ইহাই সত্য যে-
‘তিনি তা করে দেখান – যা তিনি বলেন’
ইহাই একমাত্র সত্য –
সত্যাশ্রয়ীদের জন্য তিনি রেখেছেন সুখবর; আর-
মিথ্যা প্রতিপন্নকারী অত্যাচারীদের জন্য কঠিনতম শাস্তি
আর নিশ্চিত-
এই ‘সুখবর’ ও ‘শাস্তি’ দুই-ই হবে অনন্তকাল অবধি ।।
যারা এই মতে একমত হতে পারে নাই
যারা উপহাস করে বলে-“ পোঁচে যাওয়া হাড়-মাংস আবার
বিচারের জন্য উত্থিত হওয়া সত্যিই অসম্ভব ও হাস্যকরও বটে”
অথচ ‘বিগ-ব্যাং তত্ত্ব’ তাদের কাছে প্রশংসিত
বস্তুত ঈস্রাফিল-এর ফুঁৎকার-ই কি বিগ-ব্যাং নয়?
নগণ্য নিক্ষিপ্ত জলকে যিনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন মাতৃ-জরায়ুতে
নির্দিষ্ট কালের জন্যে
সেই অপবিত্র জলকেই যিনি রক্ত-মাংসের অবয়ব দান করে
তিলে তিলে বিবেক ও মস্তিস্ক সম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ মানুষে রুপ দিতে পেরেছেন
তাঁর পক্ষে আদৌ অসম্ভব নয় মাটিতে গলে মিশে যাওয়া মানুষকে
পূণরুত্থিত করা তার পূর্বের অবয়বে
প্রকৃতপক্ষে তিনিই হিকমতওয়ালা বিজ্ঞানময়; আর-
পরীক্ষাকে তারাই অস্বীকার করে যারা নিজেদেরকে পরীক্ষার জন্য
যথার্থরুপে প্রস্তুত করতে পারে নাই
বস্তুত পুনরুত্থান ও মহাবিচারকে তারা মিথ্যা ব’লে দল ভারী করার বৃথা চেষ্টায় লিপ্ত
আর-
মিথ্যা প্রতিপন্নকারিদের জন্য রয়েছে কঠিনতম শাস্তি যা হবে নিশ্চিতভাবেই অনন্তকাল অবধি।
স্বীয় সৃষ্টি ও ভৃত্যের অনানুগত্য ও অত্যাচার-
কোন সে স্রস্টা ও মালিক আছেন যিনি নিরবে মেনে নেবেন সঠিক বিচার ছাড়াই?
বিচার
-মাসুম বাদল
৪/০৮/২০১৮