somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে এখন যা চলছে

০৪ ঠা জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে এখন যা চলছে তাকে আর যাই হোক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বলা চলে না। আমি এখানে তিন রকম ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ১. মিডিয়ার স্বাধীনতা হরণ ও সাংবাদিক নির্যাতন ২. বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তথা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ৩. সরকারদলীয় লোকদের তাণ্ডব। এই তিন ধরনের ঘটনা অব্যাহতভাবেই চলে আসছে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকার বার বার সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। জনপ্রিয় টকশোগুলোতে অনেক সময় সরকারের সমালোচনা থাকে। অতটুকু সমালোচনা সহ্য করার মতো মন ও সাহস থাকা দরকার যে কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের। কিন্তু পরমতসহিষ্ণুতা বলে কোনো কিছু সরকারের চরিত্রের মধ্যে আগেও ছিল না, এখনও নেই। সম্প্রতি বাংলাভিশনে পয়েন্ট অব অর্ডার নামে যে অনুষ্ঠানটি ছিল, তা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার করা হতো। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনেক অপ্রিয় সত্য বেরিয়ে আসত। সরকারের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক সমালোচনা থাকত। অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো সরকারি চাপ ছিল না। তবু সরকারের নাখোশ হওয়াই যে এ অনুষ্ঠানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
কিছুদিন আগে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। টেকনিক্যাল কারণেই বন্ধের হুকুম দেয়া হয়েছিল। আমরা টেকনিক্যাল কারণ নিয়ে কথা বলছি না, কিন্তু যার সঙ্গে কয়েকশ’ সাংবাদিক ও কর্মীর জীবিকা জড়িত, সেখানে সরকার চ্যানেলটি বন্ধ না করে অন্যভাবে নিয়ম রক্ষার ব্যবস্থা করতে পারত। কিন্তু সরকারের কাছে সাংবাদিকদের জীবিকা অথবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কোনোটারই তেমন মূল্য নেই।
সাংবাদিক নির্যাতনও প্রায় প্রাত্যহিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের তরুণ ও যুবক ক্যাডারদের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এত বেশি ঘটেছে যে, তার ফিরিস্তি দেয়ার দরকার হয় না।
বস্তুত সরকারি দলের ক্যাডারদের তাণ্ডব যেখানে সব ক্ষেত্রেই বিস্তৃত হয়েছে, সেখানে শুধু সাংবাদিকদের ওপর হামলাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার দরকার হয় না। এই তাণ্ডব সবরকম মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে, তা যে কোনো ধরনের শাসন ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ছাত্রলীগের কীর্তিকলাপ নিয়ে এরই মধ্যে অনেক লেখালেখি, অনেক বলাবলি হয়েছে। মান-অভিমানও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অভিমান করে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেতৃত্বের পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অভিমানে কোনো কাজ হয়নি। সরকারি দলের কেউ কেউ মৃদু হুমকি দিয়েছেন, কোনো ফল হয়নি। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের তরুণ সদস্যরা এতটা বেপরোয়া যে, তারা পুলিশের ওপর চড়াও হতেও দ্বিধা করছেন না। টেণ্ডারবাজি, হল দখল, সিট দখল ও কন্ট্রাক্টরির ভাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, খুনাখুনি ইত্যাদি তো আছেই। সবচেয়ে মারাত্মক যা তা হলো, তারা সরকারের প্রশাসন, আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা কিছুই মানছে না। রাজধানী ঢাকায় জনৈক তরুণ নেতার মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ার অপরাধে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীবাহিনী। ওই পুলিশ অফিসারকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগের কথা এই যে, এরকম উদ্ধত আচরণ ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করার পরও কোনো মামলা হয়নি, কেউ গ্রেফতার হয়নি। সরকারি দলের লোক হলে যদি যা খুশি করার অধিকার থাকে, তাহলে শাসন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ও সঙ্কট দেখা দিতে বাধ্য। লাগামছাড়া ছাত্রলীগ যে আওয়ামী লীগের প্রশাসনের জন্যই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, তা বর্তমান শাসকরা বোঝেন কিনা জানি না। অথবা হয়তো বুঝলেও কিছুই করার নেই।
ছাত্রলীগ বা সরকারদলীয় তরুণ যুবক কর্মীদের প্রকাশ্য সন্ত্রাসের পাশাপাশি রয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, যা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সব মিলিয়ে এক ফ্যাসিবাদী চেহারা ফুটে উঠছে।
কিছুদিন আগে আরও একটি ঘটনার খবর ছাপা হয়েছে প্রায় সব পত্রিকায়। রাজশাহীর গোদাবাড়ীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থানা ও বিডিআর চেকপোস্টে হামলা চালিয়ে হাবিলদারসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছিল? সীমান্ত এলাকায় ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছিল বিডিআর সদস্যরা। পরে তারা তাকে থানায় সোপর্দ করেন। এই ছিল বিডিআর আর পুলিশের অপরাধ। এ কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাস্তা অবরোধ করে। থানার মধ্যেই বিডিআর সদস্যদের লাঞ্ছিত করে। জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, পুলিশের কোনো দোষ ছিল না, বরং বিডিআর ও পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশকেই দোষী সাব্যস্ত করে থানার এক এসআইকে ক্লোজ করা হয় এবং ঘোষণা করা হয়, সংশ্লিষ্ট বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি দলের লোকজন মাদক ব্যবসায় জড়িত হওয়ার পরও কোনো নিয়ন্ত্রণ করা তো দূরের কথা, বরং উচ্ছৃঙ্খলতাকে এমনভাবে মেনে নিতে হলো। এতে দেশে আইন-শৃঙ্খলা বলে আর কিছুই থাকবে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্যও তা হুমকিস্বরূপ।
সরকারি দলের এ ধরনের কীর্তির পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। ক্রসফায়ারে হত্যা, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু, রিমান্ডে নিয়ে বর্বর অত্যাচার—এসবই হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ সেন্টার ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘ক্রসফায়ার টু ডেথ স্কোয়াড’। সেখানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ মানবাধিকারের দিক দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সময় অতিক্রম করছে।
ক্রসফায়ারের নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। হাইকোর্ট পর্যন্ত সুয়োমটো একটি ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ঘটনাকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে সরকারি কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করেছিলেন। কিন্তু সেই মামলা আর অগ্রসর হয়নি। হাইকোর্টের ওই বেঞ্চকে ভেঙে দেয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের এমন ব্যতিক্রমী ভূমিকা যেমন প্রশংসা অর্জন করেছিল, তেমনি পরবর্তী সময়ে বেঞ্চ ভেঙে দেয়ার ঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়েছে।
আমাদের স্মরণ আছে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিম্নআদালত কোনো জামিন না দিলেও হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ অধিকাংশ ক্ষেত্রে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু সব জামিন আটকা পড়েছিল সুপ্রিমকোর্টে। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জামিন পাননি। এরপর থেকে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা উঠে গেছে।
তারপরও কখনও কখনও হাইকোর্টের কোনো কোনো বেঞ্চ গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের সপক্ষে দাঁড়িয়েছে। যেমন ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছিল, রিমান্ডের নামে কোনো গোপন জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা চলবে না। ইন্টারোগেশনের আগে ও পরে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। অর্থাত্ জিজ্ঞাসাবাদের নামে যে নির্যাতন করা হয়, তারই বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল ওই রায়ে। ১৯৯৮ সালে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই নিয়ে তখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। ব্লাস্ট নামে একটি সংগঠন হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট ওই রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কারণ হাইকোর্টের নির্দেশ মানেন না সরকারি কর্তৃপক্ষ।
জরুরি আইন চলাকালে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো। টিএফআই সেলের নির্যাতনের কিছু কিছু বিবরণ আমরা পরে জানতে পেরেছি। সেই সময় অনেক রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অন্ধকূপে নির্যাতিত হয়েছেন। বড় ভয়ঙ্কর সেই নির্যাতনের কায়দা-কৌশল। কোনো সভ্য দেশে বন্দি অবস্থায় এমন দৈহিক নির্যাতন হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছে। সেটা ছিল আধাসামরিক শাসনের যুগ। চরম বর্বর যুগ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে এই যে, নির্বাচিত সরকারের আমলেও টিএফআই সেলে আইনবহির্ভূতভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নামে দৈহিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার লোককে রিমান্ডে পাঠানো হয় এবং তাদের একটা বড় অংশকে দৈহিকভাবে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। এই আমলে রিমান্ডের ঘটনাটা আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে। রিমান্ডে মারধর করা হবে না—এইজন্য পুলিশকে ঘুষ দিতেও হয়।
ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রিমান্ড, পুলিশ ও র্যাবের বন্দিশালায় পাশবিক নির্যাতন, বন্দি অবস্থায় মৃত্যু—এসব ঘটনার পাশাপাশি এখন শুরু হয়েছে গুপ্তহত্যা। এরই নাম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস।
বিচারবহির্ভূত হত্যা এখন সর্বত্র অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গত ২৫ মে বামপন্থী দলগুলোর যে যৌথ মিছিল হলো সেখানেও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের দাবি উঠেছে। বামপন্থী দলগুলোর ১১ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল এটি। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে বুদ্ধিজীবীরাও সোচ্চার হয়েছেন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আদালতও সাধ্যমত ভূমিকা রাখছেন। যেমন সম্প্রতি নাটোরে ক্রসফায়ারে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগে আদালত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৯ জনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আদালত এ ব্যাপারে পুলিশের ওপর তদন্তের দায়িত্ব না দিয়ে বিচারিক হাকিমকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে বলেছেন। বিচারিক হাকিম যে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাতে ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনাই বেরিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত আনসারকে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। তারপর থানা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কাকিয়ান জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। পুলিশ যে গল্প ফেঁদেছে তা পরিপূর্ণরূপে বানোয়াট। হাকিমের প্রতিবেদন তাই-ই বলেছে।
বস্তুত প্রতিটি ক্রসফায়ারের ঘটনায় এমনই ভুয়া গল্প বানানো হয়। রাষ্ট্র যখন নিজেই মিথ্যাচার করে, রাষ্ট্র যখন নিজেই সন্ত্রাস করে, তখন সেই রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা জনগণের পবিত্র দায়িত্ব হিসেবেই বর্তায়। গণতন্ত্র যেখানে নির্বাসিত, সেখানে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণ তার পথ খুঁজে নেবেই। আজকের পরিস্থিতি দেশ ও জনগণকে তেমনি এক সঙ্কটময় পরিস্থিতির দিকেই ঠেলে দিচ্ছে।
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×