আজ-কালকার দিনগুলো আমার, যেন এখনো অমলিন (পর্ব ১)
ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন আমার বাবা মা, তাই পারিবারিক ভাবেই শুরু হয় আমার মাদ্রাসা জীবন। তখন ছিল ১৯৯৯ সাল, আমাকে ভর্তি করানো হল "গাইবান্ধা ইষ্টিশোন মাদ্রাসা"-য়, সেখানেই ছিলাম ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত। এখানে অবশ্য কিছু ছোট-ছোট মজার সৃতি রোয়েছে, যেমন- ইষ্টিশোন সংলগ্ন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ট্রেন নামক লম্বা এই অদ্ভুত গাড়ীর সাথে ভালই পরিচিত ছিলাম, লাইনের উপরে পয়সা বা কয়েন দিলে তা ট্রেনে পৃষ্ঠ হোয়ে দিগুণ বা তিনগুন আকার ধারন করত, আর আমরা আনন্দে সবাই হই হুল্লোড় করতাম। মাঝে মাঝে ক্যাম্বাচাররা হরেক রকমের মজমার পশরা সাজিয়ে বসত, যেমন- সাপের, তাসের অথবা ম্যাজিক এর মত আয়োজন ছিল হরহামেশাই। কিন্তু এই মজার দিন গুলো শেষ হোয়ে যায় এখান থেকে চোলে যাবার পর থেকেই। এই আনন্দ ফুর্তির মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হয় ইবতেদায়ি শিক্ষা (পঞ্চম পাস)। সেই সাথে পরিবর্তন হয় মাদ্রাসার, চোলে যাই - "খানকাহশরীফ দ্বিমুখী সিনিয়র মাদ্রাসায়"।
এখানে পরিচিত হই কিছু প্রাতিষ্ঠানিক দেউলিয়াত্বপনার সাথে। ক্লাসে আমার ছিল এক রোল- ছাত্র ছাত্রী আর ক্লাস শিক্ষক সহ আমরা ছিলাম পাঁচ জন। শ্রেণী কক্ষে ছিলনা কোন দরজা বা জানালা; ব্লাক বোর্ড বা হোয়াইট বোর্ড থাকার প্রশ্ন এখানে হাস্যকর। এলাকার বাউন্ডেলে যুবকদের এখানে ছিল নিরাপদ মোক্ষম আস্থানা। স্লেবাজ ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দার্ছ শিক্ষা দেয়ার পরিবর্তে দায়সাড়া ভাবে পড়ান হোতো বাংলা রিডিং, আর লিখান হোতো আরবি হরফ মালা। এভাবেই কৃতিত্বের সাথে পাশ করি অষ্টম শ্রেণী। (চলবে)
আজ-কালকার দিনগুলো আমার, যেন এখনো অমলিন (পর্ব ৩)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬