বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোরানের সুন্দর ফয়সালা আছে, যদি কেউ কোরাআনকে মানে তবে খুব সহজেই কোরাআনের বিধান মেনে সকল প্রকার হিংসা লোভ ঈর্ষা ত্যাগ করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরতে পারে ।
নিন্মে সুরা আল নিসা আয়াত ৫৩ ও ৫৪ এর তাফসীর তুলে ধরছি । তাফসীরটি পবিত্র 'মা'রেফুল কোর'আন' থেকে নেয়া যা বহু পুরাতন ও প্রসিদ্ধ তাফসির :
" আল্লাহ বলেছেন যে, তোমরাদের এই হিযসা , ঈর্সা ও বিদ্বেষ-এর কারণটা কি ? যদি এ কারণে হয়ে থাকে যে, তোমরাই প্রকৃত রাস্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী অথচ তা তোমাদের হাতে না এসে তিনি (অন্যকেউ) পেয়ে গেছেন, তাহলে তোমাদের এ ধারণা যে একান্তই ভ্রান্ত তা সুস্পষ্ট । কারণ, এখন তোমরা রাস্ট্রীয় ক্ষমতার থেকে বঞ্চিত ।.. কিন্তু তোমরা যদি তা থেকে কোন অংশ প্রাপ্ত হতে, তাহলে তোমরা তো জন্য (ক্ষমতা থেকে) কাউকে একটি কড়িও দিতে না । ..
পক্ষান্তরে, যদি তোমাদের এ বিদ্বেষ এ কারণে হয়ে থাকে যে 'রাজক্ষমতা না হয় আমারা না-ই পেলাম, কিন্তু তার (তাদের/অন্যপক্ষের) হাতে কেন যাবে ? রাস্ট্রের সাথে তার/তাদের কি সম্পর্ক ?'.. তাহলে তার উত্তর হল এই যে , ইনিও (রাস্ট্রক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি) নবীগণেরই বংশধর, যাদের নিকট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পূর্ব থেকেই ছিল ।
কাজেই রাষ্ট্র কোন অপাত্রে অর্পিত হয়নি ।।
..এতএব, তোমাদের ঈর্ষা একান্তভাবেই অযৌক্তিক ।
ঈষার্র সংজ্ঞা তার বিধান এবং অপকারিতা সমূহ: মুসলীম শরীফের ব্যাখ্যাতে আল্লামা নবভী (রহ হাসাদ বা ঈর্ষার সংজ্ঞা দান প্রসঙ্গে বলেছেন -"অন্যের প্রাপ্ত নেয়ামতের অপসারণ কামনা করা নামই হলো হাসাদ বা ঈর্ষা, আর এটি হারাম ।"
{উপরোক্ত ব্যাখ্যাটি মেনে যারা ক্ষমতায় আছে তাদেরকে দেশ পরিচালনার জন্য সকল পক্ষের সাহায্য করা দরকার, কারণ এটি আল্লাহ নির্দেশ । ... বর্তমানে যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তারাও মুসলামের মধ্যে একটি অংশ, তার ধর্ম পালন করতে কোন বাঁধা প্রদান করেনা । নবীদের বংশধর বলতে আমরা সবাই ত কোমছে কোম বাবা হযরত আদম (আ তার সন্তান শীষ (আ এবং হযরত নূহ (আ এ বংশধর ।....তাদের নিকট ক্ষমতা পূর্বেও ছিল , এর ব্যাখ্যা হল এরা হুট করে উড়ে এসে জুড়ে বসেনি । এরা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে রাস্ট্র পরিচালনায় অধিষ্ট হয়, এব অকাধিকবার ক্ষমতায় আসে ।....... সুতুরাং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা , সরকারকে টেনে নামানোর ব্যবস্থা গ্রহণ বা পরিকল্পনা করা হারাম ।}