লাভবান হবে। আমার মনে হয়, এটা খুবই সত্য কথা যে, প্রতিটি নারীরই তার নিজের একটা গল্প আছে। এ পেশা হয়তো সেই মেয়েটির জন্য ঠিক আছে, যে আইনের কাছে এর বৈধতা চাচ্ছে কিন্তু সেই মেয়েটির জন্য নয়, যে কিনা শৈশবে নিগৃহীত হয়েছিল, যে কখনো জানতেই পারেনি - তার জন্য অন্য কোন উপায়ও আছে, যে শুধুমাত্র খাবারের জন্য অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছে।
আমাকে বরং একটা প্রশ্ন আপনাকে করতে দিন। কতজনকে আপনি তাদের বর্তমান পেশা ছেড়ে দিয়ে পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেছেন? আপনি কি কখনো আপনার কাছের কোন বন্ধু অথবা নারী-আত্মীয়কে বলবেন, “তুমি কি এ নিয়ে কিছু ভেবেছ? আমার মনে হয় - এটা ছেড়ে ওটা করলেই তোমার জন্য ভালো হবে!”

আরো একটা কথা আমি বলতে চাই। একটা মেয়ের জন্য পরিস্থিতি যেভাবেই শুরু হোক না কেন, ঠিক সেভাবেই যে তা শেষ হবে এটা ভাবা বোকামী। এখন সব কিছুই ঠিকঠাক মনে হতে পারে, আইনের কাছে মেয়েটি বলতেই পারে যে, তার কাছে খুব উচুঁদরের খদ্দেররা আসে, তারা আসে একটা এজেন্সীর মাধ্যমে, আর সে রাস্তায় কাজ করে না, বরং খদ্দেরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য সে হোটেলে রুমের ব্যবস্থা করে কিন্তু প্রথমবার যখন কেউ তাকে আঘাত করবে, ঠিক তখনই সে বুঝতে পারবে, সত্যিকার অর্থে পরিস্থিতি তার জন্য কেমন! তুমি সবসময়ই দেখবে সেই উন্মাদ লোকটি কোন এক ফাঁকে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং তার পেছন পেছন তিন থেকে চার জন, তার সাঙ্গ-পাঙ্গ, তারা জোরপূর্বক তোমার ঘরে ঢুকে যাবে আর তোমাকে গণধর্ষণ করবে, তোমার সেলফোন আর টাকা-পয়সাও নিয়ে যাবে। আর হঠাৎই তোমার মনে হবে - বেঁচে থাকার কোন রাস্তাই তোমার সামনে খোলা নেই, তুমি পুরোপুরিই ধ্বংস হয়ে গেছো। আর এই হলো পতিতাবৃত্তির বাস্তবতা।

তিন বছর আগে, ইলিনয় রাজ্যে আমি হয়েছিলাম প্রথম নারী যে তার ব্যক্তিগত রেকর্ড থেকে পতিতাবৃত্তির অপরাধকে আইনত মুছে দিতে পেরেছিল। আর এটাও সম্ভব হয়েছিল একটা নতুন আইন পাশ হওয়ার পর, Chicago Alliance Against Sexual Exploitation নামে একটা গ্রুপের অনেক চেষ্টা তদবীরের পর। এ গ্রুপটি বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল যাতে যৌন ব্যবসায়ের ভিকটিমের উপর থেকে অপরাধের দায় সরানো যায়। যে সব নারীরা অত্যাচারিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে অথবা এ পেশার পক্ষে যাদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে তাদেরকে বিপদাপন্ন বলেই বিবেচনা করা উচিৎ, অপরাধী হিসেবে নয়।

পৃথিবীতে ভালো নারী যেমন আছে, খারাপ নারীও আছে। একইভাবে খারাপ পুরুষ যেমন আছে, ভালোও আছে।

একজন পতিতা হিসেবে আমার ফেলে আসা সময়টার দিকে তাকালে, আমি অন্য কোন সম্পর্কের জন্য একদম প্রস্তুতই ছিলাম না। কিন্তু এ কাজ থেকে সম্পূর্ণ নিবৃত্ত হওয়ার তিন বছর পর, আমার একজন অসাধারণ পুরুষের সাথে দেখা হয়। আমি ছিলাম বেশ খুঁতখুঁতে - সে আমার সাথে এখনও এ নিয়ে হাসাহাসি করে যে, আমি নাকি তাকে প্যারোল বোর্ডের চেয়ে বেশি প্রশ্ন করেছিলাম। আমাদের দেখা হওয়ার আগে আমার জীবনে যা ঘটেছিল - তার কোন কিছুর উপর সে কখনো আমাকে বিচার করেনি। যখন সে আমার দিকে তাকিয়েছিল, তখন সে আমার ঐ সব বিষয়ের দিকে একটুও নজর দেয়নি - তার ভাষায়, যা সে দেখেছিল তা ছিল হাসিমুখের একজন নারী যাকে সে চেয়েছিল তার জীবনের একটি অংশ বানাতে। আমিও অবশ্যই তার একটা অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি যা-ই করেছি তার প্রত্যেকটিতেই সে আমাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আর গত বছর আমরা আমাদের বিয়ের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি।

আমার দুই মেয়ে, যারা মফস্বলে আমার আন্টির কাছে লালিত-পালিত হয়েছে, তারা দু’জনই অসাধারণ নারী হিসেবেই বড় হয়েছে। তাদের একজন ডাক্তার আর অন্যজন ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগে কাজ করছে। আর আমি, আমার স্বামী মিলে আমার ছোট্ট ভাগ্নেকে দত্তক নিয়েছি - এখন আমি, এই ৫৮ বছর বয়সে, পুরোদস্তুর মা।

অবশেষে, আমি তোমাকে এটাই বলতে চাই - ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পরেও জীবন চলমান থাকে, তীব্র মানসিক আঘাতের পরও জীবনকে চলমান রাখা যায়। “তুমি কিছুই না, তুমি অযোগ্য, তুমি আর কিছুই এ জীবনে পাবে না,” এসব কথা সবাই তোমাকে বলার পরও তোমার জন্য জীবন থাকে। জীবন আছে - আমি নিছক জীবনের ক্ষুদ্র একটা অংশ থাকার কথা বলছি না। বরং জীবনের অনেক, অনেক কিছুই তোমার জন্য অবশিষ্ট আছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×