মানবতাবিরোধী সেই সব শকুন
স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরও
হিংস্রতার মুখ থেকে নিঃসৃত লালা আজও শুকায়নি ।
বেইমান,নির্লজ্জ পোষা কুকুরেরা
মিশে গেছে মুক্তিকামীদের ভিড়ে ।
ওরা অপশক্তির আর্শ্চয্য আঁধার
ওরা এখনও বক্তৃতা শেষে বলে স্বজ্ঞানে
পাকিস্তান জিন্দাবাদ ।
এখন ও ওদের মস্তকে জিন্নাহ এর আদর্শ ।
মা, ও মা- তুমি কেন সে দিন বলেছিলে
যা বাবা যা-
ওদের বুক ছিঁড়ে হৃদপিণ্ডটা বের করে নেয়ে আয়
আমি দেখতে চাই তোর বেয়নেটের মাথায়
স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ।
আফসোস !
সেদিন তুমি যদি মাতৃস্নেহ আঁচলে লুকিয়ে রাখতে আমায়
যদি বলতে আমার নাভি ছেঁড়া ধনকে
অকালেই যরে যেতে দেব না ।
ওহ ! কেন ? কেন ?
তুমি শুনেছিলে সাতই মার্চের
রক্তে আগুন ধরানো জ্বালাময়ী সেই মহাকাব্য
সেই ভাষণ ।
“রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো
তবু এই দেসের মানুষ ক মুক্ত করে ছাড়বো”
তুমি যদি বধির হতে তবে তাই ভাল ছিল ।
তুমি কি বলতে পার ?
আমরা দৃপ্ত হস্ত কেনইবা করলাম সশস্র
মা তুমি কি ওপার থেকে দেখো না
এই দেশটাই ওই কুত্তা দের সাথে করছে কত খাতির
সংসদ ভবন , ভিআইপি লাউঞ্ছ ।
আহা ! এই বুকটা ছিঁড়ে যায় যখন দেখি
এই অভাগা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা ধুঁকে ধুঁকে মরে
গ্রামে-গঞ্জে, আনাচে-কানাচে, এখানে-সেখানে
অথচ নির্লজ্জের মত ঐ কাপুরুষেরা-
এখনও বলে স্বাধীনতায় আমরাও ছিলাম !
জানো-আর কত কী ?
পল্টনে ওরা নাকি দিয়েছে মুক্তি বাহিনী সংসদ ।
জানো মা- ওই নরপশুদের আমরা সবাই ভয় পাই,
এখনও ?
নয়তো কী ?
না হয় আজ ওদের নিয়ে দুটু কথা লিখতে গেলে
আমার শব্দ ছয়নে এত সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে কেন ?
তুমি আবার আসো না মা, আবার ফিরে আসো
যুদ্দ যে এখনও শেষ হয়নি ।
পারবে তুমি ওদের বিচার টা করে যেতে
জানি - তুমিও পারবে না ?
আমি ভীত সন্ত্রস্ত অপরাধী ।
আমি লজ্জিত ।
শরীর হৃদয় দহনের জ্বালায় অস্থির অলস মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন
কিন্তু মা তোমাকে আসতেই যে হবে ।
ওদের বিচার যে করতেই হবে ।