ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিশ্বজয়ী দলগুলোর চরিত্র বিশ্লেষণ করলে কিছু কমন বৈশিস্ট্য পাওয়া যায়। আশির দশকে ছিল ওয়েস্টইন্ডিজের একক রাজত্ব। গত দুইটি বিশ্বকাপও গেছে অস্ট্রেলিয়ার একক রাজত্বের সময়। ওই সময়ে ওদের চ্যালেন্জ করতে পারবে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া ছিল মুস্কিল। অন্যদিকে ৯২র পাকিস্তান আর ৯৯র অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় কর্ণারড টাইগারের চরিত্র। প্রথমদিকের ম্যাচগুলো হেরে আর পরের প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই হারের মুখে থেকে গুরুত্বপূর্ন সময়গুলোতে কখনও ভাগ্যের সাহায্যে আর কখনও অস্বাভাবিক নৈপূন্যে বিশ্বজয় করেছিল দল দুটো।
আশ্চর্যজনক ভাবে কোন বারই বিশ্বকাপ না জেতা ক্রিকেটের কূলীন দেশ ইংল্যান্ডের মধ্যে এবার যেন সেই পাকিস্তান আর অস্ট্রেলিয়ারই ছায়া দেখা যাচ্ছে। প্রথম রাউন্ডজুড়ে তাদের অবিশ্বাস্য উত্থান পতনময় খেলা এবং শেষে অন্যের খেলার উপর নির্ভরশীল হয়ে শেষ আটে উঠাটা সেটারই লক্ষণ হয়ে ধরা দিচ্ছে। লক্ষ্য করে দেখুন ইংল্যান্ডই এবার শেষ আটে উঠা নিয়ে সবচেয়ে বেশী চাপে ছিল শেষ ম্যাচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথের ঐ ম্যাচে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল হেরে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। শেষে অবিশ্বাস্য কিছু নাটকীয় ঘটনায় হারা ম্যাচটা জিতে শেষ আটে ইংল্যান্ড। এবং এটাই শেষ নয়। যদি বাংলাদেশ সাউথ আফ্রিকাকে হারাতো আর ভারত হারত তাহলেও এতো কিছুর পরও বাদ পড়ে যেত তারা। তারমানে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও তারা পাচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা পড়েছে। শ্রীলংকাকে তার মাটিতে হারানো বিশ্বের সবথেকে কঠিন কাজের একটা। সেই কাজটাই করে এই ইংল্যান্ড যদি সেই পাকিস্তান আর অস্ট্রেলিয়ার মতো চ্যাম্পিয়ান হয়ে যায় এবার, আশ্চর্যের কিছু থাকবেনা।
ভাবছেন আমাদের কি এতে ? এট লিস্ট আমরা বলতে পারব যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ানদের হারিয়েছি আমরা।