সকালের নাস্তা, মানে আমার B shif ডিউটি যখন চলে ( দুপুর ২টা - ১০রাত ) তখন মেস্ হলে গিয়ে টাইম মত সকাল ৭টার মধ্যে নাস্তা খাওয়া এটা বড় কঠিনই ব্যাপার। আলসামি বা খেতে ইচ্ছা করে না বলে, সাধারনত রুমের মধ্যে নিজের ইচ্ছা মত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। চা, কফির সাথে কি দিয়ে তা সেরে নেই। কিন্তু আজ তা রেকর্ড করে ফেললাম আমার প্রবাস জীবনে, এই সর্ব প্রথম পুরা সপ্তাহ মেস্ হলে গিয়ে আমার স্থানীয় সময়ে সকাল ৭টার মধ্যে তা করি । তার কারন কি নিজে ও সঠিক ভাবে জানি না। তবে এই সপ্তাহ টাতে সকালে আমার ক্ষিদা ক্ষিদা লাগতো।
প্রতিদিনের মত আজও ফজর নামাজ পড়ে নাস্তা করে রুমের দিকে আসতেছিলাম । সিড়ি দিয়ে দোতালায় উঠতেছিলাম, তখন সিড়ি থেকে শত শত বাবুই পাখির কিচির মিচির আওয়াজে রুমের সামনে গিয়ে লম্বা করিডরে দাঁড়িয়ে অনেক ক্ষন ধরে তা অতি মনযোগ দিয়ে শুনি । তখন আরও একটি অন্য পাখির ডাকের আওয়াজ শুনি পাখি টার নাম আমি যানি না তবে এই আওয়াজ অনেকের পরিচিত হবে কারন এই পাখিটি কিনতে পাওয়া যায়। যখন পাখিটি আওয়াজ করে তখন তার মাথা, লেজ অবিকল আসল পাখির মত ডানা নেরে সব কিছু করে। তা মেডিন চায়না ব্যাটারীতে চলে। এটা আমার (দেশে) বাসায় আছে, আওয়াজটাও বেশ মধুর। চিৎ চিৎ ..........চি চি চি কিছুটা এমন আওয়াজ । আওয়াজটা আমার বেশ পরিচিত লাগছিল এই কারনে আসল পাখির আওয়াজ শুনে পাখিটাকে আমি গাছের মধ্যে খুজতে থাকি। কিন্তু তাকে খুজে পাইনা। কারন, বাগান টার মাঝ খানে একটা বড় বট গাছ, আমার বরান্দার কোনে বিশাল ইউক্যালিপট্যাস গাছ, সিড়ি দিয়ে উঠতে সেখানে বাবলা গাছ, আর চার সাইডে চারটা খেজুর গাছ আছে সব গাছের পাতায় পাতায় ভরা একটার সাথে একটা লাগানো, সেই গুলোতে শত শত বাবুই পাখি ও ছিল। আর তার মাঝে সে ছিল একা। পাখিটা আসলে বাস্তবে দেখতে কেমন ?
কিন্তু শত চেষ্টা করে ও অনেক ক্ষন ধরে খুজে তার দেখা পাইনা। কিন্তু এই পাখিটি আমার দেখার খুব ইচ্ছা। তাকে দেখতেই হবে । দেখা যাক, তার দেখা পাই কিনা ? অপেক্ষায় চেয়ে রইলাম আর এক সকালের ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৮