একটি ভ্রমণ কাহিনী। পর্ব-১
রোকন এর ডাকা-ডাকিতে সকালের আরামের ঘুমটা ভাঙল। আগের দিনের বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে রোকনদের বাড়ীর সামনের খাল ভর্তি, সেই খালে সকালে এলাকার সবাই জাল দিয়ে মাছ ধরছে। আমি, হাবেল আর রোকন গেলাম সেই মাছ ধরা দেখতে। ইয়াকুব আর আসাদ কে অনেক ডেকেও আমরা নিতে পারলাম না। আমরা তিন জনে মাছ ধরা দেখতে দেখতে পরিকল্পনা করলাম এখন কোথায় যাওয়া যায়। রোকন বলল প্রথমে আমরা লাউচাপড়া পিকনিক স্পট এ যাব। তারপর বিকালে অন্য দিকে যাব। বাড়ীতে এসে দেখি খালুর সকালে করা বাজার দিয়ে খালার সকালের রান্না শেষ। আমরা সবাই হাত মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা শেষ করলাম। আমাদের নাস্তা শেষ করতে না করতেই রোকন এর মামাত ভাই শামিম এসে হাজির। শামিম আমাদের পুর্ব পরিচিত, ও রোকন এর কাছে একবার টাঙ্গাইল এসেছিল। এখন আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আমরা খালা-খালুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গারো পাহাড় লাউচাপড়ার দিকে যাত্রা করলাম।
আমাদের মধ্যে শামিম একটু মোটা-সোটা হওয়ায় ওর দায়িত্ব হল আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু বহন করা। ইয়াকুব এর সখ ফটোগ্রাফি হউয়ায় ওর দায়িত্ব হল আমাদের সবার ছবি তোলা। রোকন এলাকার ছেলে তাই ও হবে আমাদের গাইড। হাবেল অতি বুদ্ধিমান প্রাণী তাই ও আমাদের টিমলিডার। আমি আর আসাদ কোন কাজের না তাই আমাদের দায়িত্ব হল শুধু প্রকিতির সন্দর্জ দেখা।
আমরা সীমান্তের সর্ব শেষ B.D.R. ফাঁড়ি পারহয়ে লাউচাপড়া পিকনিক স্পট এর দিকে যেতে থাকলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর একটি পাহাড়ি নালা সামনে পরল, কিন্তু নালার উপরের ব্রিজ ব্যাবহার উপযোগী না। পানির উপর দিয়ে যেতে হবে। ইয়াকুব আর শামিম এর পায়ে স্যান্ডেল থাকায় ওদের উপর দায়িত্ব পরল আমাদের ওই পাড়ে কাঁধে করে পার করা। হাবেল সাইজে ছোট হলেও ওর ওজোন অনেক বেশি, ইয়াকুব খুব কষ্টে ওকে পার করল। এর পর একে একে আমরা সবাই পার হলাম। অবশেষে আমরা লাউচাপড়া পিকনিক স্পট এ পৌছুলাম।
আমাদের মধ্যে আসাদ হচ্ছে প্রেমিক পুরুষ। সে মোবাইল দিয়ে তার সব গার্লফ্রেন্ডদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করল। কিন্তু মোবাইল এ নেটওয়ার্ক নাই। আর নেটওয়ার্ক আসলেও কথা ক্লিয়ার না। এরপর আমরা সবাই পাহাড়ের উপরের ওয়াচ টাউয়ার এর উপর উঠলাম। এখান থেকে যে দিকে তাকাই সে দিকেই শুধু পাহাড় আর পাহাড়। রোকন পাহাড়গুল দেখিয়ে বলল এই পাহাড়গুলর অর্ধেক বাংলাদেশ আর অর্ধেক ভারত। তারপর আমরা পাহাড় চড়তে শুরু করলাম। এখানে আমাদের সাথে এক সন্ন্যাসীর দেখা হল। তার কাছ থেকে আমরা জানলাম তার নাম খোকা বাবু। আমাদের টিমলিডার হাবেল তাঁকে আমাদের পাহাড় ঘুরিয়ে দেখাতে বলল। সে আমাদের অবাক করে দিয়ে তরতর করে পাহাড় চড়তে শুরু করল। আমরা কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অর্ধেক পাহাড় উঠার পর সে আমাদের বলল, আমরা বোকার মত দারিয়ে আছি কেন। আমরা খুশি মনে তাঁকে অনুসরন করতে শুরু করলাম। আমি এর আগে কখনও পাহাড়ে উঠিনাই, তাই আমার একটু কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু খুব আনন্দ হচ্ছিল।
-----চলবে
আলোচিত ব্লগ
নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।
আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন
=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=
©কাজী ফাতেমা ছবি
বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন