সম্প্রতি বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ মুখে ভারতীয় ও ইজরাইলের পতাকা অবমাননা চলছে। কুৎসিত এই দৃষ্যগুলো দেখে অবাক হয়ে ভাবছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকবৃন্দ কোথায় ? ছাত্রদের এই ঘৃন্য কর্মকান্ড বন্ধের বিষয়ে সরকারের অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী। আরেক দেশে পতাকা অবমাননা হয়েছে বলে আমাদেরো কেন একই কাজ করতে হবে ? যা খারাপ তা সর্ববস্থায় পরিতাজ্য।
দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি জনমনে তীব্র আতংকের জন্ম দিয়েছে। সবার এক কথা দেশের ৫৩ বছরে ইতিহাসে ১৯৭১ এর পর এতটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এর আগে কেউ কখনও দেখেনি। বিপ্লব অতিবাহিত হয়েছে প্রায় চার মাস । এখন বিপ্লবি জোশ পরিহার করে বাস্তবতার মাটিতে নেমে আসা আবশ্যক। তীব্র ভারত বিরোধিতা আমাদের মত ক্ষুদ্র রাস্ট্রের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। তাছাড়া এখন কোন ভারত পন্থী সরকার ক্ষমতায় নাই যে তারা দেশীয় স্বার্থ বিষর্যন দিয়ে দেবে। তাই কুটনৈতিক বিষয় সরকারকেই ডীল করতে দেয়া হোক । আমরা অহেতুক তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যেন দেশের জন্য বিপদ ডেকে না আনি। বিশেষ করে দেশের বাইরে বসে যারা বিভিন্ন পোস্ট ও ভিডিওর মাধ্যমে উস্কানি ছড়াচ্ছে , তাদের বিষয়েও সাবধান হতে হবে। দেশে কোন বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাদের গায়ে কিন্তু আঁচ পড়বে না। তারা দুরে বসে তখনও বিপ্লবী বয়ান ও তাল দিয়ে যেতেই থাকবে। পলাতক স্বৈরাচারের বিভিন্ন ষঢ়যন্ত্র রুখে দিতে বর্তমানে প্রয়োজন জাতিগত ঐক্য , সহনশীলতা ও ধৈর্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন এখন পর্যন্ত সব ইস্যূতে সংযত কিন্ত জোড়ালো পদক্ষেপ রেখে চলেছে প্রতিটা ইস্যূতে। ডক্টর ইউনুস , অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন উপড় আস্থা রাখুন এবং সামগ্রিকভাবে সংযত আচরন করুন ।