somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো নোট :: খালেদা জিয়ার উচ্ছেদ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন পর উত্তপ্ত বাংলাদেশ । ঢাকার রাস্তায় গাড়ি পুড়ল , ভাঙচুর চলল । কি ভীষণ ক্ষোভ , শুধু একটা বাড়ির মোহে । রাজনীতিবিদদের নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই , কিন্তু আরেকবার তাদের স্বরুপটা উন্মোচিত হয়েই গেল । দু'দিন পর ঈদ , ঘরমুখো মানুষের স্রোত , তার মাঝে রাজনীতির যুদ্ধ , বলি জনগণ , প্রিয়জনকে কাছে পাবার সম্ভাবনায় ঘোরতর অনিশ্চয়তা ।

স্বার্থপরতা :
খালেদা জিয়ার উচিৎ ছিল অনেক আগেই এ বাড়িটি ছেড়ে দেয়া, এটা সময়ের দাবী , জনগণের দাবী । যে পরিস্থিতিতে তাকে এ বাড়িটি দেয়া হয় , সেটি সেসময়ের প্রেক্ষিতে অবশ্যই যুক্তিযুক্ত ছিল । প্রেসিডেন্ট জিয়ার যে যত বড় বিরোধিই হোক না কেন , তার সততা নিয়ে প্রশ্ন কেবল অজ্ঞরাই তুলতে পারে । কিন্তু বাড়িটি ধরে রাখার যৌক্তিকতা অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে , সে কথা নতুন করে আর বলতে হয় না । সে সময়ের পরে প্রায় ৩০ টি বছর পেরিয়ে গেছে । খালেদা দু'বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন , তার দুই সন্তানের অঢেল লুটপাটের কথা যদি বাদও দেয়া হয় , তবুও তিনি বিপুল পরিমাণ বিত্ত প্রতিপত্তির অধিকারী । নিজ উদ্যোগে তিনি অনেক আগে যদি বাড়িটি ছেড়ে দিতেন , তবে তার মাহাত্মই বাড়ত । তবে বাংলাদেশের রেওয়াজ বলে , খালেদা বাড়ি ছাড়বেন না । নিজের লোভ-স্বার্থের কাছে এসব মহান হওয়ার চেষ্টাগুলোকে নেতৃবৃন্দ চিরকাল অপচয় হিসেবেই দেখে এসেছেন ।

প্রতিহিংসা:
খালেদাকে শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হলো যে পন্থায় , তাতে কিন্তু জনগণের ন্যায্য দাবীর প্রতিধ্বনি শোনা গেল না , কেবল প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসাটাই উচ্চস্বরে বাজল । ২০০১ চলে এল সামনে , যখন জননেত্রী নিজের নামে গণভবন লিখে নিয়েছিলেন । গণভবনের মত রাষ্ট্রীয় বাসভবন কেউ নিজের নামে লিখে নিতে হলে কতটা বেশি উদ্ধত হতে হয় , সে কথা আর নতুন করে বলার নেই । যারা অবশ্য গণভবনের সাথে সেনানিবাসের বাসভবনকে মিলিয়ে সাম্যাবস্থা দেখছেন , তাদের ঘুম ভাঙানোটাও জরুরী । গণভবন লিখে নেয়াটা ছিল নির্লজ্জ নোংরামী , সেটা থেকে হাসিনার বহিষ্কারাদেশ ছিল পাপমোচনের সমতূল্য । বিপরীতে সেনানিবাসের বাড়িটি ছেড়ে দেয়া ছিল কেবলই সু-বিবেচনা আর বিবেকের প্রশ্ন , যে বিবেক জাগ্রত হওয়ার আশা জনগণ কখনও করতে পারেনি।

দু'জনার কান্না:
শেষ বিকেলে খালেদা কাঁদলেন । এই মহিলা কদাচিৎ কাঁদেন । খালেদার কান্না দেখলে নিশ্চিত হই , এই মহিলার ব্যক্তিগত কোন ক্ষতি হয়ে গেছে । দেশের জন্য কখনও তার ভেতরটা কেঁদেছে কিনা জানিনা , তবে নিজের জন্য যতটুকু জল তিনি ফেলেন , সেটা জেনুইন ।
হাসিনার কান্না দেখে অবশ্য সবসময়ই কনফিউজড হয়ে যেতাম , এখনও যাই। এই মহিলা যত্রতত্র কাঁদেন , নাকি কান্না , মেকি কান্না। নিজের জন্য কাঁদেন , যেখানেই কাঁদলে খানিক সুবিধে হবে সেখানেই দক্ষ অভিনেত্রী হয়ে জল উগড়ে দেন।

আরেকবার পিষ্ট বাংলাদেশ :
দেশে অনেক ইস্যু ছিল , দিনরাত বিদ্যুত থাকে না , কলকারখানা চলে না । দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী । ট্রানজিট দেয়া হচ্ছে বিনা-শুল্কে , টিপাইমুখ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মেঘনা । বিএনপির হাতে হাজারটা ইস্যু ছিল , জনগণ তাদের টিকির সন্ধানটাও পেল না । সবাইকে বোঝানো হল , বিএনপি দূর্বল , দেশের পক্ষে কথা বলার শক্তিটুকুও তাদের নেই। দেশ বেচার যে বুলি বিএনপির এত পছন্দ তার সবটুকু সুযোগ সরকার তাদের হাতে তুলে দিল , তবুও লজ্জাবতীর মত তারা নীরব রইল । আজ কেবল একটা ঘর বেহাত হতেই ঢাকার রাজপথে যে আসুরিক শক্তি এল সেই মৃত শরীরে , তা আরেকবার দলের মহিমা , ব্যক্তির মহিমাকেই ঘোষণা করল , দেশ আরেকবার হলো লাঞ্চিত ।


...............
(জানি এসব কথার দু'পয়সার মূল্যও নেই , তাই এসব কথা বলাও হয়না । আমাদের মত এক পয়সার মানুষগুলোর দু'পয়সার কথা বলাটাও স্পর্ধা দেখানোর মতই লাগে)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×