গাঁয়ের গল্প
যাচ্ছিলাম সেদিন গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে,
যাচ্ছি বহু দূর...
হঠাৎ মন কেড়ে নিল, রাখালের বাউলিয়া সুর।
যখন ঢুকলাম গাঁয়ে, দেখি -
গাছে গাছে আম লিচু আর ফুল।
সরষে দেখে ভাবলাম, হলদে রঙের বন;
কাছ থেকে দেখে ভাঙল আমার ভুল।
নদীতীরে হাটছিলাম যখন,
সন্ধ্যে অথবা বিকেলবেলা তখন।
দূর থেকে ভেসে এল, সুমধুর বাতাস; সাথে মিষ্টি একটা গান,
কাছে আসতে দেখি, এ যে মাঝির ভাটিয়ালির টান!
যখন সকাল হল স্নিগ্ধ পরষে,
রক্তের থালাটা ভেসে উঠেছে,
পূর্বদিকের আকাশে।
আবার যখন রওনা দিলাম নিরুদ্দেশের পথে,
শুনতে পেলাম কিচিরমিচির
বাঁশবাগানের পাশে।
দেখতে পেলাম দূরে কোথাও
দুষ্টু ছেলের দল।
দেখেই বুঝলাম, এরাই চষিয়া ফিরবে
ঐ নদীটির জল।
নদীতে জল অল্প
শেষ গাঁয়ের গল্প।
[কবিতাটি ১৫.১০.২০০১ তারিখে লেখা; তখন ক্যাডেট কলেজে ছিলাম, সবে মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ি। কিন্তু ছবিগুলো ২০০৮ এ তোলা... কিন্তু কেমন করে যেন কিছুটা মিল খুঁজে পেলাম কবিতা আর ছবিগুলোর মাঝে]
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৭