একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হবে। একটি শান্তিপূর্ণ বসবাস উপযোগী দেশ হবে। এই জন্য ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছে। আপনি যদি ইতিহাস জানেন, তাহলে দেখবেন মৌর্য সাম্রাজ্য থেকে শুরু হয়েছে বাংলার মুক্তি আন্দোলন। পালযুগ, সেন যুগ, সুলতানি আমল, মোঘল আমল, ব্রিটিশ সরকার পতনের আন্দোলনে বহু বাঙালির জীবন দিতে হয়েছে। নিশ্চয়ই জানেন সূর্য সেন, প্রীতিলতা ক্ষুদিরাম বসু, তিতুমীর, চাকমা বিদ্রোহ। ১৯৪৭ সালের রাষ্ট্র ভাষা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৫২ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৭১ সালের নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বর্তমান রাশিয়া,ভারত এবং সেভিয়ত ইউনিয়ন সমর্থ সহযোগিতা ছিল। মানুষ যখন মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করে তখন তাকে সবাই অপছন্দ করে। শেখ হাসিনার কাজকর্ম আমি কখনো সন্তুষ্ট ছিলাম না। আমি বিগত কয়েক মাস আগে ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিবর্তনে জনবান্ধব সরকার করার জন্য কিছু কথা বলছি।
তাতে শ্রদ্ধেয় সোনাগাজী ভাই বলেছেন শেখ হাসিনা আমার আপনার কথায় দেশ চালাবে না। একটি দল ক্ষমতায় আসলে বিরোধী দলের কোনো অধিকার দেওয়া হয়না। এইসব সমস্যা আদি যুগ থেকে চলে আসছে,তার জন্য ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে হয়েছে । আগে আমাদের শত্রু ছিল পাকিস্তান শাসন , এখন যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের লোকজনের দেশ।।
বিগত দিনে আমার চাকরির জন্য একটি সাক্ষর নিতে গিয়েছিলাম আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেয়নি ছাত্রলীগের কোনো পদায়ন আছে থাকলে নিয়ে আসতে। আমি বুঝতে পারলাম এই দেশটা সাধারণ মানুষের না , ছাত্রলীগ নেতা আমাকে বলেছেন, তুমি দলের নিয়মিত সময় দেওনা অথচ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলে আমার ক্লাসের শেষ বেঞ্চে ছাত্র। সে ছিল আমার সেম ইয়ার ক্লাসমেট।
সেও আমাকে সাক্ষর দেয়নি। এই বলে না যে আমি তখন বঙ্গবন্ধু ভাষণ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কথা বার বার শুনছি। এই দেশটা আগে ছিল পাকিস্তানের এখন তিন দলের বিএনপি, আওয়ামী, জাতীয় পার্টির। আমি বঙ্গবন্ধু কে সাপোর্ট করি । আমি আওয়ামীলীগ আমলে চাকরি পাইনি, অনেক জুলুম নির্যাতন স্বীকার হয়েছি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে। আমি এই দেশে থাকতে চাই না, আমি কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে, অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের বৈষম্য হীন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করতেছি। এই দেশ রাজনীতির কর্মীদের বাংলাদেশ। এই দেশ সাধারণ মানুষের নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



