somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্কুলজীবন [প্রসংগঃ নান্টু মিয়া] - প্রথম অংশ

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





আজ যার স্মৃতিচারন করব সে কখনোই আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল না।এমনকি গতকাল পর্যন্ত তার কথা মনেও পড়েনি কখনো।কাল হঠাৎ করেই মনে পড়ল ওর কথা।মনে পড়ল নিজের অজান্তে করা কিছু অপরাধের কথা যার জন্য কখনো অনুশোচনা হয়নি,এতটুকু অপরাধবোধও জাগে নি।যেসব অপরাধের জন্য ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়নি কখনো।এই ভুলে যাওয়া মানুষটির প্রকৃত নাম আমার মনে নেই,হয়তো বা জানতামই না কখনো।যতদূর মনে পড়ে সে হচ্ছে নান্টু মিয়া।

অষ্টম শ্রেনীর প্রথম দিন।পুরো ক্লাসে হুলস্থূল অবস্থা, চেচামেচি, হুড়োহূড়ি, মারামারি আর হট্টগোলে ক্লাসরুম এখন পুরোপুরি বিশৃংখল।জামান স্যার একটু আগে এসে সবাইকে চুপ থাকতে বলে গেছেন।অফিসরুমে মিটিং চলছে তাই স্যারদের আসতে দেরী হবে।কিন্তু কে শোনে কার কথা,সবাই যে যার কাজ করে যাচ্ছে।এর মধ্যে ক্লাস ক্যাপ্টেন ফরহাদ বোর্ড অলংকরনে ব্যাস্ত।ক্লাসে আসার পর এটাই তার প্রথম এবং প্রধান কাজ।সে সকল প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও এই কাজটি খুব যত্নের সাথে করে যদিও এটা কোন অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার না।আর অলংকরনও কোন জটিল কাজ না।বোর্ডে তারিখ এবং পাঠ্যবিষয় এর নাম লেখা।কিন্তু ফরহাদ কাজটা এমনভাবে করবে যেন এটা কোন বিশাল শিল্পের পর্যায়ে পরে।ফরহাদ এই কাজটি ছাড়াও ক্লাসে আরেকটি কাজ করে ।সেটা হচ্ছে শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে ক্লাশে যারা দুষ্টুমী করে তাদের নাম লেখা।অবশ্য সে নাম লেখা কাগজ বেকায়দায় না পরলে সচরাচর শিক্ষকদের হাতে যায় না।এর যথেষ্ট কারনও আছে।কেননা ঐ কাজটির বদৌলতেই প্রায়দিন টিফিন আওয়ারে বিনা অর্থ ব্যায়ে ফরহাদের ভূড়িভোজ হয়।অবশ্য মাঝে মাঝে একটু মারও খেতে হত বিশেষ কারো কারো নাম স্যারদের হাতে পরলে।যেমন একদিন রফিক মামার নাম লিখা কাগজ হঠাৎ স্যারের হাতে পরে গেল।স্যার রফিককে আচ্ছামত পেটালেন।আর স্কুল ছুটির পরে রফিক মামা পেটালো ফরহাদকে।রফিক মামা গত ৩ বছর যাবৎ এই একই ক্লাসে পড়ছে।তাই একটু বরামী সে সবসময়ই দেখায়।আর স্থানীয় হওয়ায় তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গও পড়ত এই স্কুলে।তবে এরকম ঘটনা খুব বেশী ঘটত না।ফরহাদ আবার ক্লাসের চিহ্নিত গায়ক ছিল।যেকোন সুযোগেই ওকে গান গাইতে ডাকা হত।আর সে অবস্থা বুঝে দুইটা গানের যেকোন একটা গাইত।যদি শিক্ষকদের কেউ উপস্থিত থাকত তবে "আজ কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা..."আর যদি এমনিই হত বা কোন বন্ধুসুলভ স্যার থাকতেন তবে "ভালবাসি কিনা বাসি বন্ধু, বাসি কিনা বাসি বন্ধু ট্যারাই করো আমারে...কত্তো ভালোবাসি তোমারে......"এই গান গাইত।

ক্লাসের এই হূলস্থূল অবস্থায় দেখলাম একটা ছোট ছেলে বারবার ক্লাসে উকি দিচ্ছে যেন ক্লাসে ঢুকবে কি ঢুকবে না এ নিয়ে দ্বিধান্বিত।মোটাসোটা বেটে ধরনের ছেলে। চুল খুব ছোট করে ছাঁটা, এবং তার মধ্যেও চুপচুপে করে তেল দেয়া। অবশেষে সে ক্লাসে ঢুকেই পরল।ঢুকেই পড়ল নূরু'র সামনে। নুরু,ভালো নাম নুরুল হুদা।অদ্ভুত চরিত্র একটা।মোটাসোটা, ফর্সা দেখতে। শরীরের সাথে মানানসই বিশাল ভূড়ি যা হাসির সাথে তালে তালে কাঁপত।নুরু হাকল "কিরে পিচ্চি! এই ক্লাসে কি?"।ছেলেটা যেন এ কথায় আরো খানিকটা কুকড়ে গেল।কাচুমাচু করে খুব নিচুস্বরে বল্ল "আমি এই ক্লাসেই পড়ি,নতুন ভর্তি হয়েছি"।নুরু যেন আকাশ থেকে পড়ল 'কস কি?তুই এইট এ পরস?তা সাইজ এইটুক ক্যা?'।এ সময় অপূর্বের আবির্ভাব।অপূর্ব ক্লাসের সেকেন্ড ক্যাপ্টেন।শ্যামলা সুস্বাস্থ্যবাণ হাসি-খুশি ছেলে।এবং সে যখন তখন যার তার সাথে চাপা মারে।এবং সে চাপাগুলো এমনভাবে মারে যে আগে থেকে না জানলে বেশীরভাগ লোকই বুঝতেই পারে না যে এগুলোর সবই মিথ্যে কথা।ওর সর্বজনবিদিত চাপাগূলোর মধ্যে হচ্ছেঃ-
১.'এবার বাড়ি যাবার সময় লঞ্চ যখন চাদপুর পৌঁছল তখন কি হইল জানস?' -পরেরটুকু এই স্কুলের শিক্ষকরাসহ বেসিরভাগ লোকই জানে।এরপরে প্রচন্ড ঝড় শুরু হয় এবং অনেক কষ্টে ওদের লঞ্চটা ডোবার হাত থেকে রক্ষা পায়।
২.'জানস অনেক আগে এই স্কুলটা যখন আছিল না,তখন এইখানে কবরস্থান আছিল'-এরপর সে তার নানা আধিভৌতিক কাহিনি বলে।
৩.'এই স্কুলের সামনে আগে একটা খেঁজুর গাছ আছিল,গাছটা লাগাইছিল এক পীরবাবা।কিন্তু স্কুলডা বানানোর সময় গাছটা কাইটা ফেলছে।'-এরপর শুরু হয় গাছটা যে কেটেছিল তার নানাবিধ অলৌকিক উপায়ে শাস্তি পাওয়া এবং অবশেষে মারা যাওয়ার করুণ কাহিনী।
অপূর্ব জিজ্ঞাসা করল 'তাইলে তুই নতুন?দেরী কইরা আইসস কেন?টাইম জানতি না?'।
ফরহাদঃ না জানলে তুই জানাইয়া দে,ক্যাপ্টেন অইসস ক্যান কোন কাজই তো করস না
অপূর্বঃ আমারে নাম লেখার কাজটা দিয়া দে,দেখ কেম্নে কাজ করি!
ফরহাদঃ হ আমারে নিজের মত ভোদাই পাইছস্‌?

-তোর নাম কি'রে?
এই প্রশ্নে ছেলেটা যেন আরেকটু কুকড়ে গেল।মাথা নিচু করে নিচু গলায় কি যেন বল্ল,ঠিক শোনা গেল না।
-আরে নাম কি?কি কইলি কিছুই তো শুনলাম না
নুরুঃ আরে শুনছ্‌ নাই?আমি তো ঠিকই শুনছি,ওর নাম নান্টু মিয়া।
নান্টু মিয়া নান্টু মিয়া
গুড়া গুড়া গুড়-গুড়িয়া
ভুলিও না সাইজ দেখিয়া
আসলে সে চিজ্‌ বাড়িয়া...।।

পুরো ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল।'নান্টু মিয়া! ভালো নাম দিছস তো!'।নান্টু চুপ করে রইল কিছু বল্ল না,মাথা নিচু করে গিয়ে শেষ বেঞ্চটায় বসল।

সেইদিন থেকে শুরু।এরপর সবাই ওকে নান্টু বলেই ডাকত।এমনকি ছোট ক্লাসের ছেলেরাও ওকে নান্টু ভাই বলে ক্ষেপাত।আর নুরু ছিল সবার চেয়ে এগিয়ে।সে ওকে দেখলেই শুরু করে দিত 'নান্টু মিয়া নান্টু মিয়া......' আর তার সাথে যোগ দিতাম আমরা সবাই।নান্টু কখনোই কিছু বলত না শুধু মাথা নিচু করে নিরবে চলে যেত।

নান্টুর মত আরেকজন ছিল ক্লাসে।লম্বায় নান্টুর সমান কিন্তু স্বাস্থের দিক দিয়ে বিপরীত,একেবারে শুকনা খিটখিটে,গোলাম মাওলা রনি।ওকে নুরু নাম দিয়েছিল 'ক্যারামত ওরফে ক্যারা'।প্রথমদিকে ওকেও নুরু ক্ষেপাত...
'ও ক্যারামত, ক্যারামত!!
করব তোমায় ম্যারামত
বেশী যদি ফাল পার
আর এম্নে গাইল পার
করব তোমার হাজামত
ও ক্যারামত, ক্যারামত...।।'

আমরাও যোগ দিতাম নুরুর সাথে মাঝে মাঝে।কিন্তু কিছুদিন পরেই ক্যারামত তার ক্যারামতী দেখাতে শুরু করল।কেউ ওকে ক্ষেপানোর চেষ্টা করলেই ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করত।আর তাছাড়াও ক্যারামত ছিল রফিক মামা'র এলাকার ছেলে।তাই ওকে কেউ বেশী ঘাটাতে যেত না।সবাই ওকে নিজ দ্বায়িত্বেই এড়িয়ে চলতে শুরু করল।একসময় দেখা গেল ক্লাসে রফিক মামা ছাড়া আর কেঊই ওকে 'ক্যারা' ডাকত না। কিন্তু নান্টুকে ক্ষেপানো দিন দিন যেন আরো মজার হয়ে উঠছিল।

ফরিদ মামা'র লাইব্রেরী,যেখানে স্কুল শুরুর ঘন্টাখানেক আগে থেকেই আমাদের ভীড় জমতে শুরু করত।স্কুলের মেইন গেট থেকে ২০-২৫ গজ সামনে এগোলেই রাস্তার বাম পাশে রাস্তা থেকে ৩-৪ ফুট উচুতে ফরিদ মামা'র লাইব্রেরী।রাস্তা থেকে লাইব্রেরীতে যেতে ৪-৫ ধাপ সিড়ি পেড়োতে হত।
ফরিদ মামা'র লাইব্রেরীটা মোটামোটি বড় ছিল,পর্যাপ্ত বসার জায়গা এবং সামনেও অনেক জায়গা ছিল দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়ার মত।আর ফরিদ মামাও আমাদের কখনো কিছু বলতেন না বরং আমাদের এই জ্বালাতন উপভোগ করতেন বলেই মনে হত।আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই লাইব্রেরীটার নামই ছিল'ফরিদ মামা'র লাইব্রেরী'।ফরিদ মামা আমাদের সকলেরই প্রিয় পাত্র ছিলেন। ফর্শা,ছিমছাম গড়নের যুবক,বয়স ৩০ এর কোঠায় হবে।

ফরিদ মামা'র লাইব্রেরীর এই স্কুল শুরু হওয়ার আগেকার ভীড়টা মূলত ২ শ্রেনীর ছেলেদের।এক নম্বর শ্রেনী যেটায় আমি নিজেই পরি সেটা কপিবাজদের শ্রেনী।আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য মূলত ক্লাসের ফার্স্টবয় ইফতি এর কাছ থেকে হোমওয়ার্ক কপি করা।আর আরেক শ্রেনী এখানে আসত মেয়েদের ক্লাস ছুটি হওয়ার পর মেয়েদর্শনের নিমিত্ত। আর এই শ্রেনী'র প্রধান আকর্ষন স্কুলের অন্যতম হার্টথ্রপ শ্রুতি।মূলত প্রেম সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা খোজাই এই শ্রেনী'র মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।এই শ্রেনীর ভীড়ে প্রায়ই কিছু বড় ভাইদেরও দেখা যেত।মূলত যারা স্কুলের সামনের ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে জমা বড়দের ভীড়ে ঠিক সুবিধা করতে পারত না তাদেরকেই দেখা যেত আমাদের এই ভীড়ে।আমরা কজনাও যে ও লাইনে মাঝেমধ্যে একই আশায় দাড়াতাম না তাও কিন্তু না।কিন্তু এতো পটু খেলোয়াড়দের ভীড়ে আমাদের মতদের গোল করার খুব একটা সম্ভাবনা নেই জেনে ইফতি এর হোমওয়ার্ক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম।এবং মজার ব্যাপার হল এই আম-জনতার শ্রুতি দর্শনের মনবাসনা প্রায়দিনই পূরণ হত।কেন জানি না তবে প্রায়দিনই শ্রুতি লাইব্রেরীর সামনে থেকেই বাসার জন্য রিকশা নিত।আমাদের স্কুলটা মেইন রোডের পাশেই ফলে স্কুলগেট থেকেই রিকশা পাওয়া যায়।কিন্তু সেটা না করে শ্রুতি প্রায়দিনই হেটে লাইব্রেরী পর্যন্ত আসত,লাইব্রেরী থেকে পেন্সিল বা রাবার অথবা এই জাতীয় কিছু একটা কিনত এরপর রিকশা নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হত।এত পরিমানে পেন্সিল রাবার কেনার নেপথ্যের রহস্য অবশ্য পরে ঠিকই উন্মোচিত হয়েছিল তবে সেটা ক্লাস টেন এর শেষ দিকটার ঘটনা।আম-জনতা যখন শ্রুতি'র আগমনে খুশি তখন শুধুমাত্র একজনের দীর্ঘশ্বাস শোনা যেত,সে আমাদের থার্ডবয় ইমতিয়াজ।কেননা সে এখানে শ্রুতি'র জন্য নয় রুমকী'র জন্য দাড়াত এবং প্রায়ই তার আশা পূরণ হত না।কারন রুমকী বাসায় যেত স্কুলের পেছনের রাস্তা দিয়ে।ইমতিয়াজ স্কুলের গেটে দাড়াতে পারত না কারন তাহলে আমরা ক্ষেপাব,তাই অগত্যা লাইব্রেরীতে বসে হোমওয়ার্ক করার ফাকে বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলত।বেচারা পরেছিল উভয় সংকটে।তবে আমরা ওকে এম্নিতেও ক্ষেপাতাম,সূত্রমতে ইমতিয়াজ রুমকীকে ক্লাস ফাইভ থেকে পছন্দ করে।ইমতিয়াজ এই কথা কোন কালেই স্বীকার করেনি যে সে রুমকীকে পছন্দ করে,তবে আমরা জানতাম।ইমতিয়াজ এমনিতেই একটু লাজুক,আর রুমকি'র সামনে সে যেন খোলসের ভেতর থেকে উকি দেয়া কচ্ছপ।এই ভীড়ে আরো একজনকে পাওয়া যেত না,সে হচ্ছে ফরহাদ।কেননা সে তখন মীরা'র জন্য গেটে দাড়িয়ে।মীরা-ফরহাদ প্রেমকাহিনি অনেক মজার,তবে সেটা আরেকদিন বলব।

এমনিভাবেই আমরা সবাই একদিন স্কুলের আগে ফরিদ মামা'র লাইব্রেরীতে আড্ডা দিচ্ছিলাম।একটু আগে মেয়েদের স্কুল ছুটি হয়েছে।শ্রুতি ধীর পায়ে লাইব্রেরীর দিকেই আসছে,আজ ওর সাথে রুমকীও আছে।আমি লক্ষ্য করলাম রুমকীকে দেখামাত্রই ইমতিয়াজের কান দুটো লাল হতে শুরু করেছে।এই কান লাল হওয়ার ঘটনা ইমতিয়াজের ছোটবেলা থেকেই চলছে,ও যখনই অস্থির বোধ করে তখনই ওর কান লাল হয়ে যায়,একেবারে টকটকে লাল।আমরা ইমতিয়াজকে ক্ষেপাতে শুরু করলাম আর ওর কান আরো লাল হতে লাগল।এই সময় দেখলাম নান্টু লাইব্রেরীর সামনে দিয়ে যাচ্ছে।নুরুতো ওকে দেখা মাত্রই ঝাপিয়ে পড়ল,সাথে সাথে আমরাও।নান্টুকে চক্রাকারে ঘীরে আমরা একসাথে বলতে লাগলাম
'নান্টু মিয়া,নান্টু মিয়া
গুড়া গুড়া গুড়-গুড়িয়া
সে নাকি করব বিয়া,
টানাটানি তাই পাত্রী নিয়া'।।
নান্টু এই চক্র থেকে বের হওয়ার জন্য ছটফট করতে লাগল।কিন্তু আমরা থামলাম না,চলতে থাকল চক্র।এক সময় দেখলাম নান্টুর গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পরছে,নান্টু কাঁদছে....
-ওই থাম থাম!কিরে কান্দস কেন?আমরাতো তোর সাথে একটু মজা করতাসিলাম,স্রেফ মজা
নুরুঃ আরে! নান্টু সিরিয়াসলি নিস না
অপূর্বঃ কি নিজের সাইজের বাচ্চার মত কানতাসস!,যা যা স্কুলে যা।
নান্টু মাথা নিচু করে ধীর পায়ে স্কুলের দিকে যেতে শুরু করল।নান্টু কিছুদুর যাওয়ার পর অপূর্ব চেচিয়ে উঠল 'নান্টু মিয়া করব বিয়া,কান্দে তাই রাস্তায় বইয়া'।এই কথায় আবার সবাই হাসিতে ফেটে পরল।মেয়েরাও হাসছিল।নান্টু এক মূহূর্তের জন্য মাথা তুলে আবার নামিয়ে নিল, ধীর পায়ে এগিয়ে চলল স্কুলগেটের দিকে।



চলবে..........................................


***চতুরে প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×