somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ খুরশীদ আলম
যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

প্রসঙ্গ- একাধিক (চার) বিয়ের বৈধতার বিরুদ্ধে ব্লগার এ আর 15 এর উদ্দেশ্যমূলক পোষ্টের জবাব দাখিল ও আলেম ওলামাদের ব্যঙ্গ করা এবং তার দৃষ্টি আকর্ষণ

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রসঙ্গ- একাধিক (চার) বিয়ের বৈধতার বিরুদ্ধে ব্লগার এ আর 15 এর উদ্দেশ্যমূলক পোষ্টের জবাব দাখিল ও আলেম ওলামাদের ব্যঙ্গ করা এবং তার দৃষ্টি আকর্ষণ


আলেম-ওলামাদেরকে কাঠমোল্লা বা অন্যকোন নেতিবাচক বিশেষণে উপস্থাপন করা শরিয়তের সাথে ধৃষ্টতা ও চরম বেয়াদবির শামিল। হাদিসের কিতাব ‘মুসনাদে আহমদ’ এর ইলম অধ্যায়- ইলম ও উলামার মর্যাদা ও ফজিলত অনুচ্ছেদের ২ নং হাদিস – আনাস ইবন মালিক রা. হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, “রাসূল স. বলেছেন-জমিনের আলিমগণের উদাহরণ হচ্ছে আকাশে নক্ষত্ররাজির ন্যায়। এদের সাহায্যে জল ও স্থলের অন্ধকারের পথের দিশা পাওয়া যায়। আর যদি তারকারাজি নির্মিলিত হয়ে যায়, তবে পথ নির্দেশকদের পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।”

আমরা যারা ব্লগে নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করি তাদের সকলকে প্রথমেই স্বীকার করতে হবে যে, আমরা কেউ মাদরাসা তথা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হতে জ্ঞানপ্রাপ্ত আলেম নই। আলেম না হয়ে ইসলামের কোন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও কথা বলতে কিংবা লেখালেখি করতে আমাদের সংশয় ঘটে না-এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যখন আমরা ধর্মীয় (পরিবর্তনশীল নয়) হুকুম-আহকামের বিষয়ে নিজের মতামতকে নিজের মতো করে ব্লগে তুলে ধরি। একথা সর্বজনবিধিত যে, ইসলামের কোন প্রতিষ্ঠিত হুকুম-আহকামই পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু একশ্রেনীর লোকজন যখন ইচ্ছাকৃতভাবে সঠিক ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে গিয়ে বিপরীত ব্যাখ্যার অবতারণা করেন সেটা তখন চরম ধৃষ্ঠতার মধ্যেই পড়ে।

ইসলামে চার বিয়ে জায়েজ নাকি নাজায়েজ শিরোনামে ১৭ আগষ্ট ১২.৩৮ ইং তারিখে এমনই এক ব্লগ লিখেছেন প্রিয় ব্লগার জনাব এ আর ১৫। আমি জানিনা সেটা তিনি কোন উদ্দেশ্যে লিখেছেন। কলমে যা আসে তা লিখলেই সেটা শরিয়াতের মাসয়ালা হয়ে যায় না, মাসয়ালা সেটাই যেটা কিতাবে আছে এবং সর্বজন কর্র্তক গৃহীত। তিনি একাধিক (চার) বিয়ের বৈধতা রহিত হয়েছে এবং সূরা নিসার 3নং আয়াত দ্বারা ইয়াতিমদের মধ্যে হতে ০৪ জনকে বিয়ের করার কথা বলা হয়েছে মর্মে এবং শধুমাত্র ০১ টি বিয়েই বৈধ মর্মে তার লেখায় দাবি করেছেন কিন্তু কোন কিতাবে তা স্পষ্টাকারে লেখা আছে তার দলিল পেশ করেননি। দলিল পেশ না করে তিনি সেটা ভাল করেননি মর্মেও আমার কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে।

ওদিকে মূল প্রেক্ষাপট বা সঠিক মর্ম অনুধাবন না করে অনেকেই লেখকের পক্ষে মন্তব্য করেছেন। মূল প্রোক্ষাপট বা সঠিক তথ্য না জেনে মিথ্যাকে সমর্থন করাও মিথ্যা বলার শামিল। “তাফসির তাওযিহুল কুরআন, কুরআনুল কারিম, তাফসির আহসানুল বয়ান, তাফসির ইবনে কাসির 2য় খন্ড, তাফসির তাইসিরুল কুরআন, বাংলা কুরান (দারুস সালাম) নামক কিতাবসমূহে সূরা নিসার 3নং আয়াতের যে অনুবাদ ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা (পোষ্ট বড় হয়ে যাবে সেই আশঙ্কায় ব্যাখ্যা সমূহ লিখলাম না, আগ্রহীরা কিতাবসমূহ দেখে নিবেন, অবশ্য উক্ত পোষ্টের লেখক চ্যালেঞ্জ করলে দলিল প্রমাণ সহ হাজির হবো ইনশাআল্লাহ) করা হয়েছে তাতে শর্তসাপেক্ষে একজন পুরুষ মুসলমানকে চারটি পর্যন্ত বিবাহ করার যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা অদ্যাবধি বলবৎ আছে এবং সূরা নিসায় চার বিয়ে ইয়াতিম মেয়েদেরকে নয় বরং ইয়াতিম ব্যতিত অন্য সাধারণ মেয়েদেরকে করার জন্য বলা হয়েছে মর্মে প্রতিয়মান হয়। আশা করি উক্ত পোষ্টের লেখক এখানে উল্লেখিত কিতাবসমূহ দেখে নিবেন এবং তার ভুল নিরসনে সচেষ্ট হয়ে ভবিষ্যতে ব্লগে শুদ্ধতার চর্চা অব্যাহত রাখবেন। আর সম্মানী ব্যক্তিবর্গকে অর্থাৎ আলেম-ওলামাদের সম্ভাষণের ব্যাপারে এবং আচরণের দিক থেকে যথার্থ শালীনতা বজায় রাখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৭
৪০টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×