মাশরাফি-বিন-মর্তুজা বাংলার ক্রিকেটের এক উজ্জল নহ্মএ। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়ক। তিনি একজন ডান হাতি ব্যাটস-ম্যান ও ডান হাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। তিনি আন্তজাতিক এশিয়া একাদশেও খেলেছেন। তিনিই একমাএ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ওয়ানডে অধিনায়ক ও ফাস্ট বোলার।
মাশরাফির ক্যারিয়ার।
অভিষেক হয় টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপহ্মে এম এ আজিজ স্টোডিয়ামে। মাশরাফি বাংলাদেশের সেরা পেশারদের অন্যতম একজন। তিনি আক্রমনাত্নক ও গতিময় বল করতে পছন্দ করেন। মর্তুজা অনূর্ধ ১৯ দলে থাকা অবস্থায় নজড়ে পড়েন এন্ডি-রবাটসের। সেই সময় এন্ডি রবাটস ছিলেন বাংলাদেশের দলের অস্হায়ী বোলিং কোচ। তারই পরামর্শে জাতীয় দলে জায়গা পান এই "নড়াইল এক্সপ্রেস"। অভিষেক ম্যাচেই তিনি তার জাত চিনিয়ে দেন। অভিষেক ম্যাচে তিনি ১০৬ রানে ৪ উইকেট নেন। তার ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্ট ইংল্যান্ডের বিপহ্মে খেলার সময় তার হাটুতে আঘাত পান। তার পর প্রায় দুই বছর তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়।
ভাতের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে এক দিনের আন্তজাতিক ক্রিক্রেট সিরিজে বাংলাদেশ একটি ম্যাচ জিতে ছিল জয়ের নায়ক ছিলেন ম্যাশ।
২০০৬ সালে অস্টেলিয়ার বিপহ্মে জয় পায় বাংলাদেশ। ম্যাশ অড্যাম গিলকিস্টকে ফেরান শূন্য রানে ১০ ওভার বল করে ৩৩ রান দেন মাএ এই জয়েও বড় অবদান রাখেন মর্তুজা।
২০০৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি ছিলেন।
২০০৭ সালে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ এ অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব-কাপে বাংলাদেশ হারিয়ে ছিল ভারতকে। সেই ম্যাচে তিনি ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন। এবং সেই জয়ে বাংলাদেশ খেলে ছিল দ্বিতীয় পর্বে। সেটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম আই-সি-সি ক্রিক্রেট বিশ্ব-কাপে দ্বিতীয় পর্বে খেলা।
২০০৭ সালে আই-সি-সি ওয়াল্ড-কাপের প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপহ্মে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই জয়েও বড় অবদান রাখেন বিন-মর্তুজা।
মাশরাফি একজন বাংলাদেশর হাট-হিটার ব্যাটস-ম্যান। বাংলাদেশের ক্রিকেটারের ভিতরে এক ওভারে সব্বোর্চ রানের রেকর্ড ও তার। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অনূষ্ঠিতব্য সিরিজে এক ওভারে টানা ৪ টি ছক্কা মেরে ছিলেন। সেই ওভারে তিনি ২৬ রান নিয়ে ছিলেন।
বাংলাদেশের ওয়ানডে বোলিং ইতিহাসে সব্বোর্চ উইকেট শিকারিও তিনি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ২ উইকেট নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সব্বোর্চ উইকেট শিকারির খাতায় নাম লেখান মাশরাফি।
মাশরাফি বিন মতুর্জার টেষ্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান।
ফরমেট ম্যাচ রান উইকেট
টেষ্ট ৬৫ ১২৩৯ ১১৮
ওয়ানডে ১৯৯ ২২২৫ ২৫২
টি-টোয়েন্টি ৬৯ ৭৯৪ ৮৮
তার ১৬ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১১ বার চোটের কারনে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে। তার পায়ের ইনজুরির কারনেই খেলতে পারেনি ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য ২০১১ সালের বিশ্ব-কাপ।
২০১৭ সালের ৬ ই এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
অধিনায়েকের দায়িত্ব।
অধিনায়কের দায়িত্ব পায় ২০০৯ সালের শুরুর দিকে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম ম্যাচে ২০০৯ সালে জুনে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপহ্মে ম্যাচে তার হাটুতে আঘাত পাওয়ার কারনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে কিন্তু সেই ম্যাচটা জিতেছিল বাংলাদেশ। এই আঘাতের কারনে তাকে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়। এই মধ্যবর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করে সাকিব-আল-হাসান। পরবর্তীতে ২০১০ সালের বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের হোম সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পান।
অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির রের্কড।
ফরমেট ম্যাচ সংখ্যা জয় পরাজয়
ওডিআই ১ ১ ০
টেস্ট ৩৭ ২৩ ২৪
টি-টোয়েন্টি ২৬ ৯ ১৬
রের্কড।
বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ নবম উইকেট অংশীদারিত্ব: ৭৭ রান শাহাদাত হোসেন বনাম ভারত, ১৮ মে ২০০৭[১৬]
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ১,০০০ বল বা একাধিক (৬৭.২০) স্ট্রাইক রেট।
খেলার সব খবর সবার আগে পেতে ভিজিট করুন:-SportsNews-BD.Com
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮