somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘপঞ্জিকা - সিনেমাকথন ৪

০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগামীকাল ছুটি। উইকেন্ড মিলিয়ে টানা ৩ দিন। কাজ থেকে ফেরার পথে কাল লাইব্রেরী থেকে যেয়ে ১০ খানা মুভি নিয়ে এসেছিলাম। রাতে খাওয়া সেরে ইরানী একটা মুভি দেখতে বসি। মুভির নাম "Sara"।

মুভিটা নিয়ে এসেছিলাম কাভারে নিকি কারিমি-র ছবি দেখে। পরে ডিরেক্টরের নাম দেখে আর দেরী না করে ঝুরিতে ভরে নিয়েছিলাম। জানতাম ভালো হবে। ডিরেক্টরের নাম দারিয়ুশ মেহেরযুঁই। অসংখ্য ভালো ভালো মুভির পরিচালক যিনি।

মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্র সারা-র দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এর কাহিনী আবৃত। কাহিনী শুরু হয় গর্ভবতী সারা-র হসপিটালে তার অসুস্থ্য স্বামীকে (হাসেম) দেখতে ছুটে যাওয়ার মাঝে। হাসেমের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে তারপরো সারা সেটি হাসেমকে না জানিয়ে গোপনে টাকা ধার করে তাকে বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য করে আনে। সারা তার স্বামীকে মিথ্যে বলে যে সে তার বাবা থেকে টাকাগুলো ধার করেছিল। আধতে সে টাকাগুলো ধার করে তার স্বামীর অফিসের এক অধস্থন কর্মচারীর কাছ থেকে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় তখন তার অন্য কোনো পথও খোলা ছিল না। তার বাবাও মারা যায়। এরপরের কয় বছরে হাসেম অফিসে অনেক উন্নতি করে আর সারা এদিকে সারারাত জেগে তার চোখের ক্ষতি করে কাপড় সেলায় করে সেই ঋণ পরিশোধ করতে থাকে। হাসেম সারাকে মাঝেমধ্যে এটাওটা কেনার জন্য টাকা দিত, সারা সেখান থেকে কিছু কিছু টাকা বাচিয়ে ঋণ পরিশোধের কাজে লাগাতো। তখনো সে হাসেমকে ঋণের ব্যপারে কিছু জানায় নি। সে ভেবেছিল সব টাকা পরিশোধ করে তারপর হাসেমকে বলবে। হাসেম নিশ্চয় তখন নিজের স্ত্রীকে নিয়ে গর্ব করবে। কিন্তু এর মাঝে সারার এক বন্ধু জার্মানী থেকে ফিরে আসে। সে হাসেমের অফিসে একটা চাকরি দেয়ার জন্য সারাকে অনুরোধ করে। হাসেম সেই অধস্থন কর্মচারী (যার কাছ থেকে সারা টাকা ধার করেছিল)-কে হটিয়ে দিয়ে সারার বন্ধুকে সেখানে নিযুক্ত করে। সেই কর্মচারী অবশ্য একবার জাল সই দিয়ে চাকরি খোয়াবার মতোই কাজ করেছিল। এখন যখন সে সারার কাছে তদবির করেও তার কাছ থেকে তার চাকরি বাচাঁবার কোনো ভরসা পায় না তখন সে সারাকে হুমকি দেয় যে তার চাকরি চলে গেলে সে হাসেমকে সব বলে দেবে। সারা তার স্বামীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল ঐ কর্মচারীর চাকরি না নেয়ার জন্য কিন্তু হাসেম শুনেনি। যে টাকা যে সারাকে দিয়েছে তার কাছে প্রমান আছে যে সারা সেখানে সই নকল করেছে। সারা থাকে বুঝাবার চেষ্টা করে যে তার সন্তান এবং স্বামীকে বাচাঁনোর জন্য এ ছাড়া তখন তার আর কোনো পথ খোলা ছিল না। কাহিনী মূলত এখান থেকেই জটিল হয়ে উঠে।

শেষের দৃশ্যটাতো কখনো ভুলবার নয়।

IMDB-তে একজনের মতামত পড়া যাকঃ

"I really enjoyed this film. It starts off rather slowly, but it carefully weaves a web of trust and distrust, faithfulness and betrayal, hope and fear, in which nothing is predictable, as it tears away the superficial appearances of conformity and contentment. Every scene in the end contributes to an intense examination of a marriage, and the strengths and weaknesses of the partners, especially as seen from the perspective of the wife, Sara."

না দেখে থাকলে সংগ্রহ করে দেখতে পারেন। রেট করতে বললে আমি এটাকে ১০ এ ৮ দিব।

http://www.imdb.com/title/tt0111072

আমার দেখা ভালোলাগা কিছু মুভির তালিকা
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×