সেই কুটি কালে ৭/৮ কেলাশের যুগে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক অভুতপূর্ব ঘটনা ঘইটা গেছিল! কেয়ামত থিকা কিয়ামত নামে এক ছবি ভারত কাঁপাইয়া বাংলাদেশের ঢুইকা পড়ছিল সালমান-মৌসুমির ঘাড়ে চইড়া। তো আমরা পুলাপান ব্যাপক পুলকিত ও শিহরিত হইয়া প্রাক-জাওয়ানি জসবায় মফস্বলের টিনের ছাদওয়ালা সিনেমা হলের ছারপোকার খামার খ্যাত সেকেন্ড কেলাশের সিটে জাঁইকা বসছিলাম। আমাগো সিনায় অমর পিরিতের মরমর ডায়ালগ সবসময় ছলকায়া উঠত, আর আমরা বাপের পকেট কাইটা বা নিজেগো টিফিনের পয়সা বাঁচাইয়া ইস্কুল ফাঁকি দিয়া হপ্তায় মিনিমাম দুইটা শো মাইরা দিতাম। তো মাস খানেক কেয়ামত থিকা কিয়ামত আমাগো এলাকা দাপায়া দাপায়া টায়ার্ড হয়া গেলে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ঘোড়ার গাড়িতে বাদ্য বাজনা বাজায়া ঘোষনা দিল;
"অদ্যই শেষ সপ্তাহ! হা ভাই আপনাদের প্রিয় প্রেক্ষাগৃহে সুপার ডুপার হিট ছায়াছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত আর মাত্র এক সপ্তাহ!"
এই ঘোষনা শুইনা আমাগোপোলাপানের মনে হইল, লাস্ট একখান খ্যাপ মাইরা দিতে হইবে! শেষ দিনে আমরা খাতা-পত্র কেজি দরে বেইচা গরমে সিদ্ধ হইতে হইতে ছারপোকার খামারে নিজেগো পাছা পাইতা দিয়া সিনোরগোল্ড ফুঁকতেছি আর নিজেগো মইধ্যে সদ্য শিখা গালাগালির মক্শ করতেছি। আমাগো সামনে এই গরমের ভিতরে একজনরে দেখলাম চোখে মুখে মাফলার পেঁচাইয়া বইসা রইসে। আমরা কইলাম;
"ঐ মিয়া আপনে ভুদাই নাকি? এই গরমে মাফলার বাইন্ধা বইসা আছেন?"
মাফলার বান্ধা ভুদাই আমাগো দিকে কটমট কইরা তাকাইল। আমরা আবারও কইলাম। এইবার সিনেমা শুরু করনের আগে জাতীয় সংগীত শুরু হইলে আমরা সবটি খাড়াইলাম, মাফলার বান্ধা ভুদাই ভেটকি মাইরা বইসা রইছে। আমরা তারে আবার ঝাড়ি দিলাম ভুদাই কইয়া। ভুদাইটা এইবার চরকির মতো আমাগো দিকে ঘুরতে গেলে তার মাফলারটা খুইলা গেল.....আর আমরা দেখলাম আমাগো অংকের স্যার দাঁত মুখ খিঁচাইয়া আমাগো দিকে তাকাইয়া আছে!! তারপর সে ঝড়ের বেগে সিনেমা হল থাইকা বারাইয়া গেল......
এর পরবর্তি ঘটনা নিয়া আর কিছু কমুনা