somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশে হিন্দি ছবির আমদানির কথা শুইনা মনে পইড়া গেল একটি বাংলা সিনেমা দেখার স্মৃতি!!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেই কুটি কালে ৭/৮ কেলাশের যুগে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক অভুতপূর্ব ঘটনা ঘইটা গেছিল! কেয়ামত থিকা কিয়ামত নামে এক ছবি ভারত কাঁপাইয়া বাংলাদেশের ঢুইকা পড়ছিল সালমান-মৌসুমির ঘাড়ে চইড়া। তো আমরা পুলাপান ব্যাপক পুলকিত ও শিহরিত হইয়া প্রাক-জাওয়ানি জসবায় মফস্বলের টিনের ছাদওয়ালা সিনেমা হলের ছারপোকার খামার খ্যাত সেকেন্ড কেলাশের সিটে জাঁইকা বসছিলাম। আমাগো সিনায় অমর পিরিতের মরমর ডায়ালগ সবসময় ছলকায়া উঠত, আর আমরা বাপের পকেট কাইটা বা নিজেগো টিফিনের পয়সা বাঁচাইয়া ইস্কুল ফাঁকি দিয়া হপ্তায় মিনিমাম দুইটা শো মাইরা দিতাম। তো মাস খানেক কেয়ামত থিকা কিয়ামত আমাগো এলাকা দাপায়া দাপায়া টায়ার্ড হয়া গেলে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ঘোড়ার গাড়িতে বাদ্য বাজনা বাজায়া ঘোষনা দিল;
"অদ্যই শেষ সপ্তাহ! হা ভাই আপনাদের প্রিয় প্রেক্ষাগৃহে সুপার ডুপার হিট ছায়াছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত আর মাত্র এক সপ্তাহ!"

এই ঘোষনা শুইনা আমাগোপোলাপানের মনে হইল, লাস্ট একখান খ্যাপ মাইরা দিতে হইবে! শেষ দিনে আমরা খাতা-পত্র কেজি দরে বেইচা গরমে সিদ্ধ হইতে হইতে ছারপোকার খামারে নিজেগো পাছা পাইতা দিয়া সিনোরগোল্ড ফুঁকতেছি আর নিজেগো মইধ্যে সদ্য শিখা গালাগালির মক্শ করতেছি। আমাগো সামনে এই গরমের ভিতরে একজনরে দেখলাম চোখে মুখে মাফলার পেঁচাইয়া বইসা রইসে। আমরা কইলাম;
"ঐ মিয়া আপনে ভুদাই নাকি? এই গরমে মাফলার বাইন্ধা বইসা আছেন?"
মাফলার বান্ধা ভুদাই আমাগো দিকে কটমট কইরা তাকাইল। আমরা আবারও কইলাম। এইবার সিনেমা শুরু করনের আগে জাতীয় সংগীত শুরু হইলে আমরা সবটি খাড়াইলাম, মাফলার বান্ধা ভুদাই ভেটকি মাইরা বইসা রইছে। আমরা তারে আবার ঝাড়ি দিলাম ভুদাই কইয়া। ভুদাইটা এইবার চরকির মতো আমাগো দিকে ঘুরতে গেলে তার মাফলারটা খুইলা গেল.....আর আমরা দেখলাম আমাগো অংকের স্যার দাঁত মুখ খিঁচাইয়া আমাগো দিকে তাকাইয়া আছে!! তারপর সে ঝড়ের বেগে সিনেমা হল থাইকা বারাইয়া গেল......

এর পরবর্তি ঘটনা নিয়া আর কিছু কমুনা;)
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×