হযরত ইসমাইল বোখারী (রহ একজন এনেক বড় আলেম ছিলেন তার ছয় লক্ষ হাদিস মুখস্থ ছিল। তিনি সহীহ বোখারী শরিফ হাদিসের রচয়িতা। তিনি সহীহ হাদিস সংগ্রহে দেশ বিদেশ ভ্রমণ করেন সঠিক রাবাই খুঁজতে। অবশেষে যা তিনি সহীহ হিসেবে মানদণ্ড দেন তা তার ছয় লক্ষ থেকে বাদ দিয়ে ৫৫০০ মতো হাদিস টিকে। বাঁকি সব জইফ বলে মত দেন।
এতো বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাব লিখেও তিনি হাদিস গ্রন্থের শুরুতে "বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম" লিখার সাহস করেননি।।
বিসমিল্লাহ্ লিখেননি এজন্য যে যদি তার হাদিস গ্রন্থ কারও দ্বারা অসম্মান হয় তবে আল্লাহর কোরআন শরীফের আয়াত "বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম" এর অমর্যাদা হবে।
তারা কতো যত্নবান ছিলেন আল্লাহ্ কালাম বিষয়ে। (সুবহানআল্লাহ..)
অথচ, বাংলাদেশের সাবেক এক সামরিক শাসক ( জিয়াউর রহমান) বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ আয়াত টি লিখে নিজেকে খুব পূণ্যবান মনে করলো!
তার দল প্লাকার্ড, ফেস্টুন, মার্কা সহ সবখানে বিসমিল্লাহ্ লিখে থাকে যা দু চারদিন পর দেয়াল থেকে আঠাঁ খসে ড্রেনে পড়ে থাকে, রাস্তায় পদদলিত হয়। প্রস্রাব খানায় পড়ে থাকতে দেখাযায়!
এমন করে পবিত্র কালাম বিসমিল্লাহ্ এর অমর্যাদা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই শুরু হয়েছে এবং এখনো তাদের মাধ্যমে হয়েই চলেছে।
পবিত্র বোখারী শরিফে বিসমিল্লাহ্ লিখার সাহস হয়নি অথচ এরা এভাবেই এই দু:সাহস করেই চলেছে।
যারা বলে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ তাই সংবিধানে বিসমিল্লাহ্ থাকতেই হবে, না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে।
তাদের বলবো আগে আমাদের প্রধান সহিহ হাদিস বুখারি সহ যতগুলো হাদিসের কিতাব আছে তাতে বিসমিল্লাহ্ লিখো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১২