
আল্লাহর সাথে শিরক করা এমন কাজ কোনো মুসলিম করে আর যে তার কর্মকাণ্ড আল্লাহর সাথে শিরক হয় সেটা ভাঙচুর করতে পারেন,কিনা সে দলিল আমার কাছে নেই। যার যার মস্তিষ্কপ্রসূত কৃতকর্মের জন্য সে দায়ী থাকবে। এখন আর মানুষ অজ্ঞ নেই। ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবকিছু দেখে বুঝে এবং জ্ঞান বিকাশিত হয়।
আপনি কারো ভাগ্য নির্ধারণ তাকে সহায়তা করতে পারেন। আপনি কারো জান্নাতে যাওয়ার দলিল দিতে পারেন না। কারণ আপনার জান্নাত সু নিশ্চিত কি না গ্যারান্টি কোথায়? কারণ আল্লাহ সাথে সরাসরি যোগাযোগ নেই!

তবে আপনি ভিন্ন মতের ধর্ম অনুসরণ কারীদের আঘাত করে, সংস্কৃতি ধ্বংসযজ্ঞ করে দিতে পারেন না। এই দেশ সবার, যার যার ধর্ম সে পালন করবে, আপনি নিজে সচেতন হতে চেষ্টা করুন। তাদের ভুল হলে বিনয়ের সাথে বলুন না হলে আল্লাহর কাছে হেদায়েত চান। আপনি মানুষের উপর বা তাদের সংস্কৃতি উপর আঘাত করতে পারেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , আমার পরে কোন নবী আসবে না। আল্লাহ সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। আপনি আমি সবাই আল্লাহর কাছে ঠেকা। অহংকারী শয়তানের বন্ধু, কারণ শয়তান নিজেই অহংকার জন্য শাস্তি পাচ্ছে। এইসব না করি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেন। চলাফেরার স্বাধীনতা সংবিধান সকলের জন্য উন্মুক্ত। বিনা অপরাধে আপনি কাউকে তার সংস্কৃতি বা তার উপর জুলুম নির্যাতন করার অপরাধ। আমি মাজার জিয়ারত ধর্মে অনুসারী না।
মানুষে মানুষে বিভেদ চাইনা। মুসলমান বলে আমি আপনি কিভাবে আল্লাহ কাছে পাড় পাবেন হাশরে নিশ্চয়তা কি? নিজের চরকায় তেল যেন। মানুষ আমাদের শত্রু নয় শত্রু আমাদের অদৃশ্য শয়তান। আসুন বিভেদ ভুলে একসাথে বাঁচি।
আসুন বিভেদ ভুলে মানুষ হিসেবে বাঁচি
মানুষ আমি আমার এই পরিচয়ে জোর,
বিশ্বত্ব মঞ্চ দাঁড়িয়ে চলো মাথা উঁচু করি
এখুনি সময় এলো তাই ঘুরে দাঁড়ানোর।
বন্ধনে বন্ধনে চলো- আমরা আবদ্ধ হই
ফ্যাসাদ ভোলার দিন আজ সম্মুখ দাঁড়িয়ে
মানুষে মানুষে ভাই কোন ভেদাভেদ নাই
অপরাধী ছাড়া যেন হাতকে দেই বাড়িয়ে।
-মুসা
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



