রিমোটের ২৮ নম্বরে স্টার প্লাস, ৫ নাম্বারে জলসা। চেন্নাই এক্সপ্রেস চরম, অনন্ত জলিল পম গানা। সালমানে চেস্ট বিশাল, সাকিব খান হিজরা। শিলা মুন্নির ড্রেস ফ্যাশন, ক্যাটরিনা বারবি ডল, ফেলানী হত্যার বিচার চাই।
আমি নিজেই একটা হিপোক্রেট, মুখে বড় বড় কথা বলি। বাসার থেকে ক্যাবল কাটাইতে গেলে সব ভুলে যাই। আপনে নিজে একটা হিপোক্রেট, গার্লফ্রেন্ড শিলার জামা পড়ে আসলে আপনে প্রশংসায় ফাইটা পড়েন। আমরা সবাই এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একটা মুখোশ পইড়া ঘুরতেছি, নীতির মুখোশ। আমাদের কুৎসিত বিবেক কবেই পইচা গেছে। পইচা গেছে আমাগো মেরুদন্ড টাও।
জ্বালাময়ী স্টাটাস, ২ হাজার লাইক, ২০০ শেয়ার। সেলিব্রেটি বলে কথা। আর কাঁটাতারে ঝুলে বিচার। রাত বারোটায় টিভি খুইলেন, টক শো হবে জমপেশ। কাট হবার পর চা হবে, খুব বেলা করে ঘুম হবে। পরশু লাউ এর নাম কদুই থাকবে। তার পরের দিন, ফেলানী, হু ইজ শি ?
চাপাচাপি তে স্টাটাস দিলাম, এইগুলা দিয়া লাভ নাই। আমি হিপোক্রেট, আপনি হিপোক্রেট। আমরা ফাকড আপ, সিস্টেমে গন্ডোগোল। কল-কব্জায় জং ধরছে। ইংরেজ থেকে এখন, সবাই লাথি মারছে। যত দিন পর্যন্ত না নিজে ঠিক হমু, লাথি ঠিকই খাইয়া যামু। চল্লিশ বছর আগে বাপ চাচা রা যুদ্ধ কইরা একটা দেশ দিছে গাধার পালের হাতে তুইলা। যারা নিজেরা মারা মারি তে ব্যস্ত।
মোগল সম্রাট আকবর তখন প্রচন্ড প্রতাপে শাসন করতেছেন। কিন্তু বাংলা তিনি নিজের আয়ত্বে আনতে পারতেছেন না। ১২ ভূইয়া নামে প্রচন্ড প্রতাপ নিয়া বারো জন জমিদার স্বাধীন ভাবে বাংলা রক্ষা করে রাখছে। আকবর সেনাপতি মান সিংহ রে পাঠাইলেন এই জমিদার দের সবক শিখানোর জন্য।
ঈসা খাঁ বারভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন। মুঘল সেনাপতি মানসিংহ জীবনে দুব্যক্তিকে পরাজিত করতে পারেননি-চিতরের রানা প্রতাপ সিং ও ঈসা খা। সম্রাট আকবর তার জীবদ্দশায় সমগ্র বাংলার উপর মুঘল অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন নাই। বাংলার বড় বড় জমিদারেরা স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে মুঘলদের বিরুদ্ধে ঝাপাইয়া পড়তেন।
ইতিহাস অনেক কিছুই বলে। কিন্তু শিখি কতটুকু তা উপরওয়ালাই জানে। আর কবে নাগাদ শিখবো তাও তিনি জানেন। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরবে, আমরাও এমনেই চলতে থাকবো। আমার মাথা উচা করে চলতে ভুইলা গেছি।