#মিথ্যাবাদী_ও_তার_পরিণাম
এক ছিল রাখাল বালক। বনের ধারে সে গরু চরাত।
একদিন সে চিৎকার করে উঠল, ‘বাঘ এসেছে বাঘ।’
গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করতে ছুটে এল, হাতে লাঠিসোঁটা, দা-কুড়াল। এসে দেখল, রাখাল বালক হাসছে। বাঘ আসলে আসেনি। সে মজা করছিল।
কয়েক দিন পরে আবারও সে চিৎকার করে উঠল, ‘বাঘ, বাঘ।’
সহজ-সরল গ্রামবাসী। একের বিপদে অন্যে এগিয়ে আসে। তারা আবারও দৌড়ে এল বনের ধারে—এসে দেখল রাখাল বালক হাসছে।
তারা আবারও ‘ডজ’ খেয়ে ফিরে গেল যার যার কাজে।
মাস খানেক পরে আবারও চিৎকার করে উঠল সেই রাখাল বালক। ‘বাঘ এসেছে বাঘ’।
গ্রামবাসী আবারও ছুটে এল রাখাল বালকের উদ্ধারে। এসে দেখল, রাখাল বালক হাসছে। তোমাদের কী রকম ঠকালাম। আসলে বাঘ আসেনি।
তারপর একদিন সত্যি সত্যি বাঘ এল। রাখাল বালক তারস্বরে প্রাণপণে চিৎকার করতে লাগল—বাঘ এসেছে বাঘ।
গ্রামবাসীর কেউই আর এগিয়ে এল না। কতবার আর ঠকা যায়।
বাঘ খেয়ে ফেলল রাখাল বালকটিকে।
এই উপদেশমূলক গল্পটা আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি।
আমাদের সৃষ্টির সময় যেমন আমাদের রিযিক প্রস্তুত করা হয়েছিলো ঠিক তেমনি আমাদের বাকি সবকিছুও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর অর্থ হচ্ছে যে, আপনার জন্য বরাদ্ধ রিযিক আছে, জীবনে সুখ আসবে, দুঃখ আসবে, বিপদ আসবে, এগুলোকে সঠিকভাবে এক্সিকিউট করাই হচ্ছে আমাদের কাজ।
আর যদি প্রকুতির উল্টোপথে চলতে যান তাহলে, প্রতারণা, মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে যা আপনার জন্য বরাদ্ধকুত উপরোক্ত বিষয়াদি আর আপনার কাজে আসবে না। আপনার নিজেকেই খুঁজতে হবে সৃস্টিকর্তার বিপরিতে। যা কখোনই সম্ভব নয়।
সুতরাং মিথ্যার আশ্রয় থেকে বেচে থাকাটাই আমাদের জন্য শ্রেয়।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


