গানের ওপারে দেখছিলাম। এক পর্বে একটা চিঠি পড়ে শোনানো হল। চিঠি পড়া শেষে পর্দার আর সবার সাথে সাথে আমিও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এমন করে লিখতে কজন পারে! এমন করে চিরবিদায়ের আগে কটা শব্দে এমন করে বুকের ভেতর জমানো সব কথা প্রকাশ করতে! চিঠির কথাগুলো এমন করে মাথায় ঘুরতে লাগলো ভাবলাম এইখানে বন্দী করে রাখি। গানটা সহ।
"কখন যে আমার তরীর বাঁধন খুলে দিয়েছিলে তুমি আমি বুঝি নি। ভেবেছিলাম তোমার চোখের জলের জোয়ারে আমার চেনা কুল ছাড়িয়ে ভেসে চলেছি আমি। অনেকদিন তাকিয়ে ছিলাম তোমার মুখের দিকে। দেখলাম তোমার চোখে এক ফোঁটাও জল নেই। তাহলে কি জোয়ার লেগেছিল আমার চোখের জলে? আজ আমার দু চোখে আর কোন জল নেই চাঁদ। শুকনো চড়ায় আটকে গেছে আমার তরী। সেটাই ঠেলে নিয়ে চলেছিলাম এতদিন। আর পারছিনা। সেই দিশেহারা রাতের দেশে চললাম। সেখানেও তো আরেক চাঁদ আছে। দেখি তার চোখে এখনও জল আছে কিনা। আমার জন্য না হোক আর কারো জন্য।
আসি।"
ও চাঁদ, চোখের জলের লাগল জোয়ার দুখের পারাবারে,
হল কানায় কানায় কানাকানি এই পারে ওই পারে॥
আমার তরী ছিল চেনার কূলে, বাঁধন যে তার গেল খুলে;
তারে হাওয়ায় হাওয়ায় নিয়ে গেল কোন্ অচেনার ধারে॥
পথিক সবাই পেরিয়ে গেল ঘাটের কিনারাতে,
আমি সে কোন্ আকুল আলোয় দিশাহারা রাতে।
সেই পথ-হারানোর অধীর টানে অকূলে পথ আপনি টানে,
দিক ভোলাবার পাগল আমার হাসে অন্ধকারে॥
...
এই সিরিয়ালটা দেখার নেশায় পেয়ে বসেছে আমাকে এখন। সামনে পরীক্ষা অথচ পড়বার নাম গন্ধ নেই। এত দারুণ সব কাজ আর এমন সুন্দর সুন্দর সব গান। যখনই এটি দেখতে বসি ভাবি কত কম জানি রবিঠাকুর সম্পর্কে।