Interstellar ছিল বিগত বছরগুলোতে আমার দেখা সেরা সাই ফাই মুভি। দারুন গল্প সেই সংগে মেকিং। সেদিন দেখি এক বিদেশি রিভিউতে একজন বলছে সিনেমাটা কয়বার দেখেছ? একবার দেখলে ভাল করে বুঝবাই না। সত্যিই! টাইম নিয়ে চমতকার বিজ্ঞান আর কল্পনার সমন্বয় দেখান হয়েছে মুভিটিতে। এর আইএমবি রেটিং ৮ .৬।
কাহিনী গড়ে উঠেছে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে যেখানে খাদ্যশস্যের এক রোগ ছড়িয়া পড়েছে পৃথিবী ক্রমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় কুপার নামে নাসার এক প্রাক্তন পাইলটকে ওয়ার্মহোলের ভিতর দিয়ে নতুন বসবাস যোগ্য পৃথিবী খোজার দায়িত্ব দেয়া হয়। প্লান এ হচ্ছে গ্রাভিটি ইকুয়েশনের মাধ্যমে পৃথিবীতেই সমস্যার সমাধান খোজা আর প্লান বি হচ্ছে বসবাস যোগ্য অন্যগ্রহ খুজে বের করা। কুপার ইতোমধ্যে তার বাসায় কিছু অদ্ভুত কান্ড লক্ষ্য করে যেসব ভৌতিক ঘটনার ব্যাখ্যা মুভির শেষে পাওয়া যায়। শনি গ্রহের বলয়ের কাছে গিয়ে অভিযাত্রীরা ওয়ার্মহোলের কাছে মিলারস প্লানেটে নামে যেখানে একঘন্টা কাটালে পৃথিবীতে কাটে যায় সাত বছর। এইভাবে তিনটা গ্রহে নামতে গিয়ে নানা ঘটনা ঘটে আর সময়ের জালে পড়ে পৃথিবীতে কেটে যায় অনেক বছর। এরপরে ব্ল্যাকহোল আরেক অদ্ভুত ঘটনার জন্মদেয়। কুপারস আটকা পরে তার বাসার টাইম ফ্রেমে। যেখান থেকে সে তার বড় হয়ে যাওয়া মেয়েকে সাহায্য করে গ্রাভিটি ইকুয়েশন সমাধানে। সেখান থেকে বের হয়ে সিনেমার শেষে কুপারস তার মেয়ের সংগে দেখা করে যে কিনা বয়সের ভারে নুব্জ তখন।
চমতকার এই মুভিটিতে ভবিষ্যতের পৃথিবী আর টাইম ফ্রেমের বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো দারুন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সাইফাইপ্রেমীদের একটা মাস্ট ওয়াচ মুভি।