রাজধানীর শাপলা চত্বরের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষে মতিঝিল পুলিশ ফাঁড়ির ট্রেইনি সাব ইন্সপেক্টর (টিএসআই) মোহাম্মদ ফারুকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে খলিল, দীপক, মাঈনুদ্দিন, নাজমুল আহসান ও আমিরুল ইসলামসহ ছয়জনকে আটক করে মতিঝিল থানায় নেওয়া হয়। তাঁরা নিজেদের পথচারী বলে দাবি করেছেন। বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা খলিল দাবি করেন, তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং আওয়ামী লীগের কর্মী। মাইনুদ্দিন ঢাকা ডেকোরেটরের কর্মচারী ও আমিরুল ইসলাম বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের ভাগ্নে পরিচয় দেন।
জামায়াতের পাঁচ শীর্ষ নেতাসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে মতিঝিলের সিটি সেন্টারের কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যায়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি শাপলা চত্বরের কাছাকাছি গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন। কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন পুলিশ হামিদুর রহমান আযাদকে গ্রেপ্তার করতে ঘিরে ফেলেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হামিদুর রহমান আযাদকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে চাইলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে তারাও পুলিশ সদস্যদের কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। জামায়াতকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ছাড়াও ফুটপাতের দোকানিদের আম, পেয়ারা ছুড়ে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে। জামায়াতকর্মীদের মারমুখো অবস্থানে পুলিশ পিছু হটলে হামিদুর রহমান আযাদ দৌড়ে পালিয়ে যান।
মিছিলে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মাওলানা আবদুল হালিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ডা. রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, পল্টন থানা আমির ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মতিঝিল থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামাল হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আহত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক প্রতিবেদককে বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে তিনি আহত হন।
গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত দাবি করে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা ফেরার সময় পুলিশ বিনা উসকানিতে বেধড়ক লাঠিপেটা করে ১০ জনকে আহত ও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের মামলা দিয়ে সরকার বিচারের নামে প্রহসন চালাচ্ছে। '৭১ সালে যারা যু্দ্ধই করেনি তাদের যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রশ্নই আসে না। সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে জুলুম-নির্যাতন করছে।
খবরের সোর্স : কালের কন্ঠ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




