বাংলাদেশ বলে কথা ! এমনও তো হতে পারে সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীলনকশা অনুযায়ী ফাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার পিছনে হাসিনা স্বয়ং জড়িত। যাতে দলের মধ্যে হাসিনা বলতে পারেন এই জন্যই তো ওনাদের মন্ত্রী বানাতে চাইনি আমি।
কিন্তু ভিতরে ভিতরে আবার মুচকি হেসে বলবে "সংস্কারপন্থী হও, না! এবার বুঝালাম মজা। আমি যারে ধরি তার রেহাই নাই...."
কারন তিনিসহ আরও তিন চারজন হাসিনার অনুগত চামচা নন এটা হাসিনা থেকে শুরু করে দেশের সবাই জানে। কারন তারা সংস্কারপন্থী !!
সুরঞ্জিত চাইলে তো তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারতেন। ক্যাশ টাকা বিপজ্জনক এটা যদি আমি বুঝি আর তিনি বুঝলেন না! বরই আজব।
হতে পারে সবই। দেশটি যেহেতু বাংলাদেশ সেহেতু সব সম্ভবের অপার সম্ভাবনার শস্যক্ষেত্র এ দেশ। আর রাজনীতি তা তো বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
এর মধ্যে মোহাম্মাদ নাসিম আবার বলেছেন, "রেলভবন যেন হাওয়া ভবন না হয়।"
মিঃ নাসিম, আপনার এ কথা বলার আগে লজ্জা হওয়া উচিত ছিল। গতবার আপনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতকে কি বানিয়েছিলেন ভুলে গেছেন? আপনি, আপনার বউ মিলে তো দূর্নীতির আদর্শ ক্ষেত্র বানিয়েছিলেন! ভুলে গেছেন? ভুলে গেছেন তত্ত্বাবধায়কের আমলের বিচারের কথা?
যাই হোক, আমরাও চাই এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হোক।
কিন্তু তার আগেই এতো কথা, কথার ডালপালা মেলিয়ে দেয়া কি উচিত?
এখানেও সেই একই কথা, দেশ যেহেতু বাংলাদেশ।
সবচেয়ে অবাক লাগছে আমার সহকর্মী সাংবাদিক বন্ধুদের কথাবার্তায়। তারা যেন ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে একদম নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে সুরঞ্জিত এর মুল হোতা!
এতই যদি আপনারা পারেন তাহলে নিজেদের স্বজাতি সাগর-রুনির মামলার কোন তথ্যই জানলেন না? বা জেনে কিসের মোহে মামলাটি খেয়ে ফেললেন?
সিনিয়র সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ, নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেন। সুযোগ পেলেই কাউকে প্রজেক্ট বানাবেন না।
আর ৭০ লাখ টাকার কাহিনী। দেখা যাক সরকার কি করে। খেয়ে ফেলে নাকি ব্রান্ডিং করে.....