somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি তিক্ত বাস্তবতা !!!

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৮ নভেম্বর ২০১১ ইং।


৩ দিনের ছুটি শেষে আগমনী এক্সপ্রেস-এর রংপুর-বগুড়া-ঢাকা - রুটের একটি হিনো আর.এম-১ বাস এ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। আমার সাথে ছিলো ১টি আর্মি কমব্যাট হ্যান্ডব্যাগ যা সাথে নিয়ে বাসে আমার নির্ধারিত আসন গ্রহণ করি। আসন গ্রহণের পর আমার সিট পিছনে adjust করতে গেলে আমার পেছনের সিটে বসা সৌম্য চেহারার একজন পরিপাটি ভদ্রলোক তার বসতে অসুবিধা হবে জানিয়ে আমাকে সিট পেছনে না নিতে অনুরোধ করেন। এই বলে তিনি আমার সাথে বেশ খাতির জমানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু আমি তাতে সাড়া না দিয়ে বললাম - " এসব বাসে সিট সম্পূর্ণ পিছে নিলেও বসতে সমস্যা হওয়ার কথা না" - এতে তিনি আরও আলাপ জমানো শুরু করলে আমি চুপচাপ সিট উপরে তুলে নিলাম। মনে মনে খানিকটা বিরক্ত হলেও তা প্রকাশ না করে নিজের চিন্তায় ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করলাম। ট্রাভেল করার সময় আমার এরকম অভিজ্ঞতা আরও হয়েছে - কিছু মানুষ অহেতুক আলাপ জমিয়ে নিজেকে জাহির করে কিছু কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষের দৃষ্টি/মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দিলাম না। খানিক পর আমার অনুমান সত্য প্রমাণিত হলো। লক্ষ্য করলাম ভদ্রলোককে বাসের ষ্টাফরা বেশ খাতির তোয়াজ করছে। তাঁর মোবাইল কথোপকথন থেকে বুঝলাম তিনি রংপুর অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে তিনি তাঁর অতি গোপনীয় অনেক bzns strategy নিয়ে মোবাইলে একাধিক লোকের সাথে আলাপ সম্পন্ন করেছেন এবং তিনি যে নিয়মিত লাখ লাখ টাকা লেনদেন করেন তা বাসের সকল যাত্রী জেনে গেছে। বাস যমুনা সেতু অতিক্রম করার আগ মুহুর্তে তিনি আরেকবার তাঁর ক্ষমতার পরিচয় দিয়ে close door non stop service বাসিট থামিয়ে তাঁর এক বন্ধু ভদ্রলোককে রাস্তা হতে তুলে নেন। তাঁরা দুজন আমার পিছনে আসন গ্রহণ করেই বিপুল উদ্যোমে আলাপ জমিয়ে তুললেন। সঙ্গত কারণেই তাদের আলাপের কারণে আমার চিন্তার সুতো বার বার কেটে যাচ্ছলো। তাই্ বাধ্য হয়ে্ ব্যাক্তিগত চিন্তা বাদ দিয়ে বসে বসে তাদের কথোপকথন শুনতে লাগলাম। জানতে পারলাম বন্ধু ভদ্রলোক নীলফামারী জেলার পূবালী ব্যাংকের AGM পদবীর একজন কর্মকর্তা যাঁর প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে স্থানীয় এম.পি - চেয়ারম্যান - জনপ্রতিনিধিরাও নস্যি! তাঁদের নির্দোষ এসব আলোচনায় আমার কোন আগ্রহ না থাকলেো টাইম পাস করার জন্য শুনে যাচ্ছিলাম (বলা ভালো যে শুনতে বাধ্য হচ্ছিলাম)।
কিছুক্ষণ বাদেই তাঁদের আলোচনায় রাজনৈতিক হাওয়া লাগলো।একে একে তাঁরা দেশের প্রশাসনিক অব্যবস্থা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি, আওয়ামী দুঃশাসন, বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কায়েম, ৭৫ পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের ক্ষমতায়ন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশী প্রভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি এবং বিশেষ করে অর্থ ও সরাষ্ট্র মন্ত্রীর অতি কথন ইত্যাদি বিষয়ে অনেক খোলামেলা ও যুক্তিনির্ভর আলোচনা করলেন। তাঁদের কথা শুনে মনে হলো তাঁরা হয়তো BNP মতাদর্শের রাজনীতির সমর্থক। কিন্তু এর পরই তাঁরা আবার তারেক জিয়ার সীমাহীন দুর্নিতী, অর্থ পাচার, খালেদা জিয়ার কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কিছু চরস্ মন্তব্য করলেন। আমি বুঝলাম, যেহেতু তাঁরা রংপুর অঞ্চলের বাসিন্দা তাই হয়তো জাতীয় পার্টির সমর্থক হয়ে থাকবেন। ভুল ভাঙ্গতে বেশী দেরী হলোনা যখন তাঁরা এরশাদ মামাকেও ছেড়ে কথা বললেন না। তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ আমার কাছে স্পষ্ট না হলেও বেশ ভালো লাগলো এই ভেবে যে, আমাদের দেশের অবহেলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষ আজ রাজনীতিবিদদের স্বার্থপর, নির্লজ্জ এবং জাতির সাথে বেঈমানীমুলক ভূমিকার পাশাপাশি রাজনৈতিক হাওয়া বদলের এসব পুরনো খেলা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে একই সাথে সুন্দর গঠনমুলক সমালোচনা করতে পারছে।
কিন্তু তখনো বুঝতে পারিনি আমার জন্য অপার বিস্নয় অপেক্ষা করছিলো খানিক পরেই। বাস তখন সাভার ক্যান্টনমেন্ট অতিক্রম করছিলো। আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে ক্যান্টনমেন্টের অসাধারণ সৌন্দর্য্য আর জীবণের ফেলে আসা এক টুকরো মাতাল স্নৃতি রোমন্থন করছিলাম। এমন সময় বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর হঠাং ১ম ভদ্রলোক বলে বসলেন - "সবচেয়ে বড় চোর হইল আর্মি। এই শালাদের দেশ থেকে লাথি মেরে বের করে দেওয়া উচিত" !!! এই কথা শুনে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে বসে রইলাম !! যিনি এতক্ষণ রাজনৈতিক - সামাজিক ইত্যাদি সকল বিষয়ে এত সুন্দর করে মন্তব্য করছিলেন তাঁর মুখ থেকে এমন অর্বাচিনের মতো বক্তব্য আমাকে হতভম্ব করলো! এই সাথে AGM সাহেব বললেন, "আর্মিরা দেশের ১২টা বাজায় চলছে! তাদের ভাব হলো এই দেশ তাদের কাছে জাগ দিছে! তারা একাই দেশপ্রমিক বাকি সব শত্রু!" লিমনকে গুলি করে পঙ্গু করা, RAB - এর বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, সাধারণ মানুষকে নির্যাতন, আর্মি অফিসারদের দুর্নীতি, জনগণের টাকায় খেয়ে পরে জনগণের উপর অত্যাচার, বউ/মেয়ে মানুষ নিয়ে ফুর্তি ইত্যাদি বিষয়ে অনেক নোংড়া আর অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য ও আলোচনা তাঁরা করলেন। এই সময় AGM সাহেব এক গল্প শুনালেন (ঠিক এইভাবে) - "কিছুদিন আগে এক মেজর হারামজাদা আইছিলো আমার অফিসে। আমারে কইচ্ছে আইচ্ছা ভাই বলোনতো আর্মি সম্পর্কে সাধারণের ভাবনা কি? আমিও এক্কেবারে কয়ে দিলাম - আপনারাও তো চান্স মাহমুদ। বাগে পাইলে এক আধলাও ছাড়বার চান না" !!! এই কথা শুনে ১ম ভদ্রলোক খুব উচ্ছাসিত হয়ে উঠলেন এবং তিনি সঠিক কাজটি করেছেন বলে তাঁর সৎ সাহসের খুব বাহবা দিলেন! উৎসাহ পেয়ে AGM সাহেব আরো বললেন - "শালারা আমাদের বলে "bloody civilian", কিরে শালা তোরা কি তাইলে সব আর্মির পেট থেকে আইছস? ব্লাডিগিরি তাগো পিছন দিয়া বাহির করা লাইগবে।" ১ম ভদ্রলোক বললেন - গাড়ি নিয়া জিপ নিয়া আমাদের এলাকায় ঘুরে বেড়ায় কেন? তাদের তো ক্যান্টনমেন্ট থেইকাই বাইর হইতে দেওয়া উচিত না। ঢাকা ভার্সিটির শিক্ষকদের কিভাবেই না পিটাইলো। শিক্ষকরা হইলো জাতির বিবেক। তাদের গায়ে হাত তুলতে এদের বাধে না। এরা মানুষকে মানুষ মনে করে না ! এইসবের বিচার তো সিভিল কোর্ট - এ করা উচিত। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হওয়ায় তারা এখন খুব ভয়ে আছে। বুঝতে পারছে ক্ষমতা দখল করলে ফাঁসি হবে। এদের সবার বিচার সিভিল কোর্টে হওয়া উচিত"। AGM সাহেব বললেন - "এই দেশে আর্মির দরকার কি তাই তো বুঝি না। আমাদের নিরাপত্তা তো ইন্ডিয়ান আর্মি'ই দিবার পারে।আমাগো দেশ কে আক্রমন করবো? আরে আমাগো টাকায় বসে বসে খাস আর আমাগোরেই ঠ্যাঙ্গাস। শালা বদমায়েশ কথাকার। এক আছে জাতিসংঘ মিশন নিয়া। কত টাকা যে খায় শালারাই কইবার পারে!! আমাদের ইয়ং ছেলেরা এখন আর কেউ আর্মিতে যেতে চায় না। এত ডিসিপ্লিন, এত কড়া নিয়ম কানুন, কথায় কথায় স্যার স্যার এসব এখন আর কেউ পছন্দ করে না। সবাই এখন ফ্রিডম চায় !!!

একবার মনে হলো এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করি। পরক্ষণেই ভাবলাম, এসব নিয়ে তর্ক করে কি হবে? ঝগড়া-তর্ক-প্রতিবাদ এসব করে সদালাপি স্বল্প চিন্তাধারী বাঙ্গালীর চিরচায়িত মানসিকতার পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু যে আমাদের জিহবা তা এদের কে বুঝাবে আর কে কবে বুঝাতে পেরেছে? তাছাড়া বাসে বসে তর্ক করার মানসিকতা আমার হলোনা। মহান আল্লাহ্ পাক এদের বুঝ দিক, চিন্তা শক্তি বিস্তৃত করুন এই দোয়া করে বুকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ আর তিক্ততা নিয়ে একটি কথাও না বলে চুপ করে থাকলাম।

যাই হোক, সারাদিন পেটে কোন দানাপানি পড়ে নি তার উপর এসব আবোল-তাবোল শুনে মেজাজ সাত-আট রকম হয়ে আছে, তাই বাস থামার পর একটি রেষ্টুরেন্টে বসে পেট পুজো করে নিচ্ছিলাম। এমন সময় ওই মানিকজোড় সেই রেষ্টুরেন্টে ঢুকে আমার এক টেবিল পরে বসে লাঞ্চ অর্ডার করলেন কিন্তু আমাকে খেয়াল করেন নি। ১ম বন্ধু AGM সাহেবকে বলছেন - "শালা গুলানরে তো কিছু বলা যায় না, তাই আজ একদম কায়দা মতো কথাগুলো শুনিয়ে দিলাম। দেখলি শালা কিন্তু একটা আওয়াজও করলো না। বাস এ যখন উঠছে তখনই বুঝছি আর্মির লোক। পুরা রাস্তা মাজা সোজা করায় বসায় আনছি। শিক্ষা হোক। শিক্ষার দরকার আছে।(বুঝলাম তাঁরা আমাকে নিয়েই রসিকতা করছেন। একজন আর্মি অফিসারকে নাজেহাল করতে পেরেছন ভেবে তৃপ্তি অনুভব করছেন!)
আমি লাঞ্চ শেষ করে চা অর্ডার করে বসে বসে তাদের আরো কিছু কথোপকথন শুনলাম। তাঁদের আনন্দ যেন শেষই হচ্ছে না। তাদের লাঞ্চ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। তারপর চা'য়ের কাপ নিয়ে তাদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। সালাম দিয়ে তাদের সাথে বসার অনুমতি চাইলাম। আমাকে দেখে দুজনেই চমকে উঠলেন। একটি চেয়ার নিয়ে বসে আমার মানিব্যাগ থেকে দুটি ভিজিটিং কার্ড বের করে দুজনকে দিলাম। বললাম - "I'm not an army officer. I'm a pvt service holder and used to think myself as a human being like you. but, from today, I'll not do so as because, if this is the face of a human being then I dn't love to be anymore ! A asshole is much more pleasant then human being"..!

এই কথা শুনে দুজনেই বেশ লজ্জিত হলেন। আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বললেন - "আরে ভাই রাগ করেন কেন? আমরা তো বুঝতে পারি নাই। আপনি তো আর আর্মি না। আপনি আমাদের মতোই সিভিল।আপনাকে ভুল বুঝে এতো কথা বলছি!"

উত্তরে বললাম - "I'm nt ashamed tht u said all those to me, rather today you disgraced urself, the freedom of the country, all the martyrs, all the freedom fighters and all of your sons who are sacrificing their lives to keep the sovereignty and independence ever high so that people like you may leave in peace and can move as a citizen of a independent country. I'm ashamed, because they still think themselves as a safeguard of the nation bt they dn't know they are also saving some bitches who always betray"!!

আমার কথা শুনে দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে রইলেন। তারপর বললেন - "আপনি কি বলতে চাইছেন?"

আমি বললাম, আপনাদের আমি কিছুই বলতে চাই না। শুধু এইটুকু জেনে রাখুন - যাদের প্রতি আপনাদের এতো ঘৃণা তারা আছে বলেই পার্বত্য চট্টগাম এখনো মিয়ানমার হয়ে যায় নি।

তারা আছে বলেই ৮৮ এর মহাপ্লাবন, ৯১ এর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়, ৯৮ এর বন্যা, সিডর-আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরো এই দেশের ভাগ্য বিড়ম্বিত লাখ লাখ অসহায় মানুষ আবার নতুন করে বাঁচার সাহস পেয়েছে, মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে। আর এজন্য তারা কখনোই কোন অনুদান বা অপ্রতুল সরকারী বেসরকারী সাহায্যের জন্য বসে থাকে না। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় আমলা আছেন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, মন্ত্রী, সুধীজনরা আছেন। কিন্তু কয়জন এই দুর্যোগে নিজেদের একদিনের বেতন অসহায় মানুষগুলোর কল্যাণে দান করেছেন? অথচ প্রতিবারই আমাদের প্রতিটি সেনাসদস্য নিঃস্বার্থভাব এই কাজটা করে। আমার জানামতে এরকম নজির পৃথিবীতে আর দ্বীতিয়টি নাই।
Gentleman can you say in all these natural calameties how many Mango People (aam jonota) like us were beside the needy ppl? but I tell you, every brigade, every batalion, every company and every soldiers of Bangladesh Army-Navy-AriForce were always with them till they couldn't come out from the disasters.. Why they did? Why couldn't you do? they did for no interest, they did because they consider it's the part of their holy duty and you think we dn't need them ??!!! Why in every election you call army and protest if not deployed ? Why in every failure of civil buruecracy you expect Army will come and takeover the charge to make things allright ??? It is because A man in uniform can't be baught by money !!

১/১১ এর আগে যখন civil govt fall করলো, যখন আপনাদের তথাকথিত গণতন্ত্রের দম্ভ আপনাদের হাতে সমাহিত হলো, দেশে চরম নৈরাজ্য আর অস্থীতিশীলতা সৃষ্ট হলো, যখন আপনারা ঘর থেকে বেরুতে পারছিলেন না আর আপনাদের সম্পদ আপনাদের চোখের সামনে ভস্নিভুত করা হলো তখনতা আপনারাই বারবার আক্ষেপ করেছিলেন আর্মি কেন ক্ষমতা নিচ্ছে না? আবার এই আর্মি যখন জালিমদের শাস্তি দিলো, তখন আপনারাই গলা ফাটিয়েছিলেন এই বলে যে, আর্মি ক্ষমতায় থাকলেই ভালো ! এই দেশের মানুষ ডান্ডা বুঝে, ব্যবহার বুঝে না !! তখন আপনাদের গণতন্ত্র, সিভিল ব্যুরোক্র্যাসি আর মানবাধিকার কমিশন কোথায় ছিলো?
RAB খুব খারাপ !! নিরীহ মানুষদের ঘর থেকে ডেকে এনে নির্বিচারে হত্যা করে। কিন্তু এখন যদি একজন সন্ত্রাসী আপনার কাছে চাঁদা দাবী করে, আপনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তাহলে আপনি কার কাছে যাবেন? RAB নাকি পুলিশ?? যারা বলে - আর্মির দরকার এই দেশে নাই, নিরাপত্তা জন্য ইন্ডিয়ান আর্মি তো আছেই - তাদের জিজ্ঞস করি এই ইন্ডিয়ান আর্মি তবে কেন বঙ্গবন্ধুকে protection দিতে ব্যর্থ হলো? সেই সময় আমাদের আর্মির কোন সমর শক্তই ছিলো না। ১৫ আগষ্ট যখন ক্ষমতার পালা বদল হলো তাহলে সেইদিন কেন ইন্ডিয়ান আর্মি আর তাদের তৈরী রক্ষী বাহিনী-গণবাহিনী-মুজিব বাহিনী আপনাদের নিরপত্তা দিলো না? উত্তর দিতে পরবেন? ! আপনার বাড়িতে কেন দারোয়ান রাখেন? চুরিতো আর প্রতিদিন হয়না। তবে কেন চৌকিদারের পিছে মাসে মাসে এতো টাকা খরচ করেন? আপনি কি মনে করেন আপনার বাড়িতে ডাকাত পড়লে পাশের বাড়ির দারোয়ান এসে আপনাকে protection দিবে? তা যাদি না হয় তবে ইন্ডিয়ান আর্মির কি গরজ পড়ছে এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে? আপনার ট্যাক্সের টাকায় আর্মি বসে বসে ভাত খায় এতে আপনার আক্ষেপ ..তা হলে আপনি কি ভাবে আশা করেন ভারতীয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তৈরী আর্মি দিয়ে তারা আপনাকে নিরাপত্তা দিতে রাজী হবে?!! কোন উত্তর আছে??

Gentleman, comment করা অনেক সহজ, কিন্তু, তা বুঝে শুনে করা উচিত। "Bloody civilian" - এটা পাকিস্তান আর্মির একটা traditional word ! যা আমাদের আর্মিতে প্রচলন করছিলো কিছু re-patriot officer যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেয় নাই বা দিতে পারে নাই এবং ওইসময় পাকিস্তানে কারাবন্দী ছিলো কিন্তু পরে এসে আমাদের আর্মিতে যোগ দেয় (এরশাদ এমনই একজন re-patriot officer ছিলেন)।
এই শব্দটা আমাদের আর্মি থেকে উঠে গেছে সেই ৮০'র দশকেই। আজকের young officer'রা কেউই এখন আর এই শব্দটা ব্যবহার করে না।কিন্তু, রাজনীতিবিদ আর আমলারা এই শব্দটা ব্যবহার করে আর্মি আর সাধারণ জনগণের মাঝে একটা বিভেদ সৃষ্ট করে ফায়দা লুটার জন্য। আর যারা এই শব্দটা ব্যবহার করে তারা আপনার আমলের মানুষ আমাদের সময়ের না!! and also remember gentleman, this is such a painful duty which neither u dare to perfom nor select your son to do .. but think, there are youngs who still sacrificing their today for your better tomorrow !!! and they didn't left the country like maximum considering nothing will happen with ths country - rather they think they can make a difference - they beleave theycan make a better tomorrow for the nation .. We not only require an army rather we require a more effective and stronger army to protect the soverignty and independence of the country - because, unprotected indendence is the slavery .. you think our army is corrupted but did you ever think why we are the No-1 in UN peace keeping msn? is bcoz of thr honesty ! their might be some exceptional but exception is nvr an example.. gentleman, plz behave accordingly .. do not comment on any aspect which u have a shallow knowledge .. plz let everyone's do their own job!! civil n army কখোনই ভাই ভাই না !! যদি তা হয় তাহলে পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে মহৎ বলে গণ্য হবে আপনার কাছে !! যদি তাই হয় তবে এই দেশে ১৫ আগষ্ট আর ৭ নভেম্বর বারবার আসবে আর আপনার সিভিল কোট বসে বসে ক্যান্ড খেতে থাকবে।
thank you very much !!..
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৪৩
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×