স্বাস্থ্যবটিকার উদ্দেশ্য রোগ নির্ণয় গোছের কিছু নয়!
বরাবরই খাবার দাবার নিয়ে আমার বাড়াবাড়ির শেষ নেই! এটা খাব না, সেটা খাব না, আরও কত কি! শাক-সবজি তো ছুঁয়েও দেখতাম না, তারউপর মাছের মধ্যে প্রিয় চিংড়ি পোকা আর খাবারের মধ্যে চকলেট!! চকলেট খেয়ে খেয়ে দাঁতের অবস্থা সাড়ে ১২!!
এখন ভাগ্যের ফেরে মেনুর দায়িত্ব আর তা পরিবারের সকলের প্লেটে পৌছানোর যাবতীয় দায়িত্ব আমার ঘাড়ে! আত্নীয় - স্বজনের নানারকম অসুখ-বিসুখের কারনে বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা, অপকারিতা জানতে হচ্ছে! নিজেও সংশোধন হচ্ছি, পাশাপাশির আর সবার দিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে!
নিজের এই সব টুকি-টাকি বিদ্যা একটু গুছিয়ে ফরমালভাবে শেয়ার করব ভাবছি এই স্বাস্থ্যবটিকায়!
সেইসাথে কিছু জানতেও পারব আশা রাখি!
মধুর উপকারিতা!
মধুর উপকারিতা এই অধম আর কি বলবে.... আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালাই তো বলেছেন, কুরআন শরীফের সূরা নাহল এ!
وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ (68
আপনার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ দিলেন: পর্বতে, গাছে ও উঁচু চালে বাড়ি তৈরী কর,
And your Lord inspired the bee, saying: ”Take you habitations in the mountains and in the trees and in what they erect.
ثُمَّ كُلِي مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلاً يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاء لِلنَّاسِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ (69
এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে খাও এবং আপন পালনকর্তার উন্মুক্ত পথে চলো। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
”Then, eat of all fruits, and follow the ways of your Lord made easy (for you).” There comes forth from their bellies, a drink of varying colour wherein is healing for men. Verily, in this is indeed a sign for people who think.
সূরা নাহল: আয়াত ৬৮-৬৯
চিন্তাশীল বিশ্লেষণ
বৈজ্ঞানিকভাবে মধুর অসংখ্য গুন দেখা যায়! চলুন এক পলকে দেখে নেই!
১. মধু সর্দি, ঠান্ডা লাগা, কাঁশি, জ্বর, হাপানি, হৃদরোগ, পুরনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে। এছাড়া মধু শক্তি বৃদ্ধিকারক খাদ্য ও হজমে সহায়ক। মধুতে প্রিজারভেটিভ লাগে না কারন সে নিজেও প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে!
২. মধু মিষ্টি হলেও এতে সুগার বাড়ে না। ডায়াবেটিকের রোগীরাও নির্ভয়ে মধু খেতে পারে!
৩. মৌমাছি ফুলের পরাগায়নে সাহায্য করে শস্য উৎপাদন বাড়ায়।
৪. মৌচাক থেকে যে মোম পাওয়া যায় তা বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য যেমন- লোশন, সাবান, কৃম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
৫. রূপচর্চায় বিভিন্নভাবে উপকারী যেমন ব্রণ সারাতে, মুখের আদ্রতা বৃদ্ধিতে, মসৃণ করতে ইত্যাদি!
নাহ, মধুর উপকারিতা বলে শেষ করতে পারুম না! আপনারাই দেখে নিন!
মধুর হিলিং পাওয়ার! বিশাল আর্টিকেল
আরও ইত্যাদি ইত্যাদি কথা!
ছোটখাট কিছু কথা!
ধুর!!! এত্তো বড় একটা পোস্ট হয়ে গেছে। খামোকা আমার কিছু জ্ঞানও বাড়ল! আর বিশাল পোস্ট লেখায় ঝাড়ি খাওনের সম্ভাবিলিটিও বাড়ল! শুধু বলে দিতাম নিজে যা জানি, মধু বহু রোগের মহৌষধ আর আর ডাইবেটিক রোগীরাও খেতে পারে! পরীক্ষিত!
এরপরে থেকে ছোট করেই লিখব! আমাকে মারবেন না, আমি ছোট!
সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন মুন (০৮-১০-২০০৮ ১৬:১৭)
-----------------------
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এরমধ্যে আমার আবার ক্ষুধা লাগে ক্যান??
কি যে করি ধ্যাত্তরীকাই, আস্তে ঘুরে ফ্যান!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




