somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানিক মিয়ার প্রকৃত উত্তরাধিকারী (বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম)

১২ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৭:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয়ারে আমার কেড়েছিস তোরা
ভেঙ্গেছিস ঘর বাড়ি;
সে কথা কি জীবনে মরণে
কখনো ভুলিতে পারি।

জনাব মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে দু’কথা লিখতে গিয়ে কেন যেন কবিতাটি বার বার মনে পড়ছে। একজন সাহসী মানুষকে শুধু সত্য কথা তাঁর সম্পাদনায় পত্রিকায় ছাপার জন্য শাস্তি পেতে হয়—এটা কখনও শুনিনি। সত্য লিখে কবি কাজী নজরুল ইসলাম জেল খেটেছেন। তিনি রাজবন্দির জবানবন্দি প্রবন্ধে বিচার সম্পর্কে লিখেছেন :
‘আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী! তাই আমি আজ রাজ-কারাগারে বন্দি হইয়া রাজদ্বারে অভিযুক্ত। একধারে রাজার মুকুট; আর ধারে ধূমকেতুর
শিখা। একজন রাজা, হাতে রাজদণ্ড; আর জন সত্য, হাতে ন্যায়দণ্ড। রাজার পক্ষে নিযুক্ত রাজবেতনভোগী রাজ-কর্মচারী। আমার পক্ষে সকল রাজার রাজা, সকল বিচারকের বিচারক, আদি অনন্তকাল ধরে সত্য-জাগ্রত ভগবান।
আমার বিচারককে কেহ নিযুক্ত করে নাই। এ মহাবিচারকের দৃষ্টিতে রাজা-প্রজা, ধনী-নির্ধন, সুখী-দুঃখী সকলে সমান। এঁর সিংহাসনে রাজার মুকুট আর ভিখারির একতারা পাশাপাশি স্থান পায়। এঁর আইন-ন্যায়, ধর্ম। সে আইন কোনো বিজেতা মানব কোনো বিজিত বিশিষ্ট জাতির জন্য তৈরি করে নাই। সে আইন বিশ্ব-মানবের সত্য উপলব্ধি হতে সৃষ্ট; সে আইন সার্বজনীন সত্যের, সে আইন সার্বভৌমিক ভগবানের! রাজার পক্ষে—পরমাণু পরিমাণ খণ্ড সৃষ্টি! আমার পক্ষে—আদি অন্তহীন অখণ্ড স্রষ্টা।
রাজার পেছনে ক্ষুদ্র, আমার পেছনে রুদ্র। রাজার পক্ষে যিনি, তাঁর লক্ষ্য স্বার্থ, লাভ, অর্থ; আমার পক্ষে যিনি, তাঁর লক্ষ্য
সত্য, লাভ পরমানন্দ।
বিচারক জানে আমি যা বলেছি, যা লিখেছি, তা ভগবানের চোখে অন্যায় নয়, ন্যায়ের এজলাসে মিথ্যা নয়। কিন্তু হয়ত সে শাস্তি দেবে! কেননা সে সত্যের নয়, সে রাজার। সে ন্যায়ের নয়, সে আইনের। সে স্বাধীন নয়, সে রাজভৃত্য। তবু জিজ্ঞাসা করছি এই যে বিচারাসন—এ কার? রাজার না ধর্মের? এই যে বিচার, এর বিচারের জবাবদিহি করতে হয় রাজাকে, না তার অন্তরের আসনে প্রতিষ্ঠিত বিবেককে, সত্যকে, ভগবানকে? এই বিচারককে কে পুরস্কৃত করে? রাজা, না ভগবান? অর্থ, না আত্মপ্রসাদ?’
আজ দেখছি জনাব মাহমুদুর রহমানের ক্ষেত্রে কবি নজরুলের সেদিনের কথার অনেকটাই খাটে। তাঁকে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জনাব মাহমুদুর রহমানও বাপের বেটা। ছয় মাস তো জেল খেটেছেনই, লাখ টাকার একটি ঘষা পয়সাও জরিমানা দেননি। তার জন্যে আরও এক মাস জেল খাটছেন। বলা হচ্ছে, ১৮ মার্চ তাঁর মোট সাত মাস কারাভোগের সময়সীমা শেষ হবে। তাই ১৯ মার্চ তাঁর মুক্তি পাওয়ার কথা। পেতেও পারে। আবার নাও পেতে পারে। আমরা জেলখাটা পাকা মানুষ। জেলের ফাঁক-ফোকর, নিয়মকানুন, অনিয়ম যা জানি বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদই তা জানেন না। আমার বড়ভাই লতিফ সিদ্দিকী যতবার জেলে গেছেন, তিনি সবসময় রাজার হালে থেকেছেন। তিনি বাইরের চাইতে জেলের ভেতরেই বেশি ক্ষমতাবান। সে আইয়ুব-মোনায়েমের আমলই হোক আর জনাব জিয়া-সাত্তারের আমলই হোক। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সবসময় একরকম। বাংলাদেশে জেলখাটা খুব বেশি নেতা নেই যে জেলে লতিফ সিদ্দিকী তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেননি। শুনেছি জনাব আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে মেরে-কেটে বস্তাবন্দি করে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ওই সময় লতিফ সিদ্দিকী জেলে না থাকলে সেই ভাইজান পচে-গলে মরতেন। অমন অনেক রাজনৈতিক নেতাও আছেন। তাই বলি, সাধারণ চোর-ছেচ্চড় জেলের নিয়মে যে সুযোগ-সুবিধা পায়, জনাব মাহমুদুর রহমানকে তাও দেয়া হয়নি। সাজা নিয়ে জেলে নানা ধরনের নিয়ম-কানুন আছে। পাকিস্তান আমলে দেখেছি সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের জেল হলে তার বছর গোনা হতো এক বছরে দু’বছর। মানে রাত-দিন আলাদা আলাদা। রাতের এক বছর, দিনের এক বছর। তাই সেনাসদস্যদের জেলে যে সময়সীমা হতো, তার অর্ধেক ভোগ করতে হতো। সাধারণ কয়েদিদের ক্ষেত্রেও নিয়ম আছে। যাদের পাঁচ-ছয় বছর জেল হয়, কাউকেই পুরো সময় জেল খাটতে হয় না। জেল কোডের নিয়ম তিন মাস পরপর প্রতিটি সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির জন্য সমীক্ষা করা হয়। তাতে তার আচরণের জন্য ৫-৭ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মেই সাজা মওকুফ হয়। এখানে বিধান হলো, কয়েদি যত ভালো আচরণই করুক, শাস্তির মেয়াদের চার ভাগের এক ভাগের বেশি মওকুফ হবে না। এক্ষেত্রে তো স্বাভাবিক নিয়মেই জনাব মাহমুদুর রহমানের ছয় মাসে দুই বৈঠকে এক এক করে দুই মাসের সাজা মওকুফ হয়ে যাওয়ার কথা। তা কিন্তু হয়নি। জনাব মাহমুদুর রহমান জেলখানায় মোটেই মারামারি করেননি, গাঁজা-ভাং খাননি। লোকটি একটু বেপরোয়া ধরনের হলেও মোটেও অভদ্র নন। তাহলে তো তার সাজা এক মাস আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন তা হলো না?
প্রতিটি সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পরও রিভিউ করার একটা সুযোগ পায়। জনাব মাহমুদুর রহমান কেন যেন সে সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হলেন। কারণ তাঁর সাজা হয়েছিল ছয় মাস। রিভিউ করার জন্য যে রায়ের কপির দরকার তা তিনি পেয়েছেন প্রায় ছয় মাস ১৫ দিন পর।
হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট সাধারণত কোনো প্রাথমিক মামলা পরিচালনা করেন না। হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট নিম্নআদালতে বিচার্য মামলাসমূহ পর্যালোচনা করে নিম্নআদালতের রায় বহাল রাখেন অথবা খারিজ করেন। কিংবা তারা নতুনভাবে রায় প্রদান করেন। কিন্তু প্রাথমিক মামলা করেন না। প্রাথমিক মামলা সাধারণত নিম্নআদালতে শুরু হয়। কিন্তু জনাব মাহমুদুর রহমানের মামলাটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শুরু এবং তাত্ক্ষণিকভাবে শেষ। বর্তমান অরাজক রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিবেশে সমগ্র জাতির আশা-ভরসার স্থল হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট। সেটাও যদি সাধারণ মানুষের কাছে একেবারে অবিশ্বস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে আমরা দাঁড়াবো কোথায়? তাই মহামান্য আদালতের বিশেষ করে সুপ্রিমকোর্টকে ভীষণ যত্নশীল হতে হবে। তাকে দক্ষতা এবং যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। জনাব মাহমুদুর রহমানের বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা প্রশ্নের উদ্রেক অবশ্যই হয়েছে। আমরা সাধারণভাবে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে যা জানি তা হলো একদিকে বাদী, অন্যদিকে আসামি, উভয়পক্ষের নিরপেক্ষ সাক্ষী এবং বিজ্ঞ আইনজীবী। এই চার স্তরের উপরে আদালত বা বিচারক। বাদী অভিযোগ আনবেন, স্বাভাবিকভাবেই আসামি সে অভিযোগ অস্বীকার বা খণ্ডন করবে। বাদী নিরপেক্ষ সাক্ষীর দ্বারা তার অভিযোগ বিজ্ঞ আইনজ্ঞদের সহায়তায় প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। আসামিপক্ষ তার সাক্ষী এবং বিজ্ঞ আইনজীবী দিয়ে সব অভিযোগ খণ্ডন করে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে বিচারক বসবেন সবার উপরে। তিনি চোখে দেখবেন না, সাক্ষী এবং আইনজ্ঞদের কথা ছাড়া অন্য কিছু কানেও শুনবেন না। এখানে তার আবেগ-দয়া-মায়া-ক্রোধ-হিংসা কোনো কিছুই কাজ করবে না। তিনি সম্পূর্ণ আইনের দ্বারা পরিচালিত হবেন। কোনো বিচার বাদী, আসামি এবং নিরপেক্ষ বিচারক ছাড়া কোনোক্রমেই হতে পারে না। জনাব মাহমুদুর রহমানের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী থাকলেও কোনো নিরপেক্ষ বিচারকের ব্যবস্থা ছিল না। নিশ্চয়ই সুপ্রিমকোর্ট একটি নিরপেক্ষ বিচারালয়। আদালত অবমাননার অভিযোগের বিচার তারা করেন। কিন্তু সে বিচার তো হয় আদালতের কোনো আদেশ অমান্য করার অভিযোগের বিচার। আদালতের নির্দেশ না মানলে বা যথাযথ পালন না করলে তা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আদালত তার রায় দেন। সেখানে আদালত কখনও নিজে বাদী হন না। বাদী হন যে পক্ষের সপক্ষে আদালত রায় দেন সেই পক্ষ। আর বিবাদী হন যারা আদালতের রায় অবজ্ঞা বা অমান্য করে। কিন্তু জনাব মাহমুদুর রহমানের ক্ষেত্রে তো তা হয়নি। তিনি আদালতকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেননি, ভালোভাবে সম্বোধন করেননি। আদালতের রায় তিনি তাঁর মতো করে তুলে ধরেছেন। তাঁর পত্রিকায় ছাপা প্রতিবেদনে আদালত ক্ষুব্ধ হওয়ায় তিনি কোনো দুঃখ প্রকাশ করেননি বা অনুকম্পা প্রার্থনা করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডনে তিনি কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি। এসবই ছিল সুপ্রিমকোর্টের অভিযোগ। যারা বিচার করেছেন, এ অভিযোগগুলো ছিল তাদেরই। এরকম একটি অভিযোগ যদি হাইকোর্ট ডিভিশনের কোনো বেঞ্চের হতো, সেটা সুপ্রিমকোর্ট বিচার করে এই রায় দিলে বা এর চাইতে আরও কঠিন কঠোর শাস্তি দিলেও আমি কোনো আপত্তি করতাম না, কোনো প্রশ্নও তুলতাম না। কিন্তু এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টই এ অভিযোগগুলো এনেছেন এবং শাস্তি দিয়েছেন। এতেই আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, যে মুহূর্তে সুপ্রিমকোর্টের মনে হয়েছে আসামি তাদের অবজ্ঞা করেছেন, অসম্মান করেছেন এবং সেই অবজ্ঞা ও অসম্মানের বিচার বা শাস্তি দেয়ার অধিকার বা সুযোগ তারা সেই মুহূর্তে হারিয়ে ফেলেছেন। সেই মুহূর্তেই সুপ্রিমকোর্ট আর কোর্ট থাকেননি। সুপ্রিমকোর্ট বাদী হয়ে গেছেন। জনাব মাহমুদুর রহমান তো আসামি ছিলেনই কিন্তু ওই অভিযোগে তাঁর বিচার করার জন্য অবশ্য অবশ্যই কমপক্ষে একজন বিচারকের প্রয়োজন ছিল। সেটা একজন হাইকোর্টের বিচারক দিয়েও চলতো। কিংবা একজন প্রবীণ আইনজীবীকেও যদি উভয়পক্ষ বিচারক মেনে নিষ্পত্তি করতেন, তাহলেও সেটা ন্যায়সঙ্গত হতো। এইক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয়নি। আদালত অবমাননার অর্থ যে আদালত বিচার করছেন, সেই আদালতকে অবমাননা বা অপমান করার বিচার নয়। আদালত অবমাননার বিচারের মানে কোনো আদালতের আদেশ-নির্দেশ অমান্যের বিচার।
যা হোক, এক্ষেত্রে একটি বতিক্রমী নজির হয়ে রইল। ভবিষ্যত্ই এর বিচার করবে এতে আমাদের বিচারালয় সমৃদ্ধ হয়েছে কি না। পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে এর আগে মাত্র আর একজন এমন ধরনের সরকারি রোষানলে পড়েছিলেন। তিনি ছিলেন ইত্তেফাকের সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। তাঁর ভাগ্য জনাব মাহমুদুর রহমানের চাইতে ভালো ছিল। সরকার তাঁর ওপর রুষ্ট হলেও কখনও আদালত রুষ্ট হননি। জনাব মাহমুদুর রহমানের ক্ষেত্রে সরকার, আদালত উভয়েই রুষ্ট হয়েছেন। এখন এ ভদ্রলোক যাবেন কোথায়? সত্যিকার অর্থেই তাঁর জনতার আদালতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তিনি এবং তাঁর হিতৈষীরা সেই পথই ধরেছেন। এটা খুবই সত্য, আজ থেকে চার-পাঁচ বছর আগে জনাব মাহমুদুর রহমানের নাম এদেশের শতকরা দু’জন লোকও জানতো না। এখন মোটামুটি গ্রামগঞ্জেও তাঁর নাম জানে। ভদ্রলোক সারাজীবন রাজনীতির র করেননি। লেখকের ল-ও ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সাহস, নতি স্বীকার না করা তাকে অনেক উপরে নিয়ে এসেছে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কোনোদিন শক্তি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে কলমের কান্না বা তার ঝর্ণাধারা কেউ বন্ধ করতে পারেনি। জনাব মাহমুদুর রহমানের ক্ষেত্রেও তা বন্ধ হবে না—এটাই আমার দৃঢ়বিশ্বাস।


Click This Link
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×