somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘের চিঠি - ২৪

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় তর্পা,

শুভেচ্ছা নিও। কিছু কথা লিখার জন্য তোমাকে এই চিঠি লিখতে বসা। অবশ্য এখন লিখতে বসে মনে হচ্ছে, ঐ কারণটা বাদে আর সবই লিখি :P মাঝে মাঝে এমন উদ্ভত সব ইচ্ছে করে আমার। কিছু করার নেই :P

মনটা খুব ভালো এই মূহুর্তে। ইচ্ছেদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি হেসেখেলে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে। আর তাইতো তারা এমন ছটফট করে বেড়াচ্ছে। এই আমার মুখের দুই গাল ধরে আলতো করে ঠেনে দিচ্ছে তো আর কেও ইচ্ছে মতোন হাসিয়ে আমার দাঁত কপাটি দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। মহা মুশকিলে পড়েছি। কাজ থেকে ফিরতে ফিরতে হাসির ঝটকায় দাঁতসব এমন বেড়িয়ে আসছিল মনে হচ্ছিল শব্দে কোথাও এদের বন্দী করে না রাখলে এরপর আমার ট্রেনে চড়ায় দায় হবে।

কি, হাসছো? :-) জানো আজ অনলাইনে গ্রেড চেক করছিলাম। ঐ যে শেষ যে ক্লাসটা নিলাম, ওটার। আর সেই গ্রেড পাওয়ার পর থেকেই ইচ্ছেগুলো এমন হাস্য-কলরবে মেতে উঠেছে। কমাসের পরিশ্রমের সুফল এমন করে পেলে আর কি লাগে বলো। কিন্তু এখন লিখতে বসে ভেবে পাচ্ছিনা আমার অনুভূতি গুলোর এমন পেখম মেলে ধরার পেছনে শুধু ওটায় কারণ নাকি কল্পনায় ধরা দেওয়া কিছু দৃশ্য।

থেকে থেকে শুধু সেই দৃশ্যটায় চোখে ভাসছে। আমাকে যখন তোমার মামী একপাশে ডেকে নিয়ে গেলো, তোমার সাথে কথা বলার জন্য। ওনার পিছু পিছু আমি একটা রুমের দরজায় এসে দাঁড়ালাম। উনি দরজা খুললেন। দেখি তুমি রুমের ভেতর একটা চেয়ারের কাছে পেছন ফিরে দাঁড়ানো। আর আমি ঢুকতেই মামী, "তোমরা কথা বলো" বলে রুমের দরজা লাগিয়ে দিলেন। এর পরের দৃশ্যটার কথা আমি সহজে ভুলবো না। তুমি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ালে আর তোমাকে সেই রুমের হালকা আলোয় সেই ড্রেসে দেখে আমি সেখানেই স্তব্ধ। কয়েকটি মাত্র মূহুর্ত। কিন্তু কি মিষ্টি মিষ্টি :-)। এরপর তো দুজন বেডের দু-কোণায় বসে কথা হল অনেক। কি কথা হল সেটি না হয় দুজনের মাঝেই থাক। (পাঠকরা সাইডে যান :P)

আরো কিছু দৃশ্য উকিঁ মারছে মনের কোণে। যখন সবার উপস্থিতিতে তোমার হাতের আঙ্গুল গলিয়ে আংটিটা ধীরে ধীরে পড়িয়ে দিলাম। তোমাকে প্রথম ছোঁয়ার সেই অনুভূতি। তখনকার তোমার সেই মুখটা। ছবি উঠানোর মূহুর্তে তোমার অন্তরঙ্গ সেই সান্নিধ্য। সব কিছু স্মৃতির রঙ্গিন মোড়কে বেঁধে সাথে করে নিয়ে এসেছি। মনে হচ্ছে যেন বাঁধন খুলে সেই রঙ্গিন স্মৃতিগুলো এখন মনের আকাশে খুশীর আতশবাজির ফোয়ারা ছিটাচ্ছে।

বাহ্‌বা কি সব লিখছি :P। পরে নির্ঘাত আমাকে পস্তাতে হবে। হলে হবে কিন্তু এখনকার এই অনুভূতিগুলো তো মিথ্যে নয়। সে মূহুর্তগুলোও তো মিথ্যে নয়।

খাবার সেই মূহুর্তগুলো, দৃশ্যগুলোর কথা উল্লেখ না করলে চিত্রটা নেহাৎ অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। বাহ্‌বা সে কি রাজকীয় আয়োজন। একেই বোধহয় বলে জামায় আদর :P। আমার ধারণা তোমাদের ওখানে খেয়ে খেয়ে আমি ওজন নির্ঘাত ২ পাউন্ডস বাড়িয়েছি :P। এমন করে এত্তগুলো লোকের ভালোবাষা বর্ষিত হয়েছে আমার মনে হচ্ছিল আমি নিজের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে এসে পড়েছি। বিশ্বাস করবেনা, মনে এমন চিন্তাও এসেছে যে একটা বাড়ী কিনে তোমাদের পাশেই মুভ করি না কেন। ভাবছি তোমাকে এখন এই চিঠিখানা পাঠাবো কিনা, নইলে তুমি যে পড়ে সুযোগ বুঝে আমাকে ইমোশানাল ব্ল্যাকমেইল করবেনা তার কি গ্যারান্টি :P

অনেক হাবিজাবি লিখলাম। কি যেন বলতে চেয়েছিলাম। আচ্ছা পরে মনে পড়লে জানাবো। :P

এখন রাখছি, নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা।

ভালো থেকো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২৯
৩৬টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×