somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কাজে পাবলিকেশনের গুরুত্ব ও এর অন্দরমহল।

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(লেখাটি মাস্টার ও পি.এইস.ডি. কেন্ডিডেটদের জন্য। এছাড়া যারা পি.এইস.ডি. এর প্রথম পর্যায়ে আছেন কিন্তু "PUBLICATION" জিনিসটা স্বজ্ঞানে এড়িয়ে গেছেন তিনিও পড়তে পারেন)
আমাদের জুনিয়র-রা উচ্চশিক্ষার অনলাইন ডোর গুলিতে রেগুলার নক করছে যাদের অনেকেই কেবল এইস.এস.সি. পরীক্ষা দিয়েছে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে অথাবা ফাইনাল সেমিস্টার ছোটখাট রিসার্চ প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত। ওরা বুঝতে পেরেছে যে আমাদের এই ছোট্ট দেশটা যথেষ্ট মেধার জন্ম দিলেও যথেষ্ঠ কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরিতে পিছিয়ে আছে। কাজেই দেশের উপর বোঝা কমাতে নিজেকে বহিরমুখি করতে হচ্ছে, এর কোন বিকল্প নাই, এটা এক ধরনের দেশ সেবাই বটে। :D ফেসবুকে কিছু সুপার একটিভ গ্রুপ সব সময়ই সেচ্চাসেবকের ভুমিকায় উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে এবং নতুনদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করে তুলছে। এমনি দুটি গ্রুপ হল "HigherStudyAbroad™ Bangladesh Chapter " ও "Prospective Bangladeshi Students in Canadian Universities "।
যাইহোক, খুঁজলে অনেক লেখা পাওয়া যাবে যেখানে উচ্চশিক্ষায় CGPA/GRE /IELTS /TOEFL এর গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। তাই ভিন্ন একটি প্রাসাংগিক বিষয় নিয়ে লিখছি। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কাজে পাবলিকেশনের গুরুত্ব ও এর খুঁটিনাটি।
বর্তমান সময়ের গবেষণা হল পাবলিকেশন নির্ভর। যে এই জিনিসটি অস্বীকার করবে সে টিকতে পারবে না। এজন্য ইদানিং কিছু সেমিনার এর সাধারন বিষয় হল "Publish or Perish"। আপনার সুপারভাইজার বলবে- ' “If the work is not published, it is not done”। কাজেই আপনি যত চমৎকার কাজই করুণ না কেন, সেটা যদি কোন পাবলিকেশন প্লাটফর্ম এ পাবলিশ না করেন, তাহলে ওটার কোন প্রকৃত মুল্য নেই। আর এ কারণে আপনার কাজ চিরদিন সবার অগোচরেই থেকে গেল। আপনি যদি নিজেকে গবেষণা কাজে নিয়োজিত করতে চান এবং এই সেক্টরে ক্যরিয়ার গড়তে চান, পাবলিকেশনের কোন বিকল্প নেই। এখন কথা হল আপনি কোন লেবেল এ গবেষণা করছেন আর আপনার কাজটি কতটা সমসাময়ীক ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং তা কোথায় পাবলিশ করবেন। এগুলো নিয়েই আলোচনা হবে।

সবার আগে রিসার্স পাবলিকেশনের প্লাটফর্ম ও এই বিজনেস নিয়ে কথা বলা যাক। রিসার্চ এবং পাবলিকেশন হল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রিক ভাবে দেশের জন্য সম্মান আর এর পিছনে আছে বিশাল ব্যবসা। এই ক্ষাতে বছরে বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা হয়, আর এই ইনভেস্টমেন্ট কখনও আংশিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির নিজের অথবা সরকারী এবং অনেক ক্ষেত্রেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল। উন্নত দেশগুলিতে প্রফেসর ফান্ড জোগাড় করেন এই সেক্টরগুলি থেকেই। আর এই কম্পিটিটিভ ফান্ড সিকিউর করার পর প্রফেসর নিজেও ফান্ড প্রভাইডার ও রিসার্চ কমিটির প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে পড়েন।

এই বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট এর বিনিময়ে প্রফেসরকে সাইন্টিফিক ডাটা প্রডিউস করতে হয় যা কখনও ইন্ডাস্ট্রি কে সাপ্লাই করেন, অথবা ফান্ড-প্রভাইডার প্রদত্ত্ব তালিকার বিশেষ মানসম্মত জার্নাল এ পাবলিশ করতে হয় এবং সেটা একোনলেজমেন্ট করতে হয়। এই কাজ গুলি প্রফেসর ও প্রতিষ্ঠানের সাইন্টিফিক ভ্যালু বাড়ায়, যা নতুন স্টুডেন্ট পেতে বিজ্ঞাপণের মত কাজ করে এবং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল অ্যাফিলিয়েশন মজবুত করে।

তাছাড়াও অন্তত সফল ও ফলবান রিসার্চার হতে নিজেকে সার্বক্ষনিক সমসাময়ীক গবেষণার সংস্পর্শে থাকতে হয়, সুপারভাইজ করার দক্ষতা অর্জন করতে হয়। অতি-উচ্চমাত্রার বেসিক গবেষণার সাথে সাথে প্রায়োগিক কাজ করতে হয়, যা ডিরেক্টলি বর্তমান বাজারের টেকনোলজি, প্রডাক্ট এবং সিস্টেম আপডেট করে এবং একজন রিসার্সারের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কলাবরেশন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও সেই প্রফেসরের আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক কমুনিটিতে পরিচিতি বাড়ে। আর তখনই তার গবেষণার ঢোল অন্যরা বাজানোর দায়িত্ব নেন:)। ফলে দেশ বিদেশে Keynote- স্পিকার হয়ে ঘুরে ঘুরে নিজের ভ্যলুএবল কাজ প্রেজেন্ট করা যায়। আর এসব করতে প্রফেসরের রিসার্চ স্টুডেন্ট অথবা প্রফেশনাল রিসার্চার নিয়োগের দরকার হয়। আর এটার শুরু হয় আমাদের মত কচিকাচা আনকোরা স্টুডেন্টদের নিয়োগ দিয়ে। কখনও টিচিং বা রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে অথবা প্রজেক্ট এর কোয়ালিটি অনুযায়ী প্রফেসনাল রিসার্চার নিয়োগ দেন।:|

রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন এর বিজনেস টা আমি ২ ভাগে ভাগ করি।
এক হল- রিসার্চ আছে বলেই নতুন টেকনোলজি বাজারে আসছে এবং এই নতুন টেকনোলজি নির্ভর প্রোডাক্ট বিক্রয় হচ্ছে। এই টেকনোলজি পেটেন্টেড করা হচ্ছে, যাতে কেউ কপি করতে না পারে।

দুই হল- পাবলিকেশন বিজনেস। যে পাবলিশার যত টপ কোয়ালিটি কাজ পাবলিশ করে তাদের ইনকাম ও ইমপ্যাক্ট ততই বেশি। এই ক্যটাগরিতে কনফারেন্স ও জার্নাল পাবলিকেশন অন্তর্ভুক্ত। :)

এক নম্বর পয়েন্টার সাথে পেটেন্ট জড়িত। ল্যটিন শব্দ "প্যাটের" থেকে এই পেটেন্ট শব্দটির উৎপত্তি। পেটেন্ট আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ যা আপনি সমসাময়িক টেকনোলোজি, প্রোডাক্ট অথবা সিস্টেম ডেভেলোপ করে অর্জন করেছেন। পেটেন্ট হল আপনার আবিস্কারের এমন একটি বানিজ্যিক যন্ত্র যা কাজটির বানিজ্যিক সিকুরিটি দিবে। এর জন্য একেক দেশের নিয়ম একেক রকম। উদাহরন সরুপ- US-পেটেন্ট এর নিয়মকানুন EU-পেটেন্ট এর চেয়ে শীথিল। যেখানে আপনি আপনার কাজ US-পেটেন্টে ফাইল করার আগেই পাবলিকলি কনফারেন্সে ডিসক্লোজ করতে পারবেন এবং পার্টিয়াল রেজাল্ট জার্নালে পাবলিশ করতে পারবেন, এবং আপনার আবিস্কার বিক্রয় করতে পারবেন; সেখানে পেটেন্টেড হওয়ার আগে- EU-পেটেন্ট রুল কোনটাই করতে দিবে না। আপাতত এটা নিয়ে আমরা না ভাবি। পেটেন্ট অনেক সময় সাপেক্ষ জিনিস, প্রায় কাজ রেডি থাকার পরও পেটেন্টেড করতে ১ থেকে ২ বছর সময় লেগে যেতে পারে।

এখন পর্যন্ত একইসাথে সবচেয়ে সফল পেটেন্ট ব্যক্তি্ত্ব ও ব্যবসায়ী হলেন লাইট বাবা "টমাস আলভা এডিসন":) ওনার টোটাল পেটেন্ট এর সংখ্যা ১১০০ টার কিছু বেশি।এখানে সুত্র । আমাদের সময়ের পেটেন্ট নায়ক ছিলেন, "স্টিভ জবস" যার ৩১৩ টি পেটেন্ট এ নাম অন্তর্ভুক্ত আছে। যার আবিস্কার আমাদের কম্পিউটারকে করেছে সার্বাধিক ইউজার ফ্রেইন্ডলি ও হাতে তুলে দিয়েছে অসাধারন সব মিনি কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স।:D এতসব কারবার সবই অর্থনৈতিক আর সেবাপন্য বাজারজাত করনের নতুন নতুন কৌশল। এমন অনেক নামকরা গবেষক আছেন যারা ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেন, শত শত নতুন প্রডাক্ট তৈরিতে ভুমিকা রাখেন কিন্তু জার্নাল পাবলিকেশন করেন না। আবার অনেক গবেষক আছেন যাদের পেটেন্ট নাই বললেই চলে কারন তাদের কাজের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালু কম।

দুই নম্বর পয়েন্ট-জার্নাল এবং কনফারেন্স নিয়ে কথা বলা যাক। জার্নাল হল সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় পাবলিকেশন প্লাটফর্ম। কারও জানতে ইচ্ছে করতে পারে পৃথিবীতে কতগুলি জার্নাল আছে এবং কোন বিষয়ে কতটি আছে। আর এই জার্নাল গুলির পাবলিশার কারা।
আপাতত একটা লিন্ক দিচ্ছি ""জার্নাল সিক ডট নেট " এইখানে গেলে একটা আন্দাজ পাবেন। প্রায় "১ লক্ষ ৩০ হাজার" জার্নাল এর টাইটেল নিয়ে কমপক্ষে "৬ হাজার" পাবলিশার চমৎকার ব্যবসা করছে। এইখানে কিন্তু "যদু-মধু" জার্নাল থেকে "ন্যাচার ", "দি লানচেট ", "সেল " ও "সাইন্স " এর লিস্টও আছে। কাজেই ঐ যদু-মধু জার্নাল ও পাবলিশার কে কোন গুরুত্ত্ব দেয়া যাবে না।
এই লিস্ট কিন্তু দিন দিন বাড়তেই থাকবে কারন দুই দিন পর কোন বেআক্কেল পাবলিশার এ ধরনের যদু-মধু জার্নাল হোস্ট করবে।;) এটা একটা সুপার ব্যবসা। গবেষক, লেখক ও সাইন্টিস্টদের সংখ্যা যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এদের ব্যবসার অবস্থা পোয়া বারো।:)
সত্যি কথা বলতে, উপরে উল্লেখিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার জার্নাল এর ভেতর শুধুমাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার জার্নাল কে রিলায়েবল বা ভাল বলা যায়। এখন জানতে হবে, কোন ২০ হাজার জার্নাল ভাল, আর কারাই বা এই ২০ হাজার জার্নাল এর পাবলিশার আর এদের র‌্যাংকিং-টাই বা কিভাবে হয়?

আপনি কিভাবে বুঝবেন কোনটা যদু-মদু আর কোনটা ভাল জার্নাল। এইখানে ক্লিক দিয়ে দেখতে পারেন-Web of Science covers only 12,000 Journals.view this link, Scopus contains about 21,000 peer reviewed journal lists. view this link। আবার হাজার হাজার পাবলিশার এর লিস্ট পাবেন এখানে। যাদের বেশির ভাগ আগাছা পাবলিশার।(ক্লিক দেন)।

অনেক ভাল পাবলিশারদের ভেতর কিছু জনপ্রিয় পাবলিশার এর নাম নিচে দিলাম যারা মানবিক, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেডিকেল সব বিষয়ের উপর আবার কোন কোন পাবলিশার স্পেসিক বিষয়ের উপর অনেক নামিদামি জার্নাল হোস্ট করে।
১। Elsevier (২৬৬৫), ২। Springer (1781), ৩। John Wiley and Sons (1485), ৪। Taylor and Francis Group (1453), ৫। IEEE (357), ৬। Nature Publishing Group (130), ৭। Royal Society of Chemistry (66), ৮। American Chemical Society (59), ৯। BioMed Central (291), ১০। American Scientific Publishers (৭৪), ১১। The American Society of Mechanical Engineers (৫০) ইত্যাদি, আরও কিছু আছে যেগুলি মোটামুটি পপুলার। প্রকৃতপক্ষে ব্রাকেটের জার্নাল সংখ্যা আরও বেশি।

যত সুন্দর হোম পেজ হোক না কেন আর যতই আকর্ষনীয় নাম দিক না কেন, যদি না কোন জার্নাল ISI-indexed না হয়, সেই জার্নাল এ পাবলিকেশনের ট্রু-ভ্যলু কম। অ্যমেচার রিসার্চার জিজ্ঞেস করতে পারে এই ISI-লিস্ট আবার কি জিনিস, এইটা কোথায় পাওয়া যায়?X((
ISI হল Institute for Scientific Information , যা ১৯৬০ সালে স্টাব্লিসড হয় আর ১৯৯২ সালে "থমসন রেউচার কর্পোরেশন " কিনে নেয়। এই ইন্সটিটিউট যত পিয়ার রিভিউ জার্নাল আছে তার ডাটা এবং সেগুলোতে যত রিসার্চ পেপার আছে এবং তার সংশ্লিষ্ট অথরের একাডেমিক ডাটাবেস সংরক্ষন করে। এই লিস্টে যদি কোন জার্নাল এর নাম না থাকে আর আপনি যদি সেখানে পাবলিশ করেন, ঐ কাজের কোন ট্রু ভ্যালু পাবেন না।:((

এই ISI-indexed জার্নাল গুলি সাধারণ ভাবে ৩টি ভাগে বিভক্ত, ১। Science Citation Index/Expanded (SCI)/(SCIE) , ২। Social Sciences Citation Index (SSCI) , ৩। Arts and Humanities Citation Index (AHCI) .
যার রিসার্চের বিষয় যে ক্যটেগরিতে পড়বে সে সেই ধরনের জার্নাল গুলিতে পাবলিশ করবে। আপনি যখন শুধুই জার্নাল এর নাম জানেন কিন্তু জানেন না যে এটা ISI-indexed কি না। তখন খেয়াল করবেন যে যদি আপনার জার্নালটি উপরে উল্লেখিত পাবলিশারদের (Elsevier, Springer, John Wiley and Sons, Taylor and Francis Group ইত্যাদি) কোন একটা হয় তাহলে সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ISI-indexed। অন্যথায় আপনি নিচের লিন্কে যেয়ে চেক করতে পারেন। এখানে শুধুই (SCI)/(SCIE), (SSCI) এবং (AHCI) লিন্ক গুলিতে যাবেন, যাদের পাশে (Web of Science) লেখা আছে।
এই ধরেন লিন্ক--<

এখন আপনি ISI-indexed জার্নাল এর লিস্ট পেলেন কিন্তু জানেন না যে কোন জার্নাল এর কোয়ালিটি কেমন। এই কোয়ালিটি জিনিসটা ৪ ভাগে বিভক্ত। জার্নাল এর এই কোয়ালি জিনিসটা Impact Factor এর উপর নির্ভর করে। কোন জার্নাল এর Impact Factor হল পুরোপুরি বিষয় নির্ভর ব্যপার, যে বিষয়ের উপর পৃথিবীতে যত বেশি রিসার্চ হয় সেই বিষয়ে তত বেশি জার্নাল আর্টিকেল ডাউনলোড হয় এবং রেফারেন্স হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয়। যার কারনে ঐ বিষয়ে Citation বেশি হয় এবং সেই বিষয়ের জার্নাল গুলির Impact Factor ও বেশি হয়। কোন বিশেষ জার্নাল এর ঐ বছরেরে Impact Factor ক্যলকুলেশন করা হয় হয়, ঐ জার্নাল থেকে আগের দুই বছরের পাবলিকেশ এর মোট Citation-সংখ্যা কে ঐ দুই বছরের পাবলিকেশন সংখ্যা এর সমষ্টি দিয়ে ভাগ করে। কাজেই জার্নালিজম কিংবা সোসাইল সাইন্স এর কোন বন্ধু যদি কম Impact Factor এর জার্নাল এ পাবলিশ করে তাহলে আপনি ইন্জিনিয়রিং বিষয়ের রিসার্চার হলে মুখ কুচকানোর কিছু নেই। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই আপনার বিষয়ের জার্নাল গুলির Impact Factor কিছু টা বেশি। এর জন্য আপনি Impact Factor কত এটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আসলে ঐ বিষয়ে জার্নালটির Rank কত তা জানতে চাইতে পারেন। জার্নাল এর Rank গুলি পুরোপুরি বিষয় নির্ভর।
Q1= টপ ২৫% জার্নাল,
Q2 = ২৬% - ৫০%
Q3 = ৫০% -৭৫%
Q4 =৭৫% -১০০%


আর এই র‌্যংকিং জিনিসটা ISI's Web of Knowledge database service থেকে পাওয়া যাবে। হয়ত বাংলাদেশে অনেকেরই এক্সেস নাই, কিন্তু সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সেস থাকা উচিৎ।
এইখানে ক্লিক করেন-ISI's Web of Knowledge

নিচে ছবি আকারে দিলাম বোঝার জন্য। চারটি জার্নাল এর চার ধরণের Rank।



আগেই বলেছি এই Rank ও Impact Factor পুরোপুরি বিষয় নির্ভর। দেখা যায়, সোসাইল সাইন্স অথবা থার্মাল ইন্জিনিয়ারিং এর বিষয়ে কোন জার্নাল এর, Impact Factor =1.7 অথবা 2.1 হলেও, Q1 ক্যটাগরিতে পড়ছে, আবার অনেক সময় কিছু কিছু রিসার্স ফিল্ডে (বায়োসাইন্স, ম্যাটেরিালস) Impact Factor = ২ অথবা ৩ হলেও, Q2 ক্যটাগরিতে পড়ে যাচ্ছে। তাই নতুন রিসার্চারদের এই বিষয় গুলি চেক করে ম্যানুস্ক্রিপ্ট সাবমিট করা উচিত। সাধারণত পিয়ার রিভিউ করতে একেক জার্নাল গড়ে একেক ধরণের সময় নেয়। খুব কম সংখ্যক জার্নাল রিভিউ করতে ১ থেকে দেড় মাস সময় নেয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ মাস আবার কখনও কখনও ৬ মাস সময় ও লাগতে পারে। কাজেই কম সময়ে জার্নাল এক্সেপটেন্স পেতে আপনার কাজ সাবমিট করার আগে এসব চেক করে নিন। নিজের কাজ নিজে জাচাই করতে শিখুন।

এইযে এত গুলি জার্নাল আর এতগুলো পাবলিশার। আর এদের বেশির ভাগ গুলিতে যদি কোন ইউনিভার্সিটি বা ইন্সটিটিউট এক্সেস চায় তাকে বাৎসরিক হয়ত লাখ ডলার এর চেয়েও বেশি খরচ করতে হয়। এইটাই হইল পাবলিকেশন ব্যবসা। অনেক সময় ওপেন এক্সেস জার্নাল এ আপনার কাজ পাবলিশ করতে চাইলে হাজার ডলার গুনতে হতে পারে। কাজেই বুঝে শুনে আপনার পেপার সাবমিট করুন। আপনি ওপেন এক্সেস পাবলিশ করতে চান কিনা সেটাও সাবমিট করার সনয় কনফার্ম করুন।

আসল কথায় আসা যাক।:):) এখন আমি বর্তমান রিসার্চ এর হাল-হকিকত আলোচনা করব।:|

আসুন খুব ছোট থেকে বড় হই। ধরুণ আপনি এখনও মাইক্রস্কপিক প্রফাইল এর মালিক, যার কারনে আপনি কারও নজরে আসেন নি। আপনি কেবল বাংলাদেশী কোন ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্রাজুয়েশন পড়ছেন, আপনার স্বপ্ন, অনেক বড় গবেষক হবেন। নতুন কিছু জানতে ও নতুন কিছু জানাতে আপনি খুব ভালবাসেন, নিজেকে সমসাময়ীক বিজ্ঞানের সাথে আপডেট রাখতে চান। সম্প্রতি পাশ করেছেন। আপনি মোটামোটি মানের অথবা বলিষ্ঠ CGPA নিয়ে এখানে ওখানে উচ্চশিক্ষার আশায় নক করছেন। আপনার বন্ধুরা GRE/IELTS/TOEFL নিয়ে খুব ব্যস্ত। আপনিও নিজের সাধামাটা CGPA টাকে এক্সট্রা সাপোর্ট দেয়ার জন্য GRE তে ভাল স্কোর করতে রাত আর দিন এক করে ফেলেছেন। এই যে এত সব আয়োজন, সব আসলে কিসের জন্য। একটা ভাল দেশ থেকে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ অথবা টিচিং কিংবা রিসার্চ এসিস্টেন্টশিপ অথবা পার্শিয়াল টিউশন-ফি ওয়েভার যোগাড় করার জন্য, তাই না। ইদানিং এতকিছু থাকর পরও পাবলিকেশনের খুব দরকার হয়, কারণ স্কলারশিপ অনেক কম্পিটিটিভ হয়ে গেছে। তাছাড়াও এর গুরুত্ব বাড়ছে প্রসপেক্টিভ সুপারভাইজর কে বোঝাতে যে আপনি রিসার্চ পেপার নিয়ে বেশ ঘাটা-ঘাটি করেছেন। এই স্থরে (মাস্টার্স লেভেল) স্কলারশিপ এর জন্য যদি কেউ মনে করে তার পাবলিকেশন থাকলে ভাল হবে। আমার ভাষায় হাবিজিবি টাইপ কিছু পাবলিকেশন থাকলেই হয়। এই হাবিজাবি জিনিসটা খুব সহজ জিনিস।
এর জন্য আগে থেকে একটু সচেতন থাকলেই হয়। যেমন, আমরা মোটামুটি সবাই শেষ সেমিস্টার এ রিসার্স টাইপের কিছু একটা করি। এই কিছু একটা করাটাকে ফ্রুটফুল করতে হবে। সে চাইলেই নিউমেরিকেল অথবা কম্পিউটেশনাল কিছু কাজ করতে পারে যার জন্য কোন এক্সপেরিমেন্টাল সেটআপ এবং ব্যায় কোনটাই হবে না। তাছাড়া খুব বেশি সময়ও দরকার নেই। কারন সে অলরেডি একটা পাবলিস্ড কাজ এর গভারনিং ইকুএশন অথবা ওপেন প্রগ্রাম নিয়ে কাজ করছে। সুপারভাইজরের সাথে একটু কথা বললেই ওনারা কিছু রিলেটেড পাবলিস্ড পেপার হাতে ধরিয়ে দেবে। পুরো কাজটা যদি অনুসরণ করেও এই স্টেজে একটা পাবলিকেশন করা যায় তাহলে বিশাল ব্যপার। যারা নিউমেরিকেল/কম্পিটেশনাল কাজে মোটেও দক্ষ নন তারা ছোট খাট সমসাময়ীক এক্সপেরিমেন্টাল কাজ অনুসরণ করতে পারেন। তবে বাংলাদেশে সেই ম্যাটেরিয়েল এভাইলেবল কিনা, অথবা দাম কেমন এগুলো চিন্তা করে এগুতে হবে। আর যারা সাইন্স কিংবা ইনজিনিয়ারিং ব্যকগ্রাউন্ড এর না, ওনারা নিজেদের মেজর এর উপর সমসাময়িক স্টাডী করে স্টাটিস্টিকাল অথাব সার্ভে রিপোর্ট পাবলিশ করতে পারেন। আর সবার জন্য একটা কমন উপায় হল, আপনার মেজর ও স্পেসিফিক ইন্টেরেস্ট এর উপর রিভিউ পেপার লেখা, যদিও আমি এ ধরনের কাজ করার জন্য কাউকেই উৎসাহিত করব না, অনেক ক্ষেত্রে এটা মোটেও ভাল না। এর জন্য কোন বড় ভাইয়া বা আপুর (যারা বাহিরে পড়ছেন) কাছ থেকে ৫০-১০০ টি রিলেভেন্ট পেপার ডাউনলোাড করে নিতে পারেন, আর আপনিও কিছু ওপেন এক্সেস পোর্টাল থেকে ডাউনলোড করেতে পারেন।
এই যে এতোক্ষণ ধরে কপি/পেস্ট টাইপের কথা বললাম। ভাবতেছেন আমার ইথিকস ঠিক আছে কি না। ইথিকস আমার খুবই কষা। যুগ যেহেতু পাল্টাচ্ছে, একজন মাস্টার্স কেন্ডিডেট এর কাছ থেকে ওরা (উচ্চশিক্ষার তীর্থ) যেহেতু পাবলিকেশন আশা করে তাহলে কি আর করা। আমরা তো আর নিউটন না যে ২১ বছর বয়সে জীবনের সেরা বইটা লিখে ফেলব। তারপরও, ধরেন আপনি কিছু একটা করে ফেলেছেন আর এখানে সেখানে দিয়ে অনলাইন এ পাবলিশ করলেন। আগেই বলেছি, যদি জার্নাল ISI-indexed না হয় তাহলে ওটা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই। কিন্তু না। এই স্তরে আমি বলব, যা পারো যাভাবে পারো কিছু একটা করো, কারন তোমার প্রফেসর দেখবে যে, ছেলেটা ISI-indexed জার্নাল এ পাবলিশ করতে পারে নাই ঠিক কিন্তু জার্নাল পেপার পড়েছে এবং সে এই জগত সম্পর্কে কিছু জানে। কিন্তু ভুলেও এই জায়গা উতরে যখন নেক্সট স্টেজ এ রিসার্স শুরু করবেন, ঐ জিনিসটা চিরদিনের জন্য বায়োডাটা থেকে সরিয়ে ফেলবেন। কারন পরে নিজেই ওটার জন্য লজ্জা পাবেন।:P

জার্নাল পেপার লেখা কিন্তু খবরের কাগজে রিপোর্ট কিংবা গল্প, উপন্যাসের মত মনের মাধুরী মিশিয়ে যা খুশি যেমন খুশি লেখা নয়। এখানে আবেগ ভালবাসা দিয়ে গতানুগতিক শব্দ ব্যবহার করার কোন অপশন নাই। তাই একটা জার্নাল পেপার লেখার আগে এটলিস্ট ঐ বিষয়ের উপর ১০০-২০০ জার্নাল পেপার পড়া দরকার যা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের জার্নাল এর স্ট্রাকচার ও কোয়ালিটি সম্পর্কে ধারণা দেবে। তাছাড়া কি ধরনের সাইন্টিফিক শব্দ ও রেফারেন্স দিয়ে আপনার ডাটার গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন ও এর ব্যখ্যা দিবেন তার একটা রুপরেখা পাবেন। যাই হোক, জার্নাল লেখার নিয়ম কানুন ও গুরুত্ত নিয়ে পরে আরেকটি লেখা প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। তাই এখানে এ বিষয়ে কিছুই লিখলাম না।;)

এখন আসি, যারা মাস্টার লেভেল এ পড়াশুনা করছে এবং ভবিৎষতে পি.এইস.ডি. করবেন এমন রিসার্চারদের বিষয়ে।
আসলে উচ্চশিক্ষার তীর্থ স্থান বা ইউনিভার্সিটি গুলি বিলয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করছে রিসার্স এর জন্য যার অন্যতম আউটপুট হল পাবলিকেশন। অনেকেই বলবে মাস্টার লেভেল এ কিসের পাবলিকেশন, বেশি বেশি পড় আর এটা কর ওটা কর। খুব কম মানুষ আশে পাশে পাবেন যারা এই লেভেল এ পাবলিকেশ করতে বলে। আরে ভাই একটা ভাল পাবলিকেশ কি আকাশ থেকে উড়ে আসে। ঐটার পিছনে সময় দিলে কি পড়া লেখা হয় না। আমার এক্সপেরিেনস হল, এশিয়ান কিছু দেশ এই ক্ষেত্রে এগিয়ে। এরা এখনও USA, UK, Germany, Japan এর মত রিসার্চ এ সুপার-স্টাব্লিস্ড হয় নাই, কিন্তু মাস্টার লেভেল এর স্টুডেন্টদের কে দিয়ে কিছু একটা করানোর চেষ্টা চালায় আর এই চেষ্টায় কেউ কেউ ২ টা , ৪ টা কখনও কখনও তারও বেশি পাবলিকেশন করে ফেলে। আমি বলছিনা যে এই পাবলিকেশন একেবারে আহামরি কিছু কিন্তু এটাই তাদের কে পরবর্তী রিসার্চ স্টেজ এ আরও অরিজিনাল রিসার্চ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
আনেক ধরনের পাবলিকেশন আছে--কিছু না কিছু তো করা যেতেই পারে, এখানে কিছু নাম দিলাম;
১। ফুল আর্টিকেল,
২। কমুনিউকেশন,
৩। লেটার,
৪। রিপোর্ট,
৫।সিস্টেমেটিক রিভিউ,
৬। মিনি রিভিউ,
৭।ন্যারাটিভ রিভিউ,
৮। টপিক্যাল রিভিউ,
৯। ফিয়েচার আর্টিকেল,
আরও কত কি, এখন মনে নাই।:P

বিশেষ করে যারা USA, UK, Germany, Japan এ পড়াশোনা করছেন, তাদের কাছে এই স্টেজে পাবলিকেশন খুব একটা গুরুত্বের না। তবে যুগ পাল্টাচ্ছে ঐ সকল দেশেও এখন এই লেবেল এ পাবলিকেশ এর ছড়াছড়ি। সবকিছু কেমন যেন পাবলিকেশন নির্ভর হয়ে গেছে। আমি একজন মাস্টার্স স্টুডেন্ট কে বলছিনা যে পাবলিকেশন করে দুনিয়া উল্টায় দিতে হবে। আমার কথা হইল, যা পার কর কিন্তু ISI-indexed, Q1, Q2 এর বাহিরে যেন না যায়। কারন যদি এখন Q4 স্টান্ডার্ড সেট কর তাহলে পি.এইস.ডি তে হয়ত Q1, Q2 হবে। আর এখন Q1, Q2 পাবলিকেশন এ হাত পাকলে, পি.এইস.ডি. তে Q1 তো অবশ্যই, মনে হবে শুধুই টপ ৫% জার্নাল ছাড়া পাবলিশ করব না। এবং সেই অনুযায়ী কোয়ালিটি কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরী করা যাবে। যারা খুব বেশি ট্যালেন্ট না বা কোন কারনে USA যেতে পারেন নাই, তারা কোন ভাবেই হতাশ হবেন না। কারন আমার দেখা ২ টা দেশ মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য আসলেই খুব ভাল, তাতে হাতে কলমে অনেক কিছু করার পর কিছু পাবলিকেশন ও করা সম্ভব যেগুলি পি.এইস.ডি. এর ফান্ড ম্যনাজ করতে খুব সাহায্য করবে। আর সেই দেশ দুটি হল মালয়শিয়া এবনহ কোরিয়া। যাও কিছু একটা করও ও পাবলিশ করো।

একটু পি.এইস.ডি. লেভেল রিসার্চারদের নিয়ে কথা বলি। আমিও এই কেটাগরিতে আছি এক বছরের বেশি হইল, পি.এইস.ডি. করার জন্য অষ্ট্রেলিয়াতে আসছি। :P আমি যে জায়গায় আছি, সেটা কিন্তু আহামরি কোন ভাল জায়গা না, তারপরেও সেই জায়গার কয়েকটা রিসার্চার নিয়েই কথা বলব। অনেকেই বলবে, অমুক ভাই না ৫ টা পাবলিকেশন নিয়ে তমুক জায়গায় আছে। আরে অত লাগে না, খালি বেশি বেশি।শোনেন, আমাদের আশেপাশেই এমন এমন পাবলিক আছে যারা কেবল পি.এইস.ডি. শেষ করছে সাথে ২০-২৫ টা ভাল পাবলিকেশন। বেশির ভাগই ১-৫ নম্বর র‌্যাংকিংএ, যেগুলার Impact factor ৮ থেকে ১২, কখনও কখনো ১৫-২০। এখন কন কেমন লাগে।
উদাহরণ-১: আমার এক কলিগ-এক মাস হল পি.এইস.ডি. শেষ হল, USA- তে পোস্টডকটোরাল ফেলোশিপ নিয়ে চলে গেল, নাম Tushar Kumeria, এখন পাবলিকেশনের সংখ্যা ৪০ এর বেশি, h-index - ১২, প্রোফাইল লিন্ক-১, প্রোফাইল লিন্ক-২

উদাহরণ-২ নাম: Tian-Yi Ma, গত বছর পি.এইস.ডি. শেষ করেছে। এখন পাবলিকেশনের সংখ্যা ৫০ এর বেশি, h-index - ২১, প্রোফাইল লিন্ক-১

পি.এইস.ডি. তে স্কলারশিপ এখন সবখানেই টাফ। ভাল জায়গা থেকে পি.এইস.ডি. না করলে এবং ভাল ভাল পাবলিকেশন না থকলে আসলেই কোন ভাত নাই। চোখে মুখে অন্ধকার। পোস্ট-ডকটোরিয়াল ফেলোশিপ না পেলে, প্রফেশনাল রিসার্রসার হওয়ার ইচ্ছে মরে যাবে। বউ-বাচ্চা নিয়ে উপোস থাকা ছাড়া কোন উপায় নাই। পয়সা ছাড়া হয়তো কোন ল্যবরেটরিতে কামলা দেয়া যাবে কিন্তু ভাল গবেষক হওয়ার সখ হয়ত অপুর্নই রয়ে যাবে। কারণ একটাই, আপনি যত বড় রিসার্সারই হন-না কেন, আপনার ভাল পাবলিকেশন নাই আর পাবলিকেশন ছাড়া কি করে একজন প্রফেসরকে আপনি বোঝাবেন যে আপনি আসলেই খুব ভাল এবং পরিশ্রমী গবেষক।

কয়েকটা ভাল প্রফেসরের প্রফাইল দিলাম, যারা আসলেই বিগ ফিশ।
প্রফাইল ১: Grä̈tzel, Michaël -উনি ডাই সেনসিডাইজ্ড সোলার সেল এ জনক। h-index - ১৯১, মোট পাবলিকেন এর সংখ্যা- ১০০০ এর বেশি, (রেফেরেন্স-১)-Scopus (রেফেরেন্স-২)-Google Scholar

প্রফাইল ২: Rodney Ruoff- উনি কার্বন বেইস্ড ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে কাজ করেন, বিশেষ করে গ্রাফিন নিয়ে কাজ করে খুব জনপ্রিয়। h-index - ১১০, মোট পাবলিকেন এর সংখ্যা- ৬০০ এর বেশি।
(রেফেরেন্স-২)-Google Scholar

প্রফাইল ৩: Antonietti markus -- উনি বেসিক্যলি ফটো এন্ড ইলেক্ট্রো-ক্যাটালিস্ট নিয়ে কাজ করেন। h-index - ১৩৭, মোট পাবলিকেন এর সংখ্যা- ৮০০ এর বেশি।
(রেফেরেন্স-১)-Google Scholar

প্রফাইল ৮: John Stankovic - উনি ওয়ারলেস সেন্সর নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেন। -index - ১০৫, মোট পাবলিকেন এর সংখ্যা- ৫৫০ এর বেশি।
(রেফেরেন্স-১)-Google Scholar

এ ধরনের আরও শত শত প্রফেসর আছেন।
এমনও গবেষক আছেন যাদের পাবলিকেশনের সংখ্যা (১০০) অনেক কিন্তু সাইটেশন (৭০) নাই বললেই চলে। এদের বেশিরভাগ কাজের ক্রিয়েটিভিটি নাই এবং কপি-পেস্ট কাজ, তাই এমন হয়েছে। আবার এমনও গবেষক আছেন যাদের মাত্র ২০ টা পাবলিকেশ আর সাইটেশনের সংখ্যা ২০,০০০ মত, h-index - ১৬।
উদাহরণ: (রেফেরেন্স-১)-Scopus

এখন আপনি ঠিক করুণ আপনি কি ধরনের গবেষক হতে চান। যাইহোক পাবলিকেশন সংখ্যা এবং সাইটেশন হল বিষয় নির্ভর ব্যপার কাজেই মানবিক বিভাগের গবেষকদের খুব কম পাবলিকেশন ও সাইটেশন থাকলে অত দুশ্চিন্তার কিছু নেই। :D
এটি বাস্তবতার প্রেক্ষিতে লেখা। এতে অনেকের ভিন্নমত থাকতেই পারে।


লেখক: জুলকার নাঈন
তারিখ: ১১/০৮/২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×