একটা জাতী তখনই উন্নত হয় যখন তারা শিক্ষা-দিক্ষায় উন্নত হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হচ্ছে একেবারে ভিন্ন।
এখানে তুমি যতবড় অশিক্ষিত-মূর্খ তুমি ততটাই দামী।
লজ্জা লাগে আমাদের মন মানষিকতা দেখলে, আমরা আজ কোন পর্যায়ে গিয়ে দাড়েয়েছি। আমরা আমাদের শিক্ষিত সমাজকে বেকার-কর্মহীন করে অকর্মা মূর্খদেরকে দিয়ে সমাজ পরিচালনা করছি। লজ্জা লাগে।
আমার কথা বিশ্বাস হয় না?
একবার নিজেথেকে খূজে দেখেন, আপনার গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা, বিভাগ এমনকি দেশেরে প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় অবস্থানটি বেশিরভাগ মূর্খদের দখলে।
এটা কিসের আলামত?
একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার দেখা যায় এসএসসি পাশ বা ফেল, কিন্তু তার সচিব হওয়ার জন্য আপনাকে ঠিকই শিক্ষিত হতে হবে।
একজন মন্ত্রী কোন রকমে এসএসসি পাশ বা ফেল কিন্তু তার হুকুমে যারা কাজ করবে তাদের উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে।
কেন?
এই মূর্খ ব্যাক্তিটি কেমন করে জানবে যে, সমাজকে কেমনে উন্নত করা যায়?
এতো গেলো শিক্ষিত আর মূর্খদের কথা। এদরে ব্যাপারে অন্যদিন লিখবো।
শিক্ষিতদেরকে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়, প্রথমত আপনি কি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাকি স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থী।
এসবের মানে কি?
শিক্ষার্থীতো শিক্ষার্থী, সেখানে মাদ্রাসা আর স্কুল কি?
আর আজ-কালতো সিলেবাস সমান, বরং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আরো অতিরিক্ত কিছু বিষয় নিয়ে স্টাডি করে, যা অবশ্যই ভালো দিক। তবে কেন তাদেরকে অবহেলা করা হয়?
শিক্ষিতদের সম্মান করতে শিখুন জাতি সম্মানিত হবে। আর মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের সম্মান করতে শিখুন জাতি নৈতিকতা শিখবে।
আজ-কাল দেখাযায় বিভিন্ন জায়গায় যখন চাকরির জন্য আবেদন করে তখন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বাদ দেয়া হয় কারন নাকি মাদ্রাসার সার্টিফিকেটের থেকে কলেজের সার্টিফিকেটের দাম বেশি।
এজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আসলেই উদ্ধিগ্ন।
আমাদের মন-মানষিকতা পরিবর্তন করা জরূরী।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সমাজেকে বদলে দেয়ার জন্য উন্নত করার জন্য সু-শিক্ষিতদের বড়ই প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩