এক সপ্তাহ পরেই মেহেদির রঙে দুই হাত রাঙার কথা ছিল মুনতাহার কারিনের (২০)। লাল টুকটুকে শাড়ি পরে বধূয়ার সাজে স্বামীর ঘরে যাওয়ার স্বপ্ন বুনছিলেন তিনি। স্বপ্ন বুনছিলেন নতুন সংসারের। সব স্বপ্নসাধ তার খুইয়ে গেছে গতকাল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেডে শুয়ে এসিডদগ্ধ মুনতাহার এখন লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। একই সঙ্গে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছেন তার দুই বোন শারমিন ফারজানা (২১) ও সালসাবিল তাসনিম (১৭)। গতকাল ভোরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এসিডে ঝলসে দিয়েছে তিন বোনের মুখ। পাঁচলাইশ থানাধীন জয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রেজাউল মাসুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জয়নগরের মোহাম্মদ আনোয়ারুল মুবিনের বাসায় অজ্ঞাত দুই দুর্বৃত্ত ঢুকে তিন বোনকে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় আনোয়ারুল ও তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। ইনজেকশনের সিরিঞ্জে এসিড ভর্তি করে তাদের মুখে ছুঁড়ে দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এসিড সন্ত্রাসীদের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
তিন বোনের আত্মীয়-স্বজনরা জানান, মুনতাহার ও সালসাবিল-এর খালাত বোন শারমিন। আগামী ১০ অক্টোবর মুনতাহারের বিয়ের পাকা কথা হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতিও চলছিল। তার সঙ্গে কোনো ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৫ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তিন বোনের মুখমণ্ডলের অনেকাংশ পুড়ে গেছে দাবি করে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আইয়ুব আলী বলেন, তাদের সার্বিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসিডে শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তবে চোখের তেমন ক্ষতি হয়নি। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে তারা উপকৃত হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




