আমল একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে কাজ। শরিয়াতের পরিভাষায় সেই সকল কাজ যা ভাল কাজ বলে বিবেচিত, যা করার জন্য মহান আল্লাহ’র নির্দেশ রয়েছে এবং সেই সকল কাজ যা মহান আল্লাহ কর্তৃক নিষেধ রয়েছে তা নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর (সঃ)’র তরিক্বা অনুসারে পালন করা ও দূরে থাকাকে আমল বলা হয়। আমল দুই প্রকার। যথা –
এক) নেক আমল বা ভাল কাজ;
দুই) বদ আমল বা খারাপ কাজ
ভাল কাজ করলে পুরস্কৃত হওয়া এবং মন্দ কাজ করলে তিরষ্কৃত হওয়া বা শাস্তি দেবার যে বিধান তা সৃষ্টির শুরু হতেই চলমান একটি পক্রিয়া। ভাল-মন্দ কাজের উপর ভিত্তি করে পুরুস্কৃত করা বা শস্তি দেবার যে বিধান তা কোন ধর্মের অনুসারীরাই অস্বীকার করে না। বরং পবিত্র কুরআনে এই উম্মতে মুহাম্মদীকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র তারা ভাল কাজ করতে আদেশে দেয় এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করে বা বাধা দেয় বলে। তথাপিও আধুনা শিক্ষার কতিপয় দাবীদারকে দেখা যায় ভাল কাজ করতে বললে কিংবা মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বললে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয় যদি উক্ত কাজ করার তাগিদ ধর্মীয় আনুকূল্যে উপস্থাপন করা হয়। এরা নিজেদেরকে কোন ধর্মের অনুসারি হিসাবে দাবী করে না বটে তবে ভাল–মন্দ কাজের মাপকাঠি হিসাবে মানবধর্ম নামে একটি মুখরোচক শব্দ ব্যবহার করে যেখানে তারা মন্দ-ভাল’র ফলাফলও নশ্বর এই দুনীয়াতে দৃশ্যমান হিসাবে উপস্থাপন করে এবং আখেরাতে পুরুস্কার বা তিরস্কারের ব্যপারটিকে অযথা হিসাবে প্রচার করতে থাকে যা ইসলাম ধর্মের সাথে বৈরিতা মর্মেই আমার কাছে প্রতিয়মান হয় । এরা যে কোন কিছুকেই যুক্তির নিরিখে বিবেচনা করে এবং যুক্তির ভিত্তিতেই ফলাফল নির্ধারণ করে থাকে। এহেন নাদানদের নিয়ে ভাবনায় ডুবে থাকা অমূল্য সম্পদ সময়ের অপব্যবহার বলেই মনে করি। কিন্তু মনে খুব ব্যথা পাই যখন মুসলমান বন্ধুগণ এদের উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগান্ডায় শামিল হয়ে নিজের আখেরাতকে নষ্ট করার দিকে পুনঃপুনঃ ধাবিত হচ্ছে। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০০