রস+আলো থেকে নেওয়া

আমরা শক্তি আমরা বিগ
আমরা ছাত্রলীগ

আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে! সত্যি তো, দেশে ছাত্রলীগের মতো শক্তিশালী, সাহসী একটা বাহিনী থাকলে আকাশে-বাতাসে আনন্দ তো থাকবেই। আসলে আমাদের ভাগ্যটাই খুব ভালো। ভাগ্যিস, আমরা বাংলাদেশে জন্মেছিলাম। তা না হলে ছাত্রলীগের পরম সান্নিধ্য আমরা পেতাম না। ছাত্রলীগ তো এখন সবার কাছে হিরো। আগে বাংলা সিনেমার ফাটাফাটি অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দেখে পিচ্চিরা ভাবত, ‘আমি নায়ক জসীম হব। পরীক্ষার সার্টিফিকেট একটানে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দেব আকাশে। মাস্তানেরা মায়ের ওষুধ ফেলে দিলে, “ওষুধ ফেলে দিলি শয়তান” বলে ২০-২৫ জনকে পিটিয়ে শায়েস্তা করব।’ কিন্তু এখন দিন বদলের যুগ। সবাই এখন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হতে চায়। আর চাইবে না কেন? এত ক্ষমতা আর কারও আছে নাকি! তা ছাড়া, ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাটা তারাই তো আজও ধরে রেখেছে পরম মমতায়। মাঝেমধ্যেই তারা ‘হইহই’ করে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, টহল দেয়।
দেখতে যে কী ভালো লাগে!



আর তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাও তো অসাধারণ! মারামারির নানা কায়দা তারা রপ্ত করে ফেলেছে। একজন শত্রুকে বন্ধুর মতো গলা জড়িয়ে ধরে রাখে, আরেকজন পেছন থেকে এসে দা দিয়ে কোপ দিতে থাকে। ঝোপ বুঝে কোপ মারা যাকে বলে। কী বুদ্ধি! এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়! এই কায়দা দেখে বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরন ঠিক করেছেন, তাঁর পরবর্তী ছবির অ্যাকশন ও ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে অবশ্যই ছাত্রলীগের কোনো কর্মীকে নিয়োগ দেবেন। আর আমরা এদিকে ছাত্রলীগকে গালমন্দ করছি। প্রতিভার কদর এ দেশে নেই। আরে, বিশ্বে আর কোনো দেশে এ রকম দক্ষ, সশস্ত্র শক্তিশালী বাহিনী আছে? নেই। আর এই ছাত্রলীগের ভয়েই তো পাশের দেশগুলো আমাদের আক্রমণ করার সাহস পায় না। অতএব, সাহসী হতে চাইলে মাউন্টেন ডিউ না খেয়ে ছাত্রলীগে যোগ দিন; নিরাপদ থাকুন।

অনেক বছর পর আমরা যখন বুড়ো হয়ে যাব, শক্ত কিছু খেতে চাইলে যখন ড্রয়ার থেকে বাঁধানো দাঁত বের করতে হবে, তখন আমরা ছোটদের ছাত্রলীগের গল্প বলব: এক দেশে ছিল এক ছাত্রলীগ। কী তার শক্তি, কী তার সাহস! র‌্যাব-পুলিশ, ছাত্র-শিক্ষক, লেখক-সাংবাদিক কাউকে তারা ভয় পেত না। আমি সেই ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। যেনতেন কর্মী নয়, সক্রিয় কর্মী। কতজনের মাথা যে ফাটিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই...।

রস+আলো থেকে দেখুন ছাত্রলীগ কেন সেরা

রস+আলো থেকে নেওয়া


ছাত্রলীগরে আরো কৃতত্বিরে খবররের জন্য সামুর এই পোস্টটি দেখতে পারেন